ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

বড় জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৯ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বড় জয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

ইয়াসিন হাসান, মিরপুর থেকে: ওয়েস্ট ইন্ডিজকে অল্পরানে আটকে রেখে লক্ষ্য নাগালে রেখেছিল বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্য সহজেই ছুঁয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। ৫ উইকেটের জয়ে ওয়ানডে সিরিজের শুরুটা দুর্দান্ত হলো বাংলাদেশের। 

মিরপুর শের-ই-বাংলায় দিবারাত্রির ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ৯ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তোলে ১৯৫ রান। জবাবে ৩৫.১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।



ম্যান অব দ্য ম্যাচ মাশরাফি



দৃঢ় ব্যাটিংয়ে শেষপর্যন্ত উইকেটে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন মুশফিকুর রহিম। তবে এর আগে দলকে দারুণ নেতৃত্বের সঙ্গে উইন্ডিজদের সংগ্রহ অল্পতে আটকে রাখার কাজটি দারুণভাবে করেছিলেন মাশরাফি। মুস্তাফিজের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। আর গুরুত্বপূর্ণ এ  ভূমিকার জন্য দলীয় অধিনায়কের হাতে ওঠে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার।

ব্যাট-বলে দাপুটে পারফরম্যান্স

বোলাররা জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন প্রথম ইনিংসেই। মাশরাফি ও মুস্তাফিজ ছিলেন দুর্দান্ত। ৩টি করে উইকেট নেন দুজন। বল হাতে অবদান রাখেন সাকিব, রুবেল ও মিরাজ। শুরুতে দুটি ক্যাচ মিস করে হতাশ করেছিলেন আরিফুল ও মুশফিক। পরবর্তীতে ফিল্ডিংয়েও দাপট দেখায় স্বাগতিকরা। দাপুটে বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।


ছোট লক্ষ্যে বাংলাদেশের ইনিংসে জুটিও হলো ছোট-ছোট। ইনিংস বড় করার সুযোগ ছিল একাধিক ব্যাটসম্যানের। কিন্তু একমাত্র মুশফিকই পারলেন। ৫৫ রানে অপরাজিত তিনি। লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ রান। বাকিরা আশা দেখিয়ে ফেরেন সাজঘরে। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টা। তাতেই মিলল জয়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের দশম জয়। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে বাংলাদেশ। 

মুশফিকের ফিফটি

রোস্টন চেজের বল পয়েন্টে ঠেলে এক রান নিলেন মুশফিক। ৫৯ বলে মুশফিক পৌঁছে গেলেন পঞ্চাশ রানে। পুরো স্টেডিয়ামে চিৎকার, উল্লাস। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার ৩১তম হাফ সেঞ্চুরি।

অফস্পিনার চেজকে বোলিংয়ে এনে বাড়তি স্লিপ ফিল্ডার যুক্ত করলেন রোভম্যান পাওয়েল। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্যকে ফেরাতেই ‘ফাঁদ পাতলেন’ ক্যারিবীয় অধিনায়ক। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ‘‘পাতা ফাঁদে পা’’ দিয়ে উইকেট বিসর্জন দিলেন সৌম্য। অফস্ট্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা মেরে স্লিপে ক্যাচ দেন ১৩ বলে ১৯ রান করা সৌম্য। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১৭৫।

বাংলাদেশের দেড়শ

রোভম্যান পাওয়েলকে চার মেরে দলীয় রান ১৪৮ থেকে ১৫২ ’তে নিয়ে গেলেন সৌম্য সরকার। ২৭তম ওভারের পঞ্চম বলে বাংলাদেশের দলীয় রান দেড়শ ছাড়ায়।

উইকেটের খোঁজে অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল নিজে বোলিংয়ে আসলেন ২৭তম ওভারে। ডানহাতি মিডিয়াম পেসার প্রথম বলেই নিলেন উইকেট। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন সাকিব। ইনজুরি থেকে ফেরা সাকিব ২৬ বলে করেন ৩০ রান। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ১৪৬। জয়ের থেকে ৫০ রান দূরে বাংলাদেশ। 

সাকিব-মুশফিক জুটির পঞ্চাশ

২৫তম ওভারের শেষ বলে এক রান নিলেন সাকিব। এ রান দিয়ে জুটির পঞ্চাশ রান পূর্ণ করলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৮৯ রানে লিটন সাজঘরে ফেরার পর চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধেন সাকিব ও মুশফিক।

বাজে শটে ফিরলেন লিটন

ইনিংসের শুরুতে কেমার রোচের বলে ক্যাচ দিয়েও নো বলে বেঁচে যান লিটন। ৫ রানে ‘জীবন’ পাওয়ার পর ধীরস্থির হয়ে ইনিংস বড় করছিলেন ঠিকই। দ্যুতি ছড়িয়ে পৌঁছে যান চল্লিশের ঘরে। কিন্তু আবারও বাজে শট। পেসার কেমু পলের বল ক্রস খেলতে গিয়ে উইকেট হারান ৫৭ বলে ৪১ রান করা লিটন। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ৮৯। তৃতীয় উইকেটে মুশফিক ও লিটন ৪৭ রানের জুটি গড়েন। 

১১তম ওভারের শেষ বলে এক রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম দলীয় পঞ্চাশ রান পূর্ণ করেন।   

গতির কাছে হার মানলেন ইমরুল

১৪১.৭ গতির বল দিয়ে শুরু করেছিলেন ওশানে থমাস। গতি ধরে রাখেন পরের দুই বলে, ১৪০.৭ ও ১৪৮.৮! চতুর্থ বলে আর পারলেন না ইমরুল। ১৪৪ গতির বলের লাইনে ব্যাটই নিতে পারেননি ইমরুল। বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন ৪ রানে। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৪২।

চেজ ফেরালেন তামিমকে

অষ্টম ওভারে দুই বাউন্ডারিতে ১১ রান তুলে রোস্টন চেজকে ব্যয়বহুল বানিয়েছেন লিটন। কিন্তু ওভারের শেষ বলে তামিমকে ফিরিয়ে দারুণভাবে ফিরে আসেন চেজ। ডানহাতি স্পিনারের বলে বিশুর হাতে ক্যাচ দেন ২৪ বলে ১২ রান করা করা তামিম। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৩৭।



নো বলে বেঁচে গেলেন লিটন

কেমার রোচের বল ডিপ স্কয়ার লেগ দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন লিটন। কিন্তু সীমানায় দাঁড়িয়ে লিটনের ক্যাচ লুফে নেন হেটমায়ার। ডানহাতি ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যাচ্ছিলেন ঠিকই। কিন্তু আম্পায়ার নো বল চেক করাতে বেঁচে যান লিটন। একাধিক অ্যাঙ্গেল থেকে টিভি রিপ্লে দেখে তৃতীয় আম্পায়ার আলীম দার নো বলের সিদ্ধান্ত জানান। ৫ রানে ‘জীবন’ পান লিটন।

সতর্ক শুরু বাংলাদেশের

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান বেশ সতর্ক ব্যাটিং করছেন। প্রথম ৫ ওভারে তামিম ও লিটন তুলেছেন ১৯ রান।

দুর্দান্ত বোলিং বাংলাদেশের

বল হাতে শুরুতে ধাক্কা দিয়েছিলেন সাকিব। মাঝে মাশরাফি যাদু। শেষটা মুস্তাফিজময়। রুবেল ও মিরাজও রেখেছেন অবদান। ৩টি করে উইকেট নিয়ে মাশরাফি ও মুস্তাফিজ সেরা। সব মিলিয়ে বোলিংয়ে দুর্দান্ত বাংলাদেশ। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুইশর নিচে আটকে রাখল বাংলাদেশ।



বড় কোনো জুটি পায়নি সফরকারীরা। সর্বোচ্চ ৫১ রানের জুটি গড়েন কেমু পল ও রোস্টন চেজ। কেমু ৩৬ ও চেজ ৩২ রান করেন। ৪৩ রানের সর্বোচ্চ ইনিংসটি আসে শাই হোপের ব্যাট থেকে।

৯ উইকেটে ১৯৫ রানে শেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। এর আগে ৬১ রানে অল আউট হয়েছিল ২০১১ সালে চট্টগ্রামে। সেবার বাংলাদেশ জিতেছিল অনায়েসে। এবারও বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্য খুব বড় নয়। বোলাররা নিজেদের দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করেছেন। এবার ব্যাটসম্যানদের পালা। 

শেষ ওভারে মুস্তাফিজের আরও দুই উইকেট

ইনিংসের শেষ ওভারে কেমু পল ও দেবেন্দ্র বিশুর উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জোড়া ধাক্কা দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২৮ বলে ৩৬ রান করা পল মিরাজের হাতে ক্যাচ দেন ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে। নিজের প্রথম বলে ফিরতি ক্যাচ দেন বিশু। শেষ ওভারে ২ রানে ২ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান দুইশর নিচে আটকে রাখেন মুস্তাফিজ। সব মিলিয়ে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

চেজকে ফেরালেন মুস্তাফিজ

ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার রোস্টন চেজ সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে দারুণ প্রতিরোধ গড়ে তুলেন। তাকে সপ্তম উইকেটে সঙ্গ দেন কেমু পল। ৫১ রানের ‍জুটি গড়েন তারা। ৪৮তম ওভারে এ জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাঁহাতি পেসারকে উড়াতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ দেন ৩৮ বলে ৩২ রান করা চেজ। তার ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৭ উইকেটে ১৭৮।



মিতব্যয়ী মাশরাফি

১০-০-৩০-৩, মাশরাফির বিন মুর্তজার বোলিং ফিগার। তার শেষ বলে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা হাকান চেজ। নয়তো দুইয়ের ঘরেই থাকত মাশরাফির বোলিং ফিগার। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন ডানহাতি পেসার।

প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে ১৪ রানে নেন ড্যারেন ব্রাভো ও শাই হোপের উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলে তার পকেটে ঢুকে রোভম্যান পাওয়েলের উইকেট। বোলিং স্পেলে কোনো মেডেন ওভার না থাকলেও ৪১ বল ছিল ডট। একটি বাউন্ডারির সাথে মাত্র একটি ওভার বাউন্ডারি হজম করেন অধিনায়ক।
 

৫৬ বল পর বাউন্ডারি

৪৪তম ওভারের শেষ বল, মাশরাফির স্লোয়ার মিড উইকেট দিয়ে উড়িয়ে মারলেন রোস্টন চেজ। বল গিয়ে পড়ল গ্যালারিতে। ইনিংসের প্রথম ছক্কা। ৫৬ বল পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেল প্রথম বাউন্ডারির স্বাদ। সবশেষ বাউন্ডারিটি এসেছিল ৩৫তম ওভারের তৃতীয় বলে। মুস্তাফিজের ওভারপিচ বল ড্রাইভে কভার দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছিলেন রোভম্যান পাওয়েল।

স্যামুয়েলসকে ফিরিয়ে স্বস্তি

ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেবল মারলন স্যামুয়েলসই টিকে ছিলেন। তাকে ফিরিয়ে স্বস্তি বাংলাদেশ শিবিরে। রুবেলের বলে সীমানায় ধরা পড়েন মারকুটে ব্যাটসম্যান। ৪৮ বলে ২৫ রান করা স্যামুয়েলসের ক্যাচ লং অনে দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দি করেন লিটন। তার ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৬ উইকেটে ১২৭। দুর্দান্ত বোলিং করা রুবেলের এটি প্রথম সাফল্য।

মাশরাফির তৃতীয় শিকার পাওয়েল

ফিরে এসেই উইকেট পেলেন মাশরাফি। প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে ১৪ রানে নিয়েছিলেন ২ উইকেট। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে প্রথম বলে মাশরাফির শিকার রোভম্যান পাওয়েল। ৬ রানে জীবন পাওয়া পাওয়েল মাশরাফির বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন। ২৫ বলে ১৪ রান করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৫ উইকেটে ১১৯।

আরেকটি ক্যাচ মিস

রুবেলের বলে ক্যাচ ছেড়েছিলেন মুশফিক। এবার রুবেল ক্যাচ মিস করলেন। বোলার সাকিব। বাঁহাতি স্পিনারের অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল ওড়াতে চেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল। লং অফে দাঁড়ানো রুবেল কঠিনতম ক্যাচটি সহজেই তালুবন্দি করেছিলেন। কিন্তু বল ধরে রাখতে পারেননি। হাত ফসকে বল বেরিয়ে যায়। ৬ রানে রুবেলের হাতে জীবন পান ক্যারিবীয় অধিনায়ক। এর আগে ড্রারেন ব্রাভোর ক্যাচ মিস করেছিলেন আরিফুল ও মুশফিক।



ওয়েস্ট ইন্ডিজের একশ

৩১তম ওভারের পঞ্চম বলে রোভম্যান পাওয়েল এক রান নিয়ে দলের রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান পঞ্চাশ ছুঁয়েছিল পনেরতম ওভারের প্রথম বলে।

আবার মিরাজ, আবার হেটমায়ার

নিজের দ্বিতীয় স্পেলের প্রথম বলে সাফল্য পেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম স্পেলে ৭ ওভারে ১৭ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূণ্য। শিমরন হেটমায়ারকে বোল্ড করেন ডানহাতি স্পিনার। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের চার ইনিংসে হেটমায়ারের উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। এবার প্রথম ওয়ানডেতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে ফেরালেন মিরাজ। ‘‘পাঁচে পাঁচ’’ মিরাজ। ১৩ বলে ৬ রান করেন হেটমায়ার। তার আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৪ উইকেটে ৯৩।

মাশরাফির জোড়া আঘাত

ব্রাভোর পর শাই হোপকে ফেরালেন মাশরাফি। ৫৯ বলে ৪৩ রান করা হোপ মাশরাফির লেন্থ বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ দেন। দারুণ ক্যাচ ধরেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ডানহাতি ওপেনার ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ৩ উইকেটে ৭৮।



তামিমের দূর্দান্ত ক্যাচে ফিরলেন ব্রাভো

দুবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ ব্রাভো। ১৩ ও ১৮ রানে দুবার জীবন পান এ বাঁহাতি। শেষমেশ ১৯ রানে তাকে ফেরালেন অধিনায়ক মাশরাফি। তবে ব্রাভোকে ফেরাতে বড় ভূমিকা রাখেন ফিল্ডার তামিম। মাশরাফির স্লোয়ারে তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়েছিলেন ব্রাভো। ব্যাটে বলে ঠিকমতো সংযোগ হয়নি। বল উঠে যায় ডিপ এক্সট্রা কভারে। লং অফে ফিল্ডিং করা তামিম দৌড়ে, ড্রাইভ দিয়ে বল তালুবন্দি করেন।ব্রাভোর আউটের সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ২ উইকেটে ৬৫।

দ্বিতীয় জীবন পেলেন ব্রাভো

দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাটিং করতে পারছেন না ব্রাভো। বোলারদের দারুণ বোলিংয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এ বাঁহাতি। ১৩ রানে প্রথম জীবন পাওয়ার পর ১৮ রানে দ্বিতীয় জীবন পেয়েছেন। রুবেলের দারুণ এক ডেলিভারীতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ব্রাভো। বাঁ দিকে ঝাপিয়েও বল তালুবন্দি করতে পারেননি মুশফিক।

ব্রাভোর ক্যাচ ছাড়লেন আরিফুল

সাকিবের পরিবর্তে ফিল্ডিংয়ে নেমেছিলেন অতিরিক্ত খেলোয়াড় আরিফুল হক। ফিল্ডিংয়ে দলের হয়ে অবদান রাখতে ব্যর্থ তিনি। মুস্তাফিজুর রহমানের করা ষোলোতম ওভারের দ্বিতীয় বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়েছিলেন ড্যারেন ব্রাভো। ১৩ রানে থাকা ব্রাভোকে জীবন দেন আরিফুল। সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করে উইকেট বঞ্চিত করেন মুস্তাফিজকে। 



সাকিব ফেরালেন পাওয়েলকে  

ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে প্রথম আঘাতটি করেছেন সাকিব আল হাসান। তার করা অষ্টম ওভারের শেষ বলটি ঠিকমতো খেলতে পারেননি কিরণ পাওয়েল। বল ব্যাটে লেগে উপরে উঠে যায়। রুবেল হোসেন কয়েক পা দৌড়ে বল তালুবন্দি করেন। ​২৭ বলে ১ চারে ১০ রান করেন পাওয়েল। তার ফেরার সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান ১ উইকেটে ২৯।  

টস
টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল।

পাঁচ পরিবর্তন 

শেষ ওয়ানডে থেকে বাংলাদেশের একাদশে পাঁচ পরিবর্তন আনা হয়েছে। সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ ও রুবেল হোসেন দলে এসেছেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে খেলে বাদ পড়েছেন মোহাম্মদ মিথুন, নাজমুল ইসলাম অপু, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি  ও আরিফুল হক।

বাংলাদেশ একাদশ

তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন কুমার দাশ, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন ও মুস্তাফিজুর রহমান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ

কিরণ পাওয়েল, শাই হোপ, ড্যারেন ব্রাভো, মারলন স্যামুয়েলস, শিমরন হেটমায়ার, রস্টন চেজ, রোভম্যান পাওয়েল, দেব্রেন্দ্র বিশু, কেমু পল, কেমার রোচ ও ওশানে থমাস।



যেখানে মাশরাফি প্রথম

দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার স্বাদ পাচ্ছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে বাংলাদেশের হয়ে দুইশর মাইলফলক ছুঁতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে মাশরাফিকে। বাংলাদেশের জার্সিতে এটি মাশরাফির ১৯৮তম ওয়ানডে। ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে আফ্রিকা একাদশের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন বাংলাদেশের এ পেসার। দেশের প্রথম হলেও ক্রিকেট বিশ্বের ৭৮তম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ওয়ানডে খেলার স্বাদ পাচ্ছেন মাশরাফি। অধিনায়কের মাইলফলকের ম্যাচটি স্মরণীয় রাখতে ড্রেসিং রুমে কেক কাটে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

বছরের শেষটাও রাঙাতে চান মাশরাফি

চলতি বছর ১৭ ওয়ানডের ১১টি জিতেছে বাংলাদেশ। দুটি ফাইনাল হার বাদে পুরো বছরের ওয়ানডে পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সাফল্যধারা অব্যাহত রাখতে চান শেষটাতেও,‘আমার কাছে মনে হয় এই বছর আমাদের রেটিং খুব ভালো আছে। ভালোভাবে শেষ করতে পারলে খুব ভালো হবে। বিশেষ করে সামনের বছরের শুরু থেকে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। শেষটা ভালো করলে এই বছরটা খুব ভালো যাবে।’

বাংলাদেশ ৯ : ২০ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দুই দল এখন পর্যন্ত ৩১ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২০ জয়ের বিপরীতে বাংলাদেশের জয় মাত্র ৯টি। ২টি ম্যাচে কোনো ফল আসেনি। তবে নিকট অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ ভালো। শেষ তিন ওয়ানডের দুটিতেই জিতেছে বাংলাদেশ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ ডিসেম্বর/২০১৮/ইয়াসিন/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়