ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সুরের মাটি ভুলতে বসেছে শেকড়ের বংশীবাদককে

হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০৭, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সুরের মাটি ভুলতে বসেছে শেকড়ের বংশীবাদককে

হাসান মাহামুদ : ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি’ কিংবা ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা’- এ রকম অসংখ্য গানের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর যোদ্ধাদের অনু্প্রেরণা দিয়েছে, সাধারণ জনগণের জুগিয়েছে মনোবল।

তেমনি আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী… গানের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আমরা এখনো স্মরণ করি, শ্রদ্ধা জানাই। আবার এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা… গানটির দ্বারা আমরা এখনো মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। রয়েছে নানা দেশাত্মবোধক গান যা জাতীয় দিবসগুলোতে আমাদের উদ্দীপ্ত করে। বাংলার পথে-প্রান্তরে-ইতিহাসে-রক্তে-আবেগে মিশে আছে সেসব গান আর সুর।

সঙ্গীতের রয়েছে নানান লয়, নানান ধারা। একেক ধারা একেকজন কিংবা একই মানসিকতার কিছু মহান মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তেমনি বাংলাদেশে লোক সঙ্গীতের বিকাশ  এবং পূর্ণতা পেয়েছে মরমী শিল্পী আব্দুল আলীমের হাতে। তিনি বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের প্রাণ পুরুষ, লোক সঙ্গীতের মুকুটবিহীন সম্রাট।

বাংলা লোক সঙ্গীতকে অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। বিশেষত তাঁর আধ্যাত্মিক ও মরমী মুর্শিদী গানের জন্য অমর হয়ে থাকবেন আবদুল আলীম। তাঁর কিছু অবিস্মরণীয় গান হলো- নবী মোর পরশমনি; হলুদিয়া পাখী, সোনালী বরন; মেঘনার কূলে ঘর বাঁধিলাম; এই যে দুনিয়া কিসেরও লাগিয়া; মনে বড় আশা ছিল যাবো মদীনায়; দুয়ারে আইসাছে পালকি; আমারে সাজাইয়া দিও ইত্যাদি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের ৩ বছর পর ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর আজকের দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী। বাংলাদেশের লোক সঙ্গীতের উৎকর্ষতায় তার অবদান অবিস্মরণীয়। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়া লাগা আমোদের ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি জাতীয়ভাবেও তিনি বর্তমানে অনেকটাই অবহেলার পাত্র। বিশেষ করে আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে নেই তেমন কোনো অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গণে যার এতবড় অবদান এরই মধ্যে অনেকেই ভুলে গেছে তাকে। অথচ বাংলা গান বিশেষ করে লোকগানকে বর্হিবিশ্বে তিনি পরিচিত করেছেন তার অসাধারণ কণ্ঠ মাধুর্যে। বাংলা গানের প্রবাদপ্রতীম এই শিল্পীকে কেউ সেভাবে মনে রাখেনি। শুধুমাত্র কয়েকটি চ্যানেলে তার গান গাওয়ার মধ্যেই স্মরণ করে তাকে। তাও পুত্রকন্যা ছাড়া আর কাউকে ঠিক সেভাবে তাঁর গান গাইতেও দেখা যায় না।

পাঠক সমাজে একটি কথা খুব প্রচলিত আছে। তা হলো- কলকাতায় সমরেশ আর সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় আর বাংলাদেশে হুমায়ূন আহমেদ মানুষকে বই পড়ানো শিখিয়েছেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে মানুষ এখন কতটা বইয়ের অনুরাগী, তা অন্তত প্রতিবছর একুশে বইমেলায় গেলেই বুঝা যায়। এমনকি প্রকাশনা এখন বাংলাদেশে শিল্পের মর্যাদা পর্যন্ত পেয়েছে।

তেমনি গানের কথা যদি বলতে হয়, তাহলে বাংলাদেশের মানুষকে সুরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন এই আবদুল আলীম। এমনকি স্বাধীনতার আগেও, যখন বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান ছিল, তখনো এই অঞ্চলের নিপীড়িত মানুষ আবদুল আলীমে ভাবনার বসতি গড়েছে।

কিন্তু কালক্রমে আধুনিক ধারার গানের এবং সুরের প্রবর্তন ও প্রচলন হয়েছে। আর শেকড়কে ভুলে গেছে সবাই। কণ্ঠস্বরের অসাধারণ ঐশ্বর্য্য নিয়ে যারা এ মায়াময় পৃথিবীকে গানের আবহে মাতিয়ে দিয়েছেন আবদুল আলীম ছিলেন তাদের মধ্যকার অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিল্পী। দরাজ কণ্ঠের অধিকারী আবদুল আলীম যখন গান গাইতেন, তখন মনে হতো পদ্মা মেঘনার ঢেউ যেন আছড়ে পড়ছে শ্রোতার বুকের সৈকতে।

পেশাগত জীবনে আবদুল আলীম ছিলেন ঢাকা সঙ্গীত কলেজের লোকগীতি বিভাগের অধ্যাপক। বাংলা লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী লোক সঙ্গীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন; যেখানে জীবন জগৎ এবং ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই সঙ্গীত কলেজেও আবদুল আলীম স্মরণে কোনো অনুষ্ঠান হয় না।

আমরা চাই, এই সুরের পাখির জন্ম এবং মৃত্যুবার্ষিকীতে জাতীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হোক। তাহলে অন্তত, আগামী প্রজন্ম এই সুরস্রষ্টাকে একেবারেই ভুলে যাবে না।

আবদুল আলীম ১৯৩১ সালের ২৭ জুলাই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার তালিবপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত অসচ্ছ্বল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ছিল মোহাম্মদ ইউসুফ আলী। বাল্যকাল থেকেই আলীম সঙ্গীতের প্রবল অনুরাগী ছিলেন। তবে নে সময় অর্থনৈতিক অভাব-অনটনের কারণে কোন শিক্ষকের কাছে গান শেখার সৌভাগ্য তাঁর হয়নি। তিনি অন্যের গাওয়া গান শুনে গান শিখতেন। আর বিভিন্ন পালা পার্বণে সেগুলো গাইতেন। খুব অল্প বয়স হতেই বাংলার লোক সঙ্গীতের এই অমর শিল্পী গান গেয়ে নাম করেছিলেন।

আবদুল আলীম মারফতি-মুর্শিদি গানে ছিলেন অদ্বিতীয়। তাঁর দরদভরা কণ্ঠে মরমিধারার গান অতি চমৎকারভাবে ফুটে উঠত। তাঁর গাওয়া হলুদিয়া পাখি সোনারই বরণ, পাখিটি ছাড়িল কে’ গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। তিনি প্রায় পাঁচশ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। এসবের মধ্যে কিছু গান তাঁর নিজের রচনা।

ব্রিটিশ শাসনের বিদায় পর্ব তখন অনেকটা চূড়ান্ত। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন তীব্রভাবে শুরু হয়েছে। এমন সময় ১৯৪২ সালে শেরে বাংলা এ. কে ফজলুল হক কলকাতা আলিয়া মাদরাসায় সফরে আসেন। সেখানে আলোচনা সভার পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। আবদুল আলীমের বড় ভাই শেখ হাবিব আলী আবদুল আলীমকে নিয়ে সে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। আবদুল আলীমের অজ্ঞাতেই তাঁর বড় ভাই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের কাছে আবদুল আলীমের নাম দিয়েছিলেন গান গাওয়ার জন্য। শিশুশিল্পী আবদুল আলীম বিচলিত না হয়ে ধীর পায়ে মঞ্চে এসে গাইলেন, ‘সদা মন চাহে মদিনা যাবো’ গানটি। গোটা অনুষ্ঠানের লোকজনের তাক লেগে যায় তাঁর গান শুনে।

সেদিন মঞ্চে বসে আবদুল আলীমের গান শুনে শেরে-বাংলা এ কে ফজলুল হক শিশুর মতো কেঁদে ফেলেন। আবদুল আলীমকে তাঁর বুকে জড়িয়ে নেন। তিনি ভীষণভাবে তাকে উৎসাহ দিলেন, দোয়াও করলেন প্রাণখুলে। সেইসঙ্গে তখনই বাজারে গিয়ে পাজামা, পাঞ্জাবী, জুতা, টুপি, মোজা সব কিনে দিলেন। সেই থেকে শিশু আবদুল আলীমের পরিচয় ছড়িয়ে পড়ে শিল্পী আবদুল আলীম হিসেবে। এরপর নিয়মিত বিভিন্ন পালা পার্বণে গান গেয়ে তিনি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৯৪৩ সালে তাঁর গানের প্রথম রেকর্ড হয়। গান দুটি হলো  ‘আফতাব ঐ বসলো পাটে আঁধার এলো ছেঁয়ে, ও চল ফিরে চল মা হালিমা আছেরে পথ চেয়ে’ এবং ‘তোর মোস্তফাকে দেনা মাগো সঙ্গে লয়ে যাই, মোদের সাথে মেষ চারণে ময়দানে ভয় নাই’। এতো অল্প বয়সে গান রেকর্ড হওয়া সত্যিই বিস্ময়কর। তবে পরে তা আর বিস্ময় হয়ে থাকেনি, তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার লোক সঙ্গীতের এক অবিসংবাদিত পুরুষ।

ছোট বয়সেই শুরু করেন সঙ্গীতচর্চা। ভাষা আন্দোলনের বীর শহিদ বরকত ছিলেন তাঁর সহপাঠী। পড়াশোনার জন্য গ্রামের স্কুল তাঁকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারেনি। কলকাতা করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র প্রখ্যাত জননেতা সৈয়দ বদরুদ্দোজা ও আবদুল আলীম ছিলেন একই গ্রামের লোক। তিনি এ নবীন শিল্পীকে নিয়ে আসেন কলকাতায় নিজ বাসভবনে।

সৈয়দ বদরুদ্দোজার ছোটভাই সৈয়দ গোলাম অলি ছিলেন একজন প্রখ্যাত উস্তাদ। তিনি আবদুল আলীমের সুরের যাদুতে মুগ্ধ হন। আবদুল আলীমকে গানের তালিম দিতে থাকেন তিনি। কিছুদিন পর ছায়াঘন পল্লীগ্রাম তালিবপুরে ফিরে আসেন আবদুল আলীম। ফিরে গিয়ে তিনি আব্বাসউদ্দিন ও কাজী নজরুল ইসলামের সাক্ষাৎ পান। ধীরে ধীরে তাঁদের ঘনিষ্ঠজন হয়ে ওঠেন তিনি। তাঁরা শিল্পী আলীমকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন। তিনি তাদের সাথে লেটো দলে এবং যাত্রা দলেও কাজ করেছেন অনেক দিন।

১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের একমাস পূর্বে আবদুল আলীম কলকাতা ছেড়ে আবারো গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু গ্রামে না থেকে গুরুজনের পরামর্শে ঐ বছরের ডিসেম্বর মাসেই তিনি ঢাকা আসেন। পরের বছর ঢাকা বেতারে অডিশন দেন এবং প্রশংসনীয় পারফরমেন্স দেখিয়ে অডিশনে পাশ করলেন। ১৯৪৮ সালের আগস্ট মাসের ৯ তারিখে তিনি বেতারে প্রথম গাইলেন, বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার মমতাজ আলী খানের ‘ও মুর্শিদ পথ দেখাইয়া দাও’ গানটি।

একটি গানেই তিনি গুণিজনের মন কাড়তে সক্ষম হন। এরপর থেকেই রেডিওতে স্টাফ আর্টিস্ট হিসেবে গান গাইতে শুরু করেন। পরে টেলিভিশন সেন্টার চালু হলে তিনি সেখানেও সঙ্গীত পরিবেশন শুরু করেন। সে সূত্রে বাংলা সাহিত্যের শেকড়সন্ধানী পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের সাথেও আবদুল আলীমের পরিচয় ঘটে।

ঢাকায় তিনি  বেদারউদ্দীন আহমদ, ওস্তাদ  মোহাম্মদ হোসেন খসরু, মমতাজ আলী খান, আব্দুল লতিফ,  কানাইলাল শীল, আব্দুল হালিম চৌধুরী প্রমুখের নিকট তিনি লোকসঙ্গীত ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে শিক্ষা গ্রহণ করেন। বেতার,  টেলিভিশন,  চলচ্চিত্র ইত্যাদি মাধ্যমে গান গেয়ে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। কলকাতা, বার্মা, চীন ও প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়ন সফর করে তিনি বিদেশীদের নিকট বাংলা লোকসঙ্গীতের পরিচয় তুলে ধরেন।

কালজয়ী এই লোকসঙ্গীত শিল্পী মাত্র ৪৩ বৎসর বয়সে ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে পিজি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ আবদুল আলীম নেই। কিন্তু আছে তাঁর গান। তাঁর গানের মাঝে তিনি সঙ্গীত পিপাসু জনগণ- তথা পল্লীগ্রামের মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন যুগ যুগ ধরে। তিনি চলে গেলেও তাঁর গান এখনও মুখে মুখে ফেরে গ্রামে-গঞ্জে। সমানভাবে সমাদৃত হচ্ছে বাংলা গানের মূল শ্রোতাদের কাছে।

সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি জাতীয় পুরস্কার একুশে পদক (মরণোত্তর, ১৯৭৭), পূর্বাণী চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার লাভ করেন।

এদেশের পল্লীগান হলো মাটির গান। পল্লীর কাঁদামাটির মধ্য থেকে বেরিয়ে আসা শিল্পী আবদুল আলীম মাটির গানকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নিয়েছিলেন। পল্লীগানের যে ধারা তিনি প্রবর্তন করে গেছেন সেই ধারাই এখন পর্যন্ত বিদ্যমান। পশ্চিম বাংলার সন্তান হয়েও পূর্ব বাংলার আঞ্চলিক উচ্চারণ রীতি তিনি আয়ত্ত করেছিলেন সহজে; উত্তর বাংলার ভাওয়াইয়া গানের ভাষাও তাঁর কাছে কোনো অন্তরায় হয়ে দেখা দেয়নি।

আব্বাসউদ্দীনের পরে আমাদের লোকসঙ্গীতের ইতিহাসে আবদুল আলীম এক অবিস্মরণীয় নাম। বাংলাদেশের গ্রামীণ মানুষের অন্তর থেকে উৎসারিত গানে এত দরদ আবদুল আলীম ব্যতিত আর কেউ কখনো মেশাতে পারেননি। বর্ষার উচ্ছ্বসিত পদ্মা-মেঘনা-যমুনার তরঙ্গের মতো আবদুল আলীমের কণ্ঠস্বর শ্রোতার চৈতন্যের তটভূমিতে ভেঙে পড়ত অবিরল। গানের কথা ও সুর তাঁর কণ্ঠের সহযোগে যেন স্পর্শগ্রাহ্য হয়ে উঠতো। আবদুল আলীম শুধুমাত্র একজন গানের পাখিই ছিলেন না সত্যিকার অর্থে তিনি ছিলেন সমাজ জাগানিয়া সুরেলা যাদুকর- শেকড়ের বংশীবাদক।

‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি/… পোষা পাখি চিনলাম না, এ লজ্জা তো যাবে না!’ বাংলার মরমী কণ্ঠশিল্পী আবদুল আলীম অচিন পোষা পাখিকে চিনতে না পেরে লজ্জা পেয়ে চলে গেছেন। কিন্তু আমরা সেই পোষা অচিন পাখিকে চিনতে পেরেছি? পারব কোনোদিন!


লেখক: সাংবাদিক

 

 



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হাসান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়