সিইএস’র সেরা পাঁচ প্রযুক্তি
মো. রায়হান কবির || রাইজিংবিডি.কম
মোটিভ স্মার্ট রিং
মো. রায়হান কবির : ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি আমেরিকার লাস ভেগাসে হয়ে গেল বিশ্বের সবচেয়ে বড় কনজুমার ইলেকট্রনিক্স শো (সিইএস)।
সেখানে প্রায় ৪০০০ প্রদর্শক তাদের পণ্য উপস্থাপন করেছে। এখানে নামীদামী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি অখ্যাত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানও নজর কেড়েছে। সিইএস এর সেরা পাঁচ প্রযুক্তি নিয়ে সাজানো হল আমাদের আজকের আয়োজন।
টয়োটার কনসেপ্ট কার : ২০৩০ সালে গাড়ি দেখতে কেমন হবে বা তার কি ধরনের সুবিধা থাকবে তার একটি ধারণা দেওয়া হয়েছে টয়োটার কনসেপ্ট কারে। কাঁচের দরজা আর আলোকিত কাঠামোয় দেখতে মনে হবে অ্যালিয়েনদের কোনো যানবাহন। অ্যালিয়েনদের যানবাহন আমরা যে ধরনের কল্পনা করি, টয়োটার কনসেপ্ট কারও অনেকটা সেরকম। এর চাকা গাড়ির কাঠামোর সঙ্গেই যুক্ত। তাছাড়া এর ইন্টেরিয়র ডিজাইন অসাধারণ। টয়োটা বিশ্বাস করে আজ থেকে ১৪ বছর পরেও আপনি ড্রাইভ করতে চাইবেন, তাই আজ থেকেই আপনার ড্রাইভিং ক্ষুধা বাড়িয়ে ২০৩০ সাল পর্যন্ত অপেক্ষায় রাখবে এই কনসেপ্ট কার।
এলজির ওয়ালপেপার টিভি : টিভি থেকে যদি আপনার মোবাইলকে মনে হয় মোটা তখন আপনার কেমন লাগবে! হ্যাঁ, এলজির চাওয়া ছিল এমনটাই। এলজির ওয়ালপেপার টিভি দেখে আইফোন সেভেন কে মনে হবে অনেক মোটা। ৬৫ ও ৭৭ ইঞ্চির ওএলইডি প্রযুক্তির ফোরকে টিভি আপনাকে টিভি দেখার অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে। এটা চুম্বক প্রযুক্তির সাহায্যে আপনার দেয়ালে আটকে থাকবে। এই টিভি দেখার সময় মনে হবে আপনি দেয়ালের সঙ্গে যুক্ত কোনো জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন!
ড্রোন এবার পানির রাজ্যে : ড্রোন বলতে উড়ুক্কু কিছুই বুঝি। যেটা তার পাখা ঘুরিয়ে উড়তে থাকবে আপনার চারপাশে। কিন্তু পাওয়ার ভিশনের পাওয়ার রে নামক ড্রোন পানির নিচেও আপনাকে দেবে অন্যরকম অভিজ্ঞতা। পানির নিচে ৩০ মিটার পর্যন্ত এই ড্রোন তার কার্যক্রম চালাতে পারে। সুতরাং জলের নিচের দুনিয়া এখন আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে। জাহাজ চালাতে কিংবা বড় বড় মাছের নৌকার জন্যে এটা একটা দারুন প্রযুক্তি হিসেবে গন্য হবে।
স্নু বেসিনেট : আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে নতুন জন্ম নেয়া শিশুকে সাধারণত বাবা-মায়ের সঙ্গেই রাখা হয় ঘুমানোর সময়। কিন্তু পশ্চিমা সংস্কৃতিতে বাচ্চাদের জন্যে আলাদা বিছানা থাকে। যা হোক এসব সদ্য জন্ম নেয়া শিশুদের জন্যে বেশিনের মতো দেখতে এক ধরনের দোলনার মতো ডিজিটাল বিছানা বাজারে এসেছে, যা বাবা-মাকে ছাড়াই শিশুর বেশকিছু খেয়াল রাখতে পারে। যেমন, শিশুর ঘুম ভেঙে গেলে এই বিছানা নিজ থেকেই দোলনার মতো দুলতে থাকবে। এমনকি শিশুকে গুনগুন করে ঘুমপাড়ানি গান শোনাবে। বিখ্যাত ডিজাইনার ইভেস বেহার এটা ডিজাইন করেছেন।
মোটিভ স্মার্ট রিং : হেলথ ডিভাইসের মধ্যে এতদিন স্মার্টওয়াচের রাজত্ব ছিল। এখান সেখানে আংটিও যুক্ত হচ্ছে। মানুষ যত ছোট প্রযুক্তি পায় ততই পছন্দ করে। ঘড়ি পরার চেয়ে আংটি পড়া তুলনামূলক কম বিরক্তির। তাই মোটিভের এই স্মার্ট রিং আপনার প্রতিদিনের বিভিন্ন ডাটা সংগ্রহ করে আপনার স্মার্টফোনে পাঠিয়ে দেবে। আপনার প্রতিদিনের হাঁটার গতি, পদক্ষেপের সংখ্যা, হার্ট রেট সহ আরো নানা তথ্য এটা আপনার স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ জানুয়ারি ২০১৬/ফিরোজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন