ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

টিকায় আস্থা বেশি বাংলাদেশের

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৯ জুন ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টিকায় আস্থা বেশি বাংলাদেশের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টিকা বা প্রতিষেধক দেহে কোনো একটি রোগের জন্য প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে। টিকার প্রতি অনাস্থা মানে হচ্ছে মরণাঘাতি তবে প্রতিরোধক সংক্রামক ব্যধির নিরাময় থেকে বিশ্বকে পেছন দিকে ঠেলে দেওয়া। বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পশ্চিম ইউরোপসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে এই টিকার প্রতি অনাস্থা বা নেতিবাচক ধারণার হার সবচেয়ে বেশি। আর বাংলাদেশ ও আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় টিকার প্রতি আস্থার হার সবচেয়ে বেশি।

লন্ডনভিত্তিক দাতব্য সংস্থা ওয়েলকাম ট্রাস্ট ১৪০টি দেশের এক লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর এই জরিপ চালিয়েছে। বুধবার এই জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

বৈশ্বিক এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল তারা টিকা নিরাপদ বলে তারা মনে করেন কিনা। এতে দেখা গেছে, ৭৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তারা জোরালোভাবে একে নিরাপদ মনে করেন, ৭ শতাংশ জোরালোভাবে অনিরাপদ মনে করেন এবং ১৪ শতাংশ বিশ্বাসও করেন না আবার অবিশ্বাসও করেন না। এই নেতিবাচক তালিকায় ফ্রান্সের পরে রয়েছে গ্যাবন, টোগো, রাশিয়া, সুইজারল্যান্ড, আর্মেনিয়া, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, আইসল্যান্ড, বুর্কিনা ফাসো ও হাইতি।

ফ্রান্সের প্রতি তিনজনে একজন অর্থাৎ প্রায় ৩৩ শতাংশ জনগণ টিকার কার্যকারিতায় বিশ্বাস করে না। টিকা নিয়ে ফরাসিদের এই সংশয় বা নেতিবাচক ধারণা নতুন কিছু নয়। ২০০৯ সালে  দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চালানোর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিরুদ্ধে ওষুধ কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে প্রভাবিত হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর থেকেই টিকার প্রতি অবিশ্বাস বা নেতিবাচক ধারণার মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। এমনকি অনেক চিকিৎসকের মধ্যেও এ সংক্রান্ত নেতিবাচক ধারণা কাজ করে।

টিকার প্রতি আস্থা বা ইতিবাচক ধারণার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে রুয়ান্ডা। জরিপে অংশগ্রহণ দেশটির ৯৯ শতাংশ মানুষ মনে করে রোগ প্রতিরোধে টিকা নিরাপদ। আর বাংলাদেশে ৯৭ শতাংশ অংশগ্রহণকারী মনে করেন টিকা নিরাপদ।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ও রুয়ান্ডা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দুটি দেশ, যেখানে টিকার নিরাপত্তা,এর কার্যকারিতা এবং শিশুদের জন্য টিকার গুরুত্বের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। দুটি দেশেরই বাস্তবায়নের জন্য একাধিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। এরপরও দুই দেশেই টিকাদানের হার অনেক বেশি। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় শিশু মৃত্যুহার কমানোর যে চতুর্থ লক্ষ্যটি ছিল শৈশবে টিকাদানের কঠোর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশটি সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।  রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে ডিপথেরিয়া ও অন্যান্য প্রতিরোধযোগ্য রোগের বিস্তার ঠেকাতে  ২০১৭ সাল থেকে ইউনিসেফ ও অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে বাংলাদেশ।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুন ২০১৯/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়