ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

নির্বাচন বর্জন করব না: ড. কামাল

হাসিবুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নির্বাচন বর্জন করব না: ড. কামাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, মরে গেলেও আমরা নির্বাচন বর্জন করব না। আমার লাশ নিয়ে ভোট দিতে নিয়ে যাবে। আমি মরে গেলেও আমার আঙুল তো থাকবে। আঙুল ভোট দেবে।

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।

এর আগে প্রায় আড়াই ঘন্টা ইসির সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বৈঠক করেন।

ড. কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইলেকশন হতে হবে। তারা (আওয়ামী লীগ) যদি চায় এসব জঘন্য ধরনের হামলার কারণে আবেগে আমরা নির্বাচন করব না। এটা আমরা করব না।’

তিনি বলেন, ‘আমরা উনাদের (ইসি) তথ্য দিয়ে দু:খপ্রকাশ করে বললাম, পুরো দেশে উত্তর দক্ষিণ সব জায়গা থেকে অভিযোগগুলো পেয়েছি। পেশিশক্তি নিয়ে প্রার্থীদের ওপর আক্রমন হচ্ছে। যারা নির্বাচনে কাজে নেমেছে তাদের ওপরই আক্রমন হচ্ছে। কেউ পোস্টার লাগাতে পারছেন না। বক্তব্য রাখতে পারছেন না। বিভিন্ন জায়গায় একটা ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা নির্বাচন করার জন্য এগিয়ে এসেছেন তাদের নিরুৎসাহিত করার জন্য এসব করা হচেছ। এটা খুব ভয়াবহ।’

তিনি বলেন, ‘আমার তো পঞ্চান্ন বছরের অভিজ্ঞতা আছে। বঙ্গবন্ধুর নির্বাচনী এজেন্ট ছিলাম ৭০ সালে। তখন থেকে সব নির্বাচনেই ভালোমন্দ দেখেছি। কিন্তু এখন যে অবস্থা তা কোনোদিন দেখিনি। যারা প্রার্থী তাদের লিখিত তালিকা আমরা দিয়েছি। বেশ কিছু কেস- যেখানে সময় স্থানের ছবি দিয়েছি। গুলিবিদ্ধ ব্যরিস্টার খোকন, রোমানার ছবি দিয়েছি। একজন দুই চোখ হারিয়েছেন- সেই মহিলার ছবি দিয়েছি। আসম আবদুর রবের ভাঙ্গা গাড়ির ছবিও আমরা দিয়েছি।

তিনি দাবি করেন, ‘এসব ঘটনার কিছু কিছুতে সিইসি বিব্রত হয়েছেন। বিব্রতবোধ করা যথেষ্ট নয়। কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হয়। আমরা তাদের বলেছি- এখনই আপনারা ইনকোয়ারি চান, একদিনের মধ্যে রিপোর্ট নেন, পদক্ষেপ নেন- যাতে বুঝতে পারি নির্বাচন কমিশন দেশকে মুক্ত করতে চায়, যাতে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের নুন্যতম পরিবেশ আমরা পাই।’

তিনি বলেন, ‘একটি দলের পোস্টার ছাড়া অন্য কোনো দলের পোস্টার দেখা যায় না। এটা আমি জীবনে দেখিনি। শুধু এক দলের পোস্টার থাকে, অন্য দল মাঠে নামতে পারে না। আমি যতদিন বেঁচে থাকি এ কথাগুলো বলে যাব। আপনাদের সামনে বলব, অন্যদের সামনে বলব। প্রতিকার দাবি করব। মানুষের ভোটাধিকারের  ক্ষমতার কথা বলব। লাখো লাখে শহীদ সেই ক্ষমতা দিয়ে গেছেন- সেটা থেকে যেন জনগণ বঞ্চিত না হয় । এখন যে প্রক্রিয়া চলছে তাতে বঞ্চিত করার প্রক্রিয়া অব্যাহত। এটি দ্রুত বন্ধ করতে হবে। ইসি সেই ক্ষমতা রাখে।

তিনি ৩০ তারিখের পর ইনকোয়ারি কোনো অর্থ থাকবে না। একদিনের মধ্যে রির্পোট চেয়ে পরশুর মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া উচিত সেটা আমরা মনে করি। সংবিধান অনুযায়ী ইসির ক্ষমতা আছে কিন্তু উনারা প্রয়োগ করছেন না।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে আ স ম রব বলেন, ‘আজ থেকেই আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছি।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্য কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেন ছাড়াও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কাদের সিদ্দিকি, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মইন খান, মোস্তফা মহসিন মিন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৮/হাসিবুল/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়