ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

হারের ষোলোকলা পূর্ণ হলো বাংলাদেশের

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ২৯ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হারের ষোলোকলা পূর্ণ হলো বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক : ১৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ যখন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যায় তখন ক্রিকেটপ্রেমিদের প্রত্যাশা ছিল সেখানে লড়াই করবে টাইগাররা। এক-দুটি সিরিজ জিতলেও জিততে পারে। কিন্তু দুই ম্যাচ টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচেই বাংলাদেশকে পরীক্ষার মধ্যে ফেলে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার আমন্ত্রিত একাদশ। এরপর প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রানের বড় ব্যবধানে হার মানে। বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমিদের প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে আরো বড় ব্যবধানে হার মানে। ইনিংস ও ২২৪ রানে হেরে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।

এরপর ফরম্যাট বদল হয়। বাংলাদেশ তাদের প্রিয় ফরম্যাট ওয়ানডে সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয়। ফরম্যাট বদলালেও ভাগ্য বদলায়নি। প্রস্তুতি ম্যাচেই হেরে বসে টাইগাররা। এরপর প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারিয়ে বাংলাদেশের সমর্থকদের স্তম্ভিত করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপরও বাংলাদেশের সমর্থকরা স্বপ্ন দেখে ওয়ানডেতে জয় পাওয়ার। কিন্তু পরের ম্যাচে এবি ডি ভিলিয়ার্স তাণ্ডব চালিয়ে ৩৫৩ রান সংগ্রহ পাইয়ে দেন স্বাগতিকদের। জবাবে বাংলাদেশ ২৪৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। হেরে যায় সিরিজ। শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা আরো একধাপ উপরে। ৩৬৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করে। পাহাড়সম রান দেখেই ভড়কে যায় বাংলাদেশ। ১৬৯ রানে অলআউট হয়ে ২০০ রানের ব্যবধানে হার মানে। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়।

এরপর টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হয়। নতুন অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খানিকটা লড়াই করে বাংলাদেশ। ১৯৬ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে হার মানে ২০ রানে। এরপর আজ সফরের ও সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। অন্তত একটি জয় নিয়ে দেশে ফেরার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। শুরুটা হয় ইতিবাচক। সাকিব আল হাসান টস জিতেন। কিন্তু ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন। দক্ষিণ আফ্রিকা টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ রান সংগ্রহ করে। এরপর হাশিম আমলা ও ডেভিড মিলার তাণ্ডব চালান বাংলাদেশের বোলারদের উপর। পরবর্তী দশ ওভারে  ১৪.৬ গড়ে ১৪৬ রান তোলে। আমলা ৫১ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৮৫ রান করে আউট হন। কিন্তু মিলার রুদ্রমূর্তি ধারন করেন। মাত্র ৩৬ বল খেলে ৭ চার ও ৯ ছক্কায় বিশ্বরেকর্ড ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন। তাতে বাংলাদেশকে ২২৪ রানের পাহাড়সম টার্গেট ছুড়ে ডুমিনি বাহিনী।



সেই রান তাড়া করতে নেমে চাপেই ভেঙে পড়ে টাইগাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮.৩ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪১ রানে থামে বাংলাদেশ। হার মানে ৮৩ রানে। এর মধ্য দিয়ে এই সফরের হারের ষোলোকলা পূর্ণ করে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচসহ মোট ৯ ম্যাচে মাঠে নেমে একটিতেও জয়ের দেখা পেল না সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফর্মে থাকা বাংলাদেশ।

রোববার ব্যাট হাতে বাংলাদেশের সৌম্য সরকার সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২৩ রান করেন তরুণ তুর্কি সাইফুউদ্দিন। মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান। বাকিদের কেউ দুই অঙ্কের কোটা ছুঁতে পারেনি।

বল হাতে অধিনায়ক জেপি ডুমিনি ও ফাঙ্গিসো ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হন ডেভিড মিলার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ অক্টোবর ২০১৭/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়