ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

রৌমারীতে ২০ গ্রামে বন্য হাতি আতঙ্ক

বাদশাহ্ সৈকত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২১, ৫ ডিসেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রৌমারীতে ২০ গ্রামে বন্য হাতি আতঙ্ক

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার রৌমারী সদর, যাদুরচর ও শৌলমারী ইউনিয়নের ভারত-সীমান্তবর্তী অন্তত ২০টি গ্রামের মানুষ ভারতীয় বন্য হাতি আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পার করছে। 

 

গত দুই দিন স্থানীয়রা ফসল, ঘরবাড়িসহ জানমালের ক্ষতির আশঙ্কায় বিকেল থেকে রাতভর আগুন জ্বালিয়ে ও ঢাকঢোল পিটিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। হাতির দলটি সুযোগ বুঝে বাংলাদেশে ঢুকে ধান, সরিষা, কালাইসহ চরাঞ্চলের ফসলের ক্ষতি করছে।

 

এ অবস্থায় হাতি দেখার জন্য শত শত উৎসুক জনতা ভিড় করছে। এলাকাবাসী জানান, গত শনিবার রাতে রৌমারী সীমান্তের ১০৬৭ আন্তর্জাতিক সীমানা পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের গারোহিল পাহাড় থেকে হাতির একটি দল বাংলাদেশে ঢোকে। হাতিগুলো ফসলের ক্ষতি করছে। এ অবস্থায় রৌমারী সদর, যাদুরচর ও শৌলমারী ইউনিয়নের বড়াইবাড়ি, বারবান্দা, চুলিয়ারচর, খেয়ারচর ও আলগারজরসহ ২০ গ্রামের মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বন্য হাতির দলটি গ্রামে ঢুকে বাড়িঘরসহ জানমালের ক্ষতি করতে পারে।

 

রৌমারী সীমান্তবর্তী এলাকার লাল মিয়া ও হারুন-অর-রশিদ জানান, বন্য হাতির এ দলটি দেখতে শত শত মানুষ ভিড় করছে। যেকোনো সময় হাতিগুলো রেগে গেলে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। হাতিগুলোকে তাড়িয়ে ভারতের ভেতরে ফেরত পাঠাতে তারা বন বিভাগসহ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।

 

এ ব্যাপারে বনবিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, তারা হাতির দলটিকে তাড়িয়ে ভারতের পাহাড়ে পাঠাতে চেষ্টা করছেন। কিন্ত উৎসুক জনতার ভিড়ের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না। তাছাড়া বন বিভাগের রংপুর রেঞ্জে হাতি তাড়ানোর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোক না থাকায় নিজেরাই চেষ্টা করছেন। তারা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছেন।

 

রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ বি এম সাজেদুল ইসলাম জানান, বন্য হাতির দলটি যাতে জানমালের ক্ষতি করতে না পারে, এ জন্য এলাকায় পুলিশসহ চৌকিদার পাঠানো হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/কুড়িগ্রাম/৫ ডিসেম্বর ২০১৬/বাদশাহ্ সৈকত/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়