গাইবান্ধার ডিসিকে ক্ষমা, এসপিকে তলব
মেহেদী || রাইজিংবিডি.কম
নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘বাঙালি’ শব্দের আগে ‘দুষ্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহারে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করায় গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুস সামাদকে ক্ষমা করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে একই শব্দ প্রয়োগের ব্যাখ্যা দিতে এবার গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে (এসপি) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ২ জানুয়ারি তাকে সশরীরে হাজির হতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর অগে হাইকোর্টে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে ব্যাখা দেন গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবদুস সামাদ।
ব্যাখ্যায় বলা হয়, সাঁওতালদের ঘটনায় এসপির দেওয়া রিপোর্টের আলোকে তিনি হাইকোর্টে প্রতিবেদন দেন। এরপর এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে এসপিকে তলব করেন আদালত।
গত ৬ ডিসেম্বর ‘বাঙালি’ শব্দের আগে ‘দুষ্কৃতকারী’ শব্দ ব্যবহারের ব্যাখ্যা দিতে গাইবান্ধার ডিসিকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে সশরীরে হাজির হয়ে ওই শব্দ প্রয়োগের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সাঁওতালদের নিয়ে জারি করা রুলের শুনানিকালে এই আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত বলেন, ‘গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক বাঙালিদের দুষ্কৃতকারী বলেছেন। একাত্তরের আগে এটা মানা যেত। ফাইজলামির একটা সীমা থাকা উচিত।’ এরপর আদালত গাইবান্ধার ডিসিকে তলব করেন।
তার আগে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, ‘সাঁওতালদের ওপর হামলার ঘটনায় ৩০ নভেম্বর গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়।’
প্রতিবেদনের এক জায়গায় ডিসি বলেন, ‘সাঁওতাল ও কিছু বাঙালি দুষ্কৃতকারী চিনিকলে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।’
সেদিন আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, এ এম আমিনউদ্দিন। চিনিকল কর্তৃপক্ষের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম এ মাসুম ও ব্যারিস্টার দীপা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ডিসেম্বর ২০১৬/মেহেদী/সাইফুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন