ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দেখে এলাম এভারেস্ট

উদয় হাকিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ১৫ জুন ২০১৪   আপডেট: ১৩:২৯, ৫ জানুয়ারি ২০২১
দেখে এলাম এভারেস্ট

উদয় হাকিম, নেপাল থেকে ফিরে : মাউন্ট এভারেস্ট। দ্য টপ অব দি ওয়ার্ল্ড। পৃথিবীর উচ্চতম শৃঙ্গ। এভারেস্ট দেখার ইচ্ছে কার না আছে। ছিল আমারও। দুর্নিবার সে ইচ্ছে। অবশেষে পূরণ হলো এভারেস্ট দেখার সাধ! তবে সামিট করে নয়, পাঁয়ে হেঁটে নয়। দেখলাম বিমান থেকে।

দেখলাম আলোর মাঝে অপূর্ব সে আলো। মাথা উঁচু করে ঠায় দাঁড়িয়ে। যেন সারা পৃথিবীর ভার বয়ে তবু অবিচল। অম্লান শুভ্র বসনে, বীরের বেশে। যেন নিরন্তর চির উন্নত শির।

স্থানীয় সময় সকাল ৭টা। পুব আকাশে সূর্য। চরাচর ভেসে যাচ্ছে উজ্জ্বল আলোয়। পুরো উত্তর পাশ জুড়ে শত শত পাহাড়ের চূড়া। বোঝার উপায় নেই কোনটা এভারেস্ট! তার পরও এভারেস্টের সমান উচ্চতায় আর তো কিছুই নেই। এভারেস্ট দাঁড়িয়ে স্বমহিমায়। যখন একটা এভারেস্ট থাকে, তার চারপাশের অন্য সবকিছু হয়ে যায় ম্লান।

দেখলাম ত্রিকোণাকৃতির চূড়া। অন্য সবকিছুর চেয়ে আলাদা। ভয়াল ধু-ধু বিন্দু। হালকা বাতাস। মেঘেরা ভেসে বেড়ায় অনেকটা দূর দিয়ে। এত উঁচু বন্ধুর পর্বতে মানুষ কীভাবে ওঠে! সুউচ্চ এই চূড়ায় আরোহণ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২০০-এরও বেশি মানুষ। তার পরও থেমে নেই এভারেস্ট জয়ের বাসনা। এভারেস্টের কাছে গেলে মনে হয়, পুরো পৃথিবীটাই বোধহয় এরকম- শুধু বরফের আস্তর, বরফের পাহাড়, বরফের রাজত্ব, কোথাও নেই এতটুকু সমতল।

এভারেস্টের উচ্চতা ৮ হাজার ৮৪৮ মিটার। এভারেস্টে ওঠার সর্বশেষ বেস ক্যাম্প সম্ভবত ৭ হাজার ৯০৬ মিটার উঁচুতে। এ জায়গাটাকে মনে হলো যেন বরফের নদী। সম্ভবত বরফ গলতে শুরু করলে এখানে মানুষের দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল। এজন্য মে মাসের শেষ সপ্তাহ শুরু হওয়ার আগেই সামিট সিজন শেষ হয়ে যায়।

এভারেস্টের ওপরটা দেখলে মনে হয় না, এত কঠিন এখানে ওঠা। কাছ থেকে মনে হয়, সহজেই ওঠা সম্ভব। কিন্তু বরফের ওপর দাঁড়ানো অত সহজ নয়। মসৃণ চকচকে দেখা গেলেও আদতে ওই স্থানটি অতি ভয়ানক। যারা হেঁটে এভারেস্টে ওঠেন তারা কিন্তু বেশিক্ষণ সেখানে থাকেন না। শুধু ছবি তোলা, পতাকা প্রদর্শন এবং অতি সংক্ষিপ্ত কিছু স্মৃতিচিহ্ন বা স্মারক রাখা ছাড়া আর সময় নেই। কারণ, ওখানে সময় নষ্ট করা মানেই মৃত্যুকে ডেকে আনা।

আগেরবার নেপাল গিয়েও এভারেস্ট দেখতে পারিনি। তাই এবার মিস করতে চাইনি। আগের দিন টিকিট কনফার্ম করেছি। টিকিট ১৯৪ ডলার। কাঠমান্ডুর তিব্বত হোটেল থেকে গাড়িতে নিয়ে যাবে আর দিয়ে যাবে। সব মিলিয়ে ২১২ ডলারের প্যাকেজ।

ভোর সাড়ে ৫টায় গাড়ি এল হোটেলে। তৈরি হয়ে ছিলাম আগেই। আধা ঘণ্টায় এয়ারপোর্টে চলে গেলাম। ইয়েটি এয়ারলাইন্সের বোর্ডিং কার্ড নিলাম। ২ নম্বর গেটে গিয়ে অপেক্ষা। কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের গাবতলী বাস টার্মিনালের চেয়েও দুরবস্থা। ভাঙা একটা বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করলাম। এখানে শুধু এভারেস্ট দেখানোর জন্য বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স কাজ করছে। অফ সিজনেও যাত্রীসংখ্যা নেহাত কম নয়। পাঁচ মিনিট পরপরই একটা করে ছোট বিমান টেক অফ করছে। ঠিক সাড়ে ৬টায় ডাক এল আমাদের।

নড়বড়ে সিঁড়ি দিয়ে বিমানের ভেতরে ঢুকলাম। বিমানবালা নিচু করে ঢুকতে বললেন, না হলে মাথা ঠুকে যাবে ওপরে। বাঁ পাশের সিঙ্গেল সিট আমার। খুব ভালো পজিশন। ডান পাশে দুজন করে বসল। সব মিলিয়ে ১৬-১৭ জন যাত্রী। বিমানবালা দেখতে সুন্দর, ইংরেজি উচ্চারণও খুব ভালো। তবে কথা বলে খুব নিচু স্বরে। কান পর্যন্ত কথা পৌঁছোয় না।

ঘরঘর শব্দ করে বিমান উঠল রানওয়েতে। সিগন্যাল ওকে। ছোট্ট, হালকা বিমান। সামান্য দৌড়েই উড়ে গেল আকাশে। মনে হচ্ছিল, ফড়িংয়ের পিঠে চড়েছি। আমার হাইট ফোবিয়া আছে। কিন্তু ফড়িং বিমানে কোনো ভয় লাগছে না। মনে হচ্ছে বিমানটি আমিই চালাচ্ছি। আরো যদি সুযোগ পেতাম!

নিচে কাঠমান্ডু শহর। উত্তর পাশে বিশাল কালো পাহাড়, যেটি দাঁড়িয়ে আছে বিমানবন্দরকে আড়াল করে। কিন্তু কালো পাহাড়ের পেছনেই যে বিশালাকার ধবল পাহাড়, সেটি বুঝতে পারিনি। বরফ মাথায় দাঁড়িয়ে আছে গগনবিস্তৃত রূপ নিয়ে। গ্রাউন্ড থেকে দেখা যায়নি।  

নেপালের পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে বিস্তৃত হিমালয় পর্বতশ্রেণি। পুরোটা জুড়েই অসংখ্য শৃঙ্গ। চিরকাল বরফে ঢাকা এসব শৃঙ্গের প্রত্যেকটিই যেন একেকটি এভারেস্ট। এসব চূড়ার সংখ্যাও কয়েক হাজার। শুনেছি, এভারেস্টের কাছাকাছি উচ্চতার ৮০টি চূড়া আছে আশপাশে।   

কয়েক মিনিটের মধ্যেই হিমালয়ের দক্ষিণ পাশে পৌঁছাল বিমান। মেঘগুলো হিমালয়ের উত্তর পাশ থেকে দক্ষিণে আসার চেষ্টা করছে। পাহাড় ডিঙাতে না পেরে ধোঁয়ার মতো গলিয়ে আসছে। পর্বতে ধাক্কা খেয়ে ওপরে উঠছে। এপাড়ে এসে ছড়িয়ে যাচ্ছে। এখনো বরফ গলা শুরু হয়নি। রোদ ওঠেনি তেমন। এই ট্যুরগুলো সাধারণত ভোরে হয়। কারণ বেলা গড়ালে বরফ গলে ধোঁয়া আর মেঘে একাকার হয়ে যায়। তখন সফেদ পাহাড়ের আসল সৌন্দর্য ধরা পড়ে না। ভালোমতো দেখা যায় না এভারেস্টও। যিনি টিকিট দিয়ে গেছেন, তিনি অবশ্য অভয় দিয়েছেন- বৃষ্টি হলে পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হবে।

আকাশ পরিষ্কার। ভাগ্য ভালো। কাল রাতেও বৃষ্টি হয়েছে। সকালটা রৌদ্রোজ্জ্বল। জমাট বরফের সুচালো মাথাগুলো চকচক করছে। এর আগে পোখরা গিয়ে অন্নপূর্ণা আর ধবলাগিরি দেখেছিলাম ভোরবেলায়। পূব আকাশে সূর্য উঁকি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গিরিচূড়ায় যেন আগুন জ্বলে। অপূর্ব সে আলো যেন পবিত্রতার প্রতীক। সোনালি আলোর সে আভা যেন পৃথিবীর আরেক রূপ।

পর্বতশ্রেণির দক্ষিণ পাশ দিয়ে বিমান চলছে। সোজা পূর্ব দিকে। বাঁ পাশে শুয়ে আছে শত শত পাহাড়। ধবল শ্বেত-শুভ্র বরফ আচ্ছাদিত। যেন অন্তহীন দুর্গম প্রান্তর। কোনো প্রাণিকুলের চিহ্নমাত্র নেই। তার পরও প্রাণোচ্ছল সে দৃশ্য!

বি

বিমানবন্দর থেকে এভারেস্ট যাওয়ার পথে ১৫টিরও বেশি বিখ্যাত শৃঙ্গ আছে এই ভ্রমণপথে। সেগুলো হচ্ছে পুমরি (উচ্চতা ৭১৬১ মিটার), তাওয়াচি (৬৫০১ মি.), লিংট্রেন (স্থানীয় ভাষায় ল্যাংটাং, ৬৭১৪ মি.), এভারেস্ট বেস ক্যাম্প (৫২০০ মি.), খরতিচেংরি (৭০৩১ মি.), খুমবাতস (৬৬৩৬ মি.), নাপ্তসি (৭৮৬১ মি.), থামসারকু (৬৬০৮ মি.), এভারেস্ট (৮৮৪৮ মি.) সাউথ কুল (৭৯০৬ মিটার- এখান থেকে সম্ভবত সামিট করার শেষ যাত্রা শুরু হয়), এমাদাব্লাম (৬৮১২ মি.), লোতসি (৮৫১৬ মি.), ক্যাংতেগা (৬৭৮২ মি.), লোতসি শের (৮৩৮৩ মি.), পেথাংসি (৬৭২৩ মি.)।

বিমান চলছেই। পর্বতের শেষ নেই। আদিগন্ত চুনের পাহাড় (বরফগুলোকে মাঝে মাঝে ওরকম মনে হয়)! বাঁ দিক থেকে ঘাড় ফেরাতেই পারছি না। এত বিস্ময় চোখের সামনে! নিচ থেকে একটা শৈল্পিক রূপ নিয়ে ওপরে উঠে গেছে খাড়া ঢাল। বরফগুলো গলে গলে নিচে পড়ছে। ঝলমল করছে ঝরনাধারা। যেন দুধের নহর!

আইফোনে স্টিল ছবি তুলছি। সঙ্গে এনেছি সনি-১৭৭ ম্যুভি ক্যামেরা। ভিডিও করছি। বুঝতে পারছি না ছবি তুলব, নাকি মনের মেমোরিতে রাখব। কখনো ছবি তুলছি, কখনো ভিডিও করছি। কখনো ভাবছি, না, মন ভরে দেখে নিই।
একজন একজন করে পর্যটককে ককপিটে ডেকে নিচ্ছেন বিমানবালা মেয়েটি। আমি ইচ্ছে করেই একটু পরে গিয়েছি। কারণ আমার ইচ্ছে এভারেস্ট যখন কাছে আসবে তখন যাব বিমানের ককপিটে। ইচ্ছে পূরণ হলো। মেয়েটি আমাকে ডেকে নিয়ে গেলেন। ভিডিও ক্যামেরা অন করে গেলাম ককপিটে। পাইলট আর কো-পাইলটের মাঝখানে গিয়ে দাঁড়ালাম। জিজ্ঞেস করলাম, এভারেস্ট কোনটা। বাঁ দিকের সবচেয়ে উঁচু মাথা দেখিয়ে তারা বললেন, ওইটা। আমি বিস্ময় নিয়ে দেখলাম। মন ভরে দেখলাম। সব শৃঙ্গের সঙ্গে যুক্ত, কিন্তু সবার থেকে আলাদা। পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু শৃঙ্গ-মাউন্ট এভারেস্ট! নজরুলের ভাষায়- আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা, চির উন্নত শির।

পিরামিডের মতো মাথা এভারেস্টের। তবে একেক অ্যাঙ্গেল থেকে দেখলে একেক রকম মনে হয়। কখনো খাড়া! কখনো সহনীয় ঢালু। এর ওপরের সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করার নয়! কারো পক্ষেই এই বহুরূপী, অপরূপা এভারেস্টকে সঠিক অভিধায় বর্ণনা করা সম্ভব নয়। একেক সময়ে এর একেক রূপ। একই অঙ্গে শতরূপ। নয় শুধু বরফের স্তূপ!

এভারেস্টের আশপাশে অসংখ্য শৃঙ্গ শান্ত্রির মতো ঘিরে আছে তাকে, আনারসের মুকুল যেমন অসংখ্য পাতা দিয়ে ঘেরা থাকে। কিন্তু এভারেস্টের সৌন্দর্য তাতে কমেনি এতটুকু। চীনের দিকটায় (উত্তরে) মনে হলো পাহাড়ের সংখ্যা কম। ঢাকা থেকে কাঠমান্ডু যাওয়া-আসার পথে এভারেস্ট দেখা যায়। কিন্তু তখন বোঝা যায় না যে এভারেস্টের আগেও অসংখ্য চূড়া দাঁড়িয়ে আছে।

সকালবেলা বলেই হয়তো এভারেস্টের চারপাশটা একেবারেই শান্ত। মেঘ নেই। বাতাস নেই। ঝড় নেই। বরফের স্খলন নেই। অথচ এই এভারেস্টে উঠতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২০০-এরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আবার সেসব প্রাণহানিও কি এভারেস্টের প্রতি মোহ কমিয়েছে কারো? মোটেও না।

এভারেস্টের দক্ষিণ পাশ থেকে বিমান টার্ন নিল। যে পথ দিয়ে এসেছে, সে পথ দিয়েই ফিরছে। এবার বিমানের ডান পাশে যারা বসেছেন তারাই ভালো দেখতে পাচ্ছেন। আমার চেয়েও ভাগ্যবান তারা!। কী আর করা। চায়নিজ এক লোককে ম্যানেজ করে কয়েকটা ছবি তুললাম। এবার যাচ্ছি ধবল পাহাড়ের প্রায় ওপর দিয়ে। শ্বেতপাথরের পাহাড়গুলো একটার সঙ্গে গা এলিয়ে শুয়ে আছে আরেকটা। যেন এ চরাচরে পাহাড় ছাড়া আর কিছু নেই! ধবধবে সাদা মাথাগুলোর সমান্তরালে যাচ্ছে বিমান। ইচ্ছে হচ্ছিল শ্বেপাথরের ঢিবিগুলো হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখার। হেলিকপ্টার হলে হয়েতো সুবিধামতো একটা জায়গায় নেমে দেখা যেত। হয়তো না। কিন্তু বিমানে সেটি একেবারেই সম্ভব নয়।

বাঁ দিকে দেখলাম পাহাড়ের ঢাল নেমে গেছে অনেক নিচে। একটা পর্যায়ে মরচে পড়া লোহার রঙের মতো পাহাড়। যেখানে বরফ জমেনি। একেবারে নিচে সবুজ ঘাস, ছোট ছোট গাছ। আছে কিছু ঘরবাড়ি। পাহাড়ের পাদদেশেই বাড়িঘর। শেরপারা এ রকম জায়গাতেই থাকে। তাই পাহাড় নিয়ে খুব একটা ভীতি নেই তাদের। শেরপারা হন অসীম সাহসী। অক্সিজেন সমস্যাও সহজে কাবু করতে পারে না তাদের। সবই অভ্যাস!

ফিরতি পথে আধা ঘণ্টা! তার পরও শৃঙ্গ যেন শেষ হয় না। এক পলকও চোখ ফেরাতে ইচ্ছে করে না। খানিকটা পর বিমান বাঁ দিকে মোড় নিল। এবার নামার পালা। এক ঘণ্টায় কত দূর যাওয়া যায়? ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যতদূর, কাঠমান্ডু এয়ারপোর্ট থেকে এভারেস্ট তত দূর। এক ঘণ্টায় গিয়ে আবার ফিরে আসা যায়।

বিমানবালা একটা বই বের করলেন। এভারেস্টের চমৎকার সব ছবি। খুব সুন্দর বাঁধাই। দুই হাজার রুপি করে বিক্রি করছেন বইগুলো। একটা নিলাম। দেখলাম ভেতরে সত্যিই অসাধারণ সব ছবি।

একটু পরই মেয়েটি এসে আমাকে একটা সার্টিফিকেট দিলেন! বিমানে এভারেস্ট দেখেছি তার স্মারক! সেখানে তারিখ দেওয়া, পাইলটের সাইন করা। নামের জায়গাটা ফাঁকা। সত্যি বলতে কি, এটা আমার ধারণার বাইরে ছিল। মনে হলো যেন পায়ে হেঁটেই সামিট করেছি! যাক, সার্টিফিকেট তো একটা পেয়েছি! নাতিপুতিদের দেখাতে পারব- দেখ, এভারেস্টে আমিও গিয়েছি! আসলে ওরা বোঝে, পর্যটকদের কীভাবে খুশি করতে হয়!

ঠিক ফড়িংরে মতো হেসেখেলে বিমান ল্যান্ড করল। নিচে নেমে বিমানের কয়েকটা ছবি তুললাম। তারপর বের হলাম বিমানবন্দর থেকে।

কিন্তু ঘোর কাটছে না এখনো! অপূর্ব সুন্দর বরফে আচ্ছাদিত এভারেস্ট হাতছানি দিয়ে ডাকছে। লতা মুঙ্গেশকরের কণ্ঠে একটা গান আছে- কে যেন গো ডেকেছে আমায়...!

সত্যি বলতে কি, একবার দেখে এভারেস্টের সৌন্দর্য বোঝা যায় না। আবার যদি নেপালে যাই, এভারেস্টে আবার যাব, এভাবে...।

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ জুন ২০১৪/এনএ/কমল কর্মকার

রাইজিংবিডি.কম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়