ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

নুরুল-জায়েদের নৈপুণ্যে শেখ জামালের রোমাঞ্চকর জয়

আবু হোসেন পরাগ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৬, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নুরুল-জায়েদের নৈপুণ্যে শেখ জামালের রোমাঞ্চকর জয়

৯০ রানের দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান

ক্রীড়া প্রতিবেদক : এবারের ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম হ্যাটট্রিক করলেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের আসিফ হাসান। সেঞ্চুরি করলেন তার সতীর্থ নাঈম ইসলাম। কিন্তু অর্জনগুলো জয় দিয়ে রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না। নুরুল হাসান সোহানের দৃঢ়তাপূর্ণ ব্যাটিং ও আবু জায়েদ রাহীর দারুণ বোলিংয়ে ৩ রানের রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।

বুধবার সাভারের বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে আগে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৩০ রান করেছিল শেখ জামাল। জবাবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২৭ রানের বেশি করতে পারেনি রূপগঞ্জ। দুই দলেরই এটি ছিল প্রথম ম্যাচ। অর্থাৎ জয় দিয়ে লিগ শুরু করল শেখ জামাল।

লক্ষ্য তাড়ায় রূপগঞ্জের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি। দলীয় ৭ রানেই আবু জায়েদের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সামি আসলাম। একটা পর্যায়ে ৫৬ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রূপগঞ্জ।

 



সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন নাঈম ও নাজমুল হোসেন মিলন। ষষ্ঠ উইকেটে এই দুজন গড়েন ৮৯ রানের জুটি। দুজনই তুলে নেন ফিফটি। তবে নাজমুল (৫১) ফিফটির পরই আবু জায়েদের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন। নাজমুল ফিরলেও নাঈম একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন।

শেষ ৬ ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখে রূপগঞ্জের প্রয়োজন ছিল ৪৩ রান। তবে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি তারা, নাঈম সেঞ্চুরি তুলে নিলেও দলকে জেতাতে পারেননি। ১১৬ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৬ রানে অপরাজিত ছিলেন নাঈম।

শেষ ওভারে একটিসহ ১০ ওভারে ৪২ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন পেসার আবু জায়েদ। ৪২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন সোহাগ গাজী। নাজমুল ইসলাম অপু ও মোহাম্মদ ইলিয়াস পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

 



এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমেছিল শেখ জামাল। ৬৬ রানের উদ্বোধনী জুটিতে জামালকে ভালো সূচনা এনে দিয়েছিলেন পিনাক ঘোষ (১৭) ও হাসানুজ্জামান (৪৯)। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই হঠাৎ এলোমেলো হয়ে যায় জামালের ইনিংস।

বিনা উইকেটে ৬৬ থেকে দ্রুতই তাদের স্কোর হয়ে যায় ৪ উইকেটে ৬৭! মানে ১ রানের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট! এর মধ্যে রূপগঞ্জের আসিফ হাসান করেন হ্যাটট্রিক। বাঁহাতি এই স্পিনার নিজের আগের ওভারের শেষ দুই বলে ফিরিয়েছিলেন পিনাক ও সৈকত আলীকে। পরের ওভারের প্রথম বলে আউট করেন হাসানুজ্জামানকে।  

ধ্বংসস্তূপ থেকে দলকে টেনে তোলেন নুরুল। উইকেটকিপার এই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে মোহাম্মদ ইলিয়াসের সঙ্গে গড়েন ৫১ রানের জুটি। এ জুটি ভাঙার পর আবার একটা ধাক্কা খায় জামাল। ১৩ রানের মধ্যে ইলিয়াসের (২৩) সঙ্গে জিয়াউর রহমান আর সোহাগ গাজীর উইকেটও হারায় তারা। দলের সংগ্রহ তখন ৭ উইকেটে ১৩১!

অষ্টম উইকেটে আল-আমিনের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটিতে জামালের স্কোর দুইশ পার করেন নুরুল। ৪৩ বলে ২৮ রান করে আল-আমিন ফিরলে ভাঙে এ জুটি। আর নুরুল শেষ ওভারে আউট হওয়ার আউট হওয়ার আগে ১০৭ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৯০ রানের দারুণ ইনিংস। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন তিনিই।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়