ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘জাতীয় তালিকায় সেরা হতে চাই’

মহিউদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৭, ২০ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘জাতীয় তালিকায় সেরা হতে চাই’

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা : দক্ষিণ পূর্ব-বাংলার সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। ২৭ হাজার শিক্ষার্থীর এ কলেজটি এবার চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় সেরা কলেজ হিসেবে মনোনীত হয়েছে। তবে এ স্থান নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে চান না কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো.আবদুর রশীদ।

 

তিনি বলেন, ‘১১৭ বছরের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ভিক্টোরিয়া কলেজ দেশের স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তার অতীত গৌরব অনেক সমৃদ্ধ। আমরা আগামীতে জাতীয় তালিকায় যেন সেরা হতে পারি সে বিষয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

 

কলেজের সূত্রে জানা যায়, ১৮৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন জমিদার রায় বাহাদুর আনন্দ চন্দ্র রায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন।

 

প্রতিষ্ঠালগ্নে এ কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানের মধ্য দিয়ে ১০৭ জন ছাত্র এবং সাতজন শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে। ১৯১৮ সালে চালু হয় অনার্স কোর্স। বিএসসি এবং বিকম কোর্স শুরু হয় পর্যায়ক্রমে ১৯৪২ এবং ১৯৫৬ সালে। নৈশকালীন পাঠদান কর্মসূচি চালু হয় ১৯৫৮ সালে। ১৯৬২ সালে এ কলেজ উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখায় বিভক্ত হয়। ১৯৭১ সালে পাঁচটি বিভাগ চালু করা হয়। বাংলা বিভাগ চালু হয় ১৯৭৩ সালে। ১৯৮৪-৮৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের মর্যাদা লাভ করে। অনার্স এবং উচ্চ মাধ্যমিক শাখা ২৯ একর ভূমির ওপর প্রতিষ্ঠিত।

 

 

সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কাজের চর্চায় বিএনসিসি (সেনা), বিএনসিসি (বিমান), মুভ রেড ক্রিসেন্ট, বিতর্ক পরিষদ, ভিক্টোরিয়া কলেজ থিয়েটার ও রোভার স্কাউটস নিয়োজিত রয়েছে।

 

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ৩৩৪ জন ছাত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। ৩৫ জন ছাত্র প্রাণ বিসর্জন দেন। খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন- মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), লে. কর্নেল (অব.) আকবর হোসেন (বীর প্রতীক), শহীদ খাজা নিজাম উদ্দিন (বীর উত্তম) ও আব্দুল  মমিন (বীর প্রতীক)।

 

এই কলেজের অনেক শিক্ষার্থী দেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনামের সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। অনেক ছাত্রের মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা জেলা পরিষদ প্রশাসক ওমর ফারুক, টিভি উপস্থাপক হানিফ সংকেত, প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মুসা, বিজ্ঞানী আবদুল জলিল প্রমুখ।

 

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শেষ পর্বের ছাত্র আলাউদ্দিন আজাদ, পরিসংখ্যান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রহমত উল্লাহ নীরব ও ইংরেজি চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী আমিনা আক্তার প্রিয়া জানান, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়ে গৌরব বোধ করছি। কারণ এ কলেজের রয়েছে গৌরবময় অতীত। এখানে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে মানবসেবায় নিজেদের ব্যস্ত রেখেছেন বিভিন্ন গুণীজন।

 

ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুর রশীদ বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা আন্দোলনসহ দেশের ক্রান্তিকালে আমাদের কলেজের বহু অবদান রয়েছে। এছাড়াও প্রতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখার ফলাফলে এ কলেজের শিক্ষার্থীরা অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করছে। সফলতার ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা কাজ করছি। সংস্কৃতি চর্চা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নেও আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

 

রাইজিংবিডি/কুমিল্লা/২০ মে ২০১৬/মহিউদ্দিন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়