‘চ্যাম্পিয়ন কোচ’ সুজনের চোখ জাতীয় দলে
ইয়াসিন || রাইজিংবিডি.কম
ক্রীড়া প্রতিবেদক : খুব অল্পদিনের কোচিং ক্যারিয়ার খালেদ মাহমুদ সুজনের। কিন্তু এরই মধ্যে ৬টি শিরোপার স্বাদ পেয়েছেন তিনি। সবশেষ জিতলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা।
আগের ৫টি শিরোপার থেকে এ শিরোপাটিকে কিছুটা হলেও এগিয়ে রেখেছেন সুজন। তবে কোচ সুজনের লক্ষ্য ভিন্ন। এক সময়ের জাতীয় দলের অধিনায়ক স্বপ্ন দেখছেন, জাতীয় দলকে কোচ হওয়ার।
নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়ে সুজন বলেছেন, ‘কোচিং আমার প্যাশন। যত কিছুই করি, কোচিংটা সবচেয়ে ভালোবাসি এবং এটি কখনোই ছাড়ব না। আমি বাংলাদেশ দলের কোচ হতে চাই। কবে পারব তা বলতে পারছি না, আদৌ পারব কি না, তা বলতে পারছি না। তবে শরীরর যতদিন ফিট থাকে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব।’
বিপিএলের আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আবাহনীকে দুইবার শিরোপা পাইয়ে দিয়েছিলেন সুজন। এ ছাড়া প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) শিরোপার স্বাদ দিয়েছিলেন তিনি। সিলেটে ইউসিবি-বিসিবি একাদশের হয়ে জিতেছিলেন টি-টোয়েন্টি শিরোপা।
নিজের কোচিং নিয়ে সুজন আরো বলেন, ‘আপনারাই সব সময় লিখেছেন, বলেছেন আমি লড়াকু, ফাইটার। লড়াই করার ব্যাপারটি অনেক কম বয়স থেকেই আমার ভিতরে ছিল। আমি সব সময় একটু ছোট দল নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসি। প্রিমিয়ার লিগেও সব সময় ছোট দল নিয়ে কাজ করেছি। প্রাইম ব্যাংকের হয়ে যখন শিরোপা জিতলাম দলটিতে আহামরি বড় কোনো তারকা ছিল না। কিন্তু আমরা মাঠে খেলে চ্যাম্পিয়ন ঠিকই হয়েছি।’
গত বছর বিপিএলে ঢাকা ডায়নামাইটসের পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছিলেন সুজন। এবার তার কাঁধে ছিল বিগ বাজেট ও হাই প্রোফাইলের ঢাকা ডায়নামাইটসের কোচের দায়িত্ব। মাঠ ও মাঠের বাইরে এ দলটির থেকে প্রত্যাশা ছিল আকাশচুম্বি। অধিনায়ক সাকিব কাল স্বীকার করেছেন দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে চাপ ছিল অত্যাধিক।
সুজনও সাকিবের সুরে সুর মিলিয়েছেন, ‘বিপিএলের সবচেয়ে বড় দলের দায়িত্ব ছিল। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার চাপ তো শুরু থেকেই ছিল। পাশাপাশি দলের এত বড় তারকা। কাকে রেখে কাকে খেলাব! মাহেলাকে খেলাতে পারিনি। ওকে কীভাবে গিয়ে বলব, ‘‘আজ তুমি নেই।’’ এটা আমার জন্য কঠিন ছিল। তারপরও দলের জন্য করতে হয়েছে। এটাও একটা বড় শিক্ষা, অভিজ্ঞতা। ক্রিকেটে শেখার তো কোনো শেষ নেই।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ ডিসেম্বর ২০১৬/ইয়াসিন/পরাগ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন