‘শামসুর রাহমানের সৃজনক্ষমতাকে স্বাগত জানাতেই হয়’
নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীয় অধ্যাপক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেছেন, কবি শামসুর রাহমানের রচনায় সৃজনক্ষমতার যে চমৎকারিত্ব প্রকাশ পেয়েছে, তাকে স্বাগত জানাতেই হয়। কবিতা লেখার শুরুর দিকে বুদ্ধদেব বসু ও সঞ্জয় ভট্টাচার্য দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন।
শুক্রবার কবি শামসুর রাহমানের ৯০তম জন্মদিন উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় কবিতা পরিষদ ও শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদের যৌথ উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সবুজ চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ড. আনিসুজ্জামান স্মৃতিচারণ করে বলেন, প্রথম দিকে শামসুর রাহমান ছিলেন একজন নিভৃতচারী কবি। পাকিস্তান আমলে সামরিক শাসন জারি হওয়ার পর তিনি জনগণের সঙ্গে একাত্ম হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেন। তিনি অনেক সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছেন। তার কবিতায় লাখো মানুষের হৃদয় স্পন্দিত হয়েছে। শামসুর রাহমান তার কবিতার উপকরণ সংগ্রহ করেছেন বাংলাসহ বিভিন্ন ভাষার ধ্রুপদী সাহিত্য থেকে।
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান চলে গেলে অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্য সাহাদাত হোসেন নিপু অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, কবি কাজী রোজী, জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত, সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ, কবি আসলাম সানী, শামসুর রাহমানের পুত্রবধূ টিয়া রাহমান এবং নাতনী দীপিতা রাহমান।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ অক্টোবর ২০১৮/ইয়ামিন/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন