ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

সানীর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার লিগে জামাল

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:০০, ২০ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সানীর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সুপার লিগে জামাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক: ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল শেখ জামালের। ব্রাদার্সকে হারাতে পারলেই নিশ্চিত সুপার লিগ। না হলে বিদায় নিতে হবে ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মূল লড়াই থেকে।

বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শক্তি বাড়াতে দলে যোগ দেন নুরুল হাসান সোহান, নাজমুল ইসলাম অপু ও আবু জায়েদ রাহী। নিদাহাস ট্রফি শেষে গতকাল দেশে ফিরে আজই শেখ জামালের জার্সিতে ফতুল্লায় মাঠে নামেন তারা। কিন্তু তাদের টপকে শেখ জামালের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে জয়ের নায়ক ইলিয়াস সানী।

বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডারের অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ব্রাদার্সকে ৭৪ রানে হারিয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত করে শেখ জামাল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠে তার হাতে। প্রথমে ব্যাট হাতে ৩১ রান পরবর্তীতে বল হাতে ৩ উইকেট নিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে সুপার লিগে জায়গা করে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এ ক্রিকেটার।

ফতুল্লায় আগে ব্যাটিং করে শেখ জামাল করে মাত্র ১৮৪ রান। স্বল্প পুঁজি নিয়েও লড়াই করে জামাল। বোলারদের নিখুঁত ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্রাদার্স গুটিয়ে যায় ১১০ রানে।

 



জয় পাওয়া ম্যাচে শুরু থেকেই বিবর্ণ ছিল শেখ জামালের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনার পিনাক ঘোষ, টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রাকিন আহমেদ দুই অঙ্ক না ছুঁয়ে ফিরে যান সাজঘরে। ভারত থেকে উড়িয়ে আনা শচীন বেবিও হতাশ করেন। ফিরে যান মাত্র ১৯ রানে।

ওপেনার সৈকত আলী একপ্রান্ত ধরে খেলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। পেসার খালেদ আহমেদের বলে ফিরে যান ৫৫ রানে। মিডলে তানবীর হায়দারের ৩৩ ও সানীর ৩১ রানে শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানের পুঁজি পায় জামাল। অধিনায়ক সোহান ১৬ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরেন।

বল হাতে ব্রাদার্সের হয়ে ৩টি উইকেট নেন খালেদ আহমেদ। ২টি করে উইকেট নেন সোহরাওয়ার্দী শুভ, শাখাওয়াত হোসেন ও অলোক কাপালি।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় ব্রাদার্স। ইনফর্ম ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান পেসার রাহীর বলে এলবিডব্লিউ হন। টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দীকও। রাহীর বলে রবিউল হকের হাতে ক্যাচ দেন মাত্র ১ রানে। মাইশুকুর ও দেবব্রত দাস চেষ্টা করেছিলেন। দুজনই ২৭ করে রান করেন। কিন্তু বোলিংয়ে এসে ব্রাদার্সের মিডল অর্ডার ভেঙে দেন সানী।

 



এছাড়া নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন অপু ও সোহাগ গাজী। সোহাগ গাজী ১০ ওভারে ৩৬ রানে ৩টি এবং ইসলাম সানী ৮.২ ওভারে ২২ রানে নেন ৩টি উইকেট। অপু ৭ ওভারে ১ মেডেনে ১৭ রানে নেন ১ উইকেট।

১১ ম্যাচে ৬ জয় ও ৫ পরাজয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে শেখ জামাল।  শেষ দল হিসেবে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে তারা।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মার্চ ২০১৮/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়