ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘যাকাত ও উশর মিলিয়ে নতুন আইন হচ্ছে’

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘যাকাত ও উশর মিলিয়ে নতুন আইন হচ্ছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : ধর্মসচিব মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, যাকাত নির্ধারণের লক্ষ্যে ট্যাক্স ক্যালকুলেটরের ন্যায় যাকাত ক্যালকুলেটর প্রস্তুত করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১৯৮২ সালে প্রণীত যাকাত অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে যাকাত ও উশর মিলিয়ে একটি নতুন আইন করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন আগারগাঁও সভাকক্ষে আয়োজিত ‘যাকাত ব্যবস্থাপনা শীর্ষক দিনব্যাপি কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘সরকারিভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে যাতে সরকারি যাকাত ফান্ডে মানুষ অধিক হারে যাকাত প্রদান করে। আর একাজে উৎসাহিত করতে আমাদের জন সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে যেতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘যাকাত হচ্ছে দারিদ্র বিমোচনের একটি কার্যকরী কৌশল। সঠিকভাবে যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ করতে পারলে দারিদ্র নিরসন অনেকাংশে সম্ভব। যা এসডিজি অর্জনে বড় ধরণের ভূমিকা রাখবে। তবে আমাদের লোক দেখানো যাকাত দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। যাকাত সংগ্রহ করতে গিয়ে মানুষ পদদলিত হয়ে মারা যায়, যা ধর্ম ও মানবতা বিরোধী।’

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় ‘যাকাত দারিদ্র নিরসনের মাধ্যম’ শিরোনামে পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য উপস্থাপন করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. হাফিজুর রহমান।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল বলেন, ‘যাকাত কোনক্রমেই কর বা ট্যাক্স নয়। কর প্রদান করা হয় সরকারকে কিন্তু যাকাত হচ্ছে কোরআনের বিধান যা মুসলমানদের জন্য ফরজ ইবাদত।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সকল জমি উশরী। উশরের মাধ্যমে যাকাত আদায় করলে ২৮-৩০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।’

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এবিএম আমিন উল্যা নূরী, যুগ্মসচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুগ্মসচিব মো. জহির আহমদ, ওয়াকফ্ প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইউসুফ, প্রফেসর ড. মো. আবু বকর সিদ্দীক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ, প্রফেসর ড. আহমদ আবুল কালাম, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আবদুন নূর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রথম সচিব ড. আবদুর রহিম,  ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড. মুহাম্মদ কাফীলুদ্দীন সরকার, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন, এ কে এম ফজলুর রহমান, মুহাম্মদ মহীউদ্দিন মজুমদার, বোরহান উদ্দীন মো. আবু আহসান, ড. সৈয়দ শাহ এমরান, আনিছুর রহমান সরকার, সম্পাদক ড. আবদুল জলীল, মুহাদ্দিস ওয়ালীয়ূর রহমান খান, মুফতী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, ইসলামী ব্যাংকের হেড অব বাজেট কামাল হোসাইন, আহছানিয়া সুফিজম ইনস্টিটিউটের সহকারি অধ্যাপক শায়খ মুহাম্মাদ উছমান গণী ও মোহাম্মদপুর গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা এজহারুল হক।

কর্মশালায় যাকাত অর্ডিন্যান্সের সংশোধন ও হালনাগাদকরণ, যাকাত সংগ্রহ ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও শক্তিশালীকরণ, দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা জোরদারকরণ ইত্যাদি বিষয়ে গ্রুপ আলোচনার মাধ্যমে সুপারিশমালা প্রণয়ন করা হয়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/নঈমুদ্দীন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়