ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় সপ্তাহ পার

আশিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:১৫, ১৯ আগস্ট ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় সপ্তাহ পার

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক : সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় শেষ হয় গত সপ্তাহের লেনদেন। বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন কমেছে। একই অবস্থা ছিল চট্টগ্রাম স্টক এক্সেচঞ্জেও (সিএসই)।

 

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন ৭৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইতে মোট চার কার্যদিবসে ১ হাজার ৭৭৭ কোটি ২৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে ২ হাজার ৩১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকার লেনদেন হয়।

 

সমাপ্ত সপ্তাহে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ‘বি’ ক্যাটাগরির কোম্পানির লেনদেন হয়েছে ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ‘এন’ ক্যাটাগরির কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। ‘জেড’ ক্যাটাগরির লেনদেন হয়েছে দশমিক ৮৮ শতাংশ।

 

ডিএসই ব্রড ইনডেক্স বা ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছে দশমিক ২৩ শতাংশ বা ১০ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই৩০ সূচক কমেছে দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ১৫ দশমিক শূন্য ৯ পয়েন্ট। অপরদিকে, শরিয়াহ বা ডিএসইএক্স সূচক কমেছে দশমিক ১৮ শতাংশ বা ১ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে।

 

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ৩৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬১টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির। আর লেনদেন হয়নি দুইটি কোম্পানির শেয়ার।

 

এদিকে গত সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার। সার্বিক সূচক বেড়েছে দশমিক ২৬ শতাংশ।

 

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে তালিকাভুক্ত মোট ২৮২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১১২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির।

 

এই বাজারে চলতি সপ্তাহে লেনদেন হওয়া প্রতিটি কার্যদিবস সূচক সামান্য বেড়েছিল। তাই গতকাল স্বাভাবিকভাবেই সূচক সংশোধন হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার-সংশ্লিষ্টরা।

 

সপ্তাহের শেষদিনের সূচকের অবস্থান পর্যালোচনায় দেখা যায়, দিনের শুরু থেকে সূচকের তীর সামান্য ওপরের দিকে থাকলেও প্রায় ১৫ মিনিটের ব্যবধানে তা নিম্নমুখী হতে থাকে। এ ধারায় দুপুর পর্যন্ত লেনদেন চলতে থাকে। শেষ আধ ঘণ্টায় অবশ্য সামান্য ক্রয়াদেশের কারণে সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়। ফলে দিন শেষে সিএসইএক্স সূচক ১৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করে ৮ হাজার ৫৮৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে।

 

এদিন আর্থিক খাতের কোম্পানির সূচক পতন হলেও অন্যান্য মৌলভিত্তিসম্পন্ন খাত সিমেন্ট, প্রকৌশল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সূচক বেড়েছে।

 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েকদিন যেহেতু সূচক বেড়েছিল তাই গতকাল স্বাভাবিক নিয়মেই সংশোধন হয়েছে। বাজারের প্রতি যথেষ্ঠ আস্থা না থাকায় কম মুনাফা হলেও স্বল্প সময়ে তা তুলে নিচ্ছেন। পরবর্তী সপ্তাহে নতুন করে বিনিয়োগের চিন্তা-ভাবনা থেকে বিক্রয়ের প্রবণতা ছিল বেশি।

 

তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন তারা। কারণ এটি বাজারের স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। এ ছাড়া বাজারের ওঠা-নামাও স্বাভাবিক গতিতে রয়েছে। তাই কোম্পানির সার্বিক দিক বিবেচনা করে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ আগস্ট ২০১৬/হাসান/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়