ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ব্যাটিংয়ে সেরা পাঁচে সাইফ-নাঈম

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৪ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্যাটিংয়ে সেরা পাঁচে সাইফ-নাঈম

ক্রীড়া প্রতিবেদক : নামের পাশে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং গড়। উজ্জ্বল তার ব্যাটিং ধারাবাহিকতা। স্ট্রাইক রেট নিয়ে তেমন মাতামাতি নেই।  মাতামাতি শুধু রান করা নিয়ে।

২২ গজকে কীভাবে রান-ফোয়ারা বানাতে হয়, তা খুব ভালোভাবেই বোঝেন, ভালোভাবে জানেন। তাইতো ঢাকার ক্রিকেটের সবচেয়ে জৌলুসপূর্ণ আসরে সাইফ হাসান নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।  রেকর্ডবুক চুরমার করে গড়েছেন নতুন কীর্তি।

লিস্ট 'এ' মর্যাদা পাওয়ার পর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ছিল লিটন দাসের, ৭৫২। এবার ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সেই রেকর্ড ভেঙেছেন সাইফ। প্রাইম দোলেশ্বরের এই ওপেনার ১৬ ম্যাচে রান করেছেন ৮১৪।



তাকে মনে করা হয়, বড় দৈর্ঘ্যর ক্রিকেটের বড় সম্পদ। জমাট ব্যাটিং, স্থীর মনোবলে সাইফ অসাধারণ। কিন্তু সীমিত পরিসরেও যে সাইফ সম্ভাবনাময়দের মধ্যে একজন, তা প্রমাণ করেছেন এবারের লিগে।

৬২.৬১ গড়ে ৮১৪ রান করেছেন এই তরুণ ব্যাটসম্যান। শেষ রাউন্ডের আগের রাউন্ডে ১৪৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস উপহার দিয়েছেন। ওই ইনিংসেই হাঁকিয়েছেন ১১ ছক্কা। লিগে তিন সেঞ্চুরির সঙ্গে হাঁকিয়েছেন চার হাফ সেঞ্চুরি।

সাইফের মতো এবার প্রিমিয়ার লিগে দ্যুতি ছড়িয়ে গেছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। ১৬ ম্যাচে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেছেন ৮০৭ রান। গত বছর চার ফিফটিতে ৫৫৬ রান করে নিজের আগমনী বার্তা দিয়ে রেখেছিলেন নাঈম।



এবার রূপগঞ্জের নিয়মিত একাদশে থেকে নাঈম হয়ে উঠেছেন দলের সেরা পারফরমার। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সবার মন জুড়িয়েছেন। কোচ আফতাব আহমেদ তার মধ্যে দেখতে পারছেন ‘ভবিষ্যত তামিমকে’। তিন সেঞ্চুরি ও পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিতে নাঈম মাতিয়ে রাখেন ডিপিএল।  ৫৩.৮০ গড় ও ৯৪.৩৮ স্ট্রাইক রেট বলে দেয় তার ধারাবাহিকতার কথা।

রান তালিকায় শীর্ষ দুটি স্থান ধরে রেখেছেন দুই উদীয়মান ব্যাটসম্যান। তাদের পরই আছেন রকিবুল হাসান। মোহামেডানের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান ৬০.০৭ গড়ে রান করেছেন ৭৮১।

প্রিমিয়ার লিগের শুরুটা দারুণ করেছিলেন রকিবুল। মাঝপথে খেই হারিয়ে ফেললেও শেষ দিকে আবার স্বরূপে ফিরে আসেন। এক সেঞ্চুরির পাশাপাশি তার হাফ সেঞ্চুরি আছে ৮টি। রান করেছেন ৬০.০৭ গড়ে। তবে অবিশ্বাস্য ছিল তার স্ট্রাইক রেট, ৯৬.০৬।



ডিপিএলের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন জহুরুল ইসলাম অমি। ১৫ ম্যাচে ডানহাতি ওপেনার রান করেছেন ৭১৫।

শুরুর দিকে আবাহনী যে কয়েকটি ম্যাচ জিতেছে, সবগুলোই জহুরুলের ব্যাটে। তিন সেঞ্চুরির সঙ্গে তিন হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন জহুরুল।



বরাবরের মতো প্রিমিয়ার লিগে দ্যুতি ছড়িয়ে গেছেন ফজলে মাহমুদ রাব্বী। কিন্তু তার দলকে সেরা ছয়ের লড়াইয়ের রাখতে পারেননি।  ব্রাদার্স ইউনিয়ন এবারও খেলেছে রেলিগেশন লিগে।  ১৩ ম্যাচে ৭৫.৩৭ গড়ে ফজলে রাব্বী রান করেছেন ৬০৩। তিন সেঞ্চুরির সঙ্গে দুটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।

প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচে সৌম্য সরকার খেলেছেন ২০৮ রানের ইনিংস। প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে পেয়েছে ডাবল সেঞ্চুরির স্বাদ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪৯ রান করেছেন ফজলে রাব্বী। 



লিগে তিনটি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ফজলে রাব্বী, জহুরুল ইসলাম, এনামুল হক, মোহাম্মদ নাঈম ও সাইফ হাসান। এনামুল সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিক করলেও পরবর্তীতে তার ব্যাট আর হাসেনি। একটা সময় টানা তিন ইনিংসে ডাকের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন প্রাইম ব্যাংকের এই ব্যাটসম্যান।

লিগে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সাইফ হাসান। ২৭টি ছক্কা পেয়েছেন দোলেশ্বরের এই ব্যাটসম্যান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ ছক্কা মেরেছেন মোহামেডানের সোহাগ গাজী। এক ইনিংসে ১৬ ছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ড গড়া সৌম্য মেরেছেন ২১টি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৪ এপ্রিল ২০১৯/ইয়াসিন/পরাগ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়