মামুনের অর্থপাচার মামলায় ৩ সাক্ষীকে জেরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের অর্থপাচার মামলায় ৩ সাক্ষীকে জেরা করেছেন তার আইনজীবীরা।
সাক্ষীরা হলেন পুলিশ কর্মকর্তা আফজাল হোসেন এবং মীর আলিমুজ্জামান ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণাালয়ের কর্মকর্তা ক্রিটি চাকমা।
মঙ্গলবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন।
বিচারক সৈয়দ আবু দিলজার হোসেন জেরা গ্রহণ শেষে আগামী ৫ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এ সম্পর্কে আসামি পক্ষের আইনজীবী জাহেদুল ইসলাম কোয়েল বলেন, ‘এ ৩ সাক্ষীসহ ৬ জন সাক্ষীকে আগে জেরা করা হয়েছিল। কিন্তু টেন্ডার সংক্রান্ত কিছু ডকুমেন্ট বিষয়ে জেরা বাকি ছিল। যা বিচারিক আদালত করতে না দেওয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট মঞ্জুর করেন। সে অনুযায়ী জেরা করা হলো।’
সাক্ষ্যগ্রহণকালে আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলায় অভিযোগ, বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী রেলওয়ের সিগন্যালিং আধুনিকীকরনের টেন্ডার পান। কিন্তু কার্যাদেশ চূড়ান্ত করার সময় মামুন তার কাছে অবৈধ কমিশন দাবি করেন। নতুবা কার্যাদেশ বাতিল করার হুমকি দেন। ওই হুমকি দিয়ে মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৬ কোটি, ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে তা বাংলাদেশ থেকে লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন। ওই অভিযোগে ২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলাটি করে দুদক। পরের বছর ২৯ এপ্রিল দুদক আদালতে মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি যৌথ বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন মামুন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, অর্থপাচার, করফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে আরেকটি অর্থপাচার মামলায় এ আসামিকে ৭ বছরের কারাদ- দেন ২০১৩ সালে একই আদালত।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ নভেম্বর ২০১৮/মামুন খান/শাহনেওয়াজ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন