ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খুলনায় আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত ৫৯৭

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪০, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুলনায় আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত ৫৯৭

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় ৫৯৭ জন আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এখানে কালাজ্বর, ডায়রিয়া ও এইডসের পাশাপাশি আর্সেনিকের ভয়াবহতাও বেড়েছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে এ রোগের ওষুধের সংকট রয়েছে।

 

এদিকে নতুন করে ১৩টি ইউনিয়ন আর্সেনিককবলিত হয়েছে। দু’বছর আগে ৪২টি ইউনিয়নের নলকূপে আর্সেনিকের সন্ধান পাওয়া যায়। 

 

খুলনার সিভিল সার্জন অফিসের সূত্রমতে, নতুন করে আর্সেনিককবলিত ইউনিয়নগুলো হচ্ছে ডুমুরিয়া উপজেলার ধামালিয়া, রুদাঘরা, খর্ণিয়া, শোভনা, ভা-ারপাড়া, রংপুর, গুটুদিয়া, মাগুরখালি, কয়রা উপজেলা সদর ইউনিয়ন, দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ, সুতারখালি, বটিয়াঘাটা উপজেলা সদর ইউনিয়ন ও দিঘলিয়া উপজেলার আড়ংঘাটা।

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, আর্সেনিক মিটিকেশন ওয়াটার সাপ্লাই প্রজেক্টের একটি সূত্র জানায়, জেলার ৫৯ হাজার ৮২১টি অগভীর নলকূপের মধ্যে ২৫ হাজার ৬৯৩টিতে আর্সেনিকের সন্ধান পাওয়া গেছে।

 

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সূত্র জানান, রূপসা উপজেলার টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়ন, পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ও দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি ও দিঘলিয়া সদর ইউনিয়নে আর্সেনিকের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

 

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র মতে, খুলনা জেলায় ২০০৩ সালে আর্সেনিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয় ৪৮০ জন, ২০০৬ সালে আক্রান্ত হয় ৪৮০ জন, ২০১১ সালে ৫০৩ জন, ২০১২ সালে ৫৩৮ জন, ২০১৩ সালে ৬০৮ জন, ২০১৪ সালে ৬০৮ জন এবং চলতি বছর ৫৯৭ জন আর্সেনিকোসিস রোগী উপজেলা ও ইউনিয়ন সাবসেন্টারে চিকিৎসা নিয়েছে।

 

পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. সাফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ রোগের ওষুধের স্বল্পতা রয়েছে। রোগীদের বহির্বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

 

একই উপজেলার গদাইপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডা. মশিয়ার রহমান জানান, ওষুধের স্বল্পতা রয়েছে। তবে রোগী আসার পরিমাণ কম।

 

দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানা গ্রামের আজগার আলী শেখের মেয়ে স্বামী পরিত্যক্ত পারভীন খাতুন জানান, গত ১০ বছর ধরে তিনি এ রোগে আক্রান্ত হলেও উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে তেমন সুবিধাদি পাননি।

 

ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সূত্র জানায়, মাগুরখালি ও গুটুদিয়া ইউনিয়নে আর্সেনিকের ভয়াবহতা বেড়েছে।

 

ফুলতলা উপজেলা সদরের সূত্র জানায়, গত দু’বছরের ব্যবধানে নতুন রোগী বেড়েছে ৯ জন। রূপসা উপজেলার টিএস বাহিরদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খান শাজাহান কবীর প্যারিস জানান, ইউনিয়নের কাজদিয়া, গিলেতলা, তালতলা, তিলক, পাথরঘাটা, পাঁচানি, উত্তর খাজাডাঙ্গা ও দক্ষিণ খাজাডাঙ্গায় আর্সেনিকোসিসের সংখ্যা বাড়ছে।

 

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দেয়া তথ্যমতে, দিঘলিয়া উপজেলায় ২০০৩ সাল থেকে গত ১৩ বছরে এ পর্যন্ত ১৫ জন আর্সেনিকোসিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

 

 

 

রাইজিংবিডি/খুলনা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়