ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

জাপানে আবারও ক্ষমতায় আসছেন আবে

আব্দুল্লাহ আল মামুন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪১, ২১ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জাপানে আবারও ক্ষমতায় আসছেন আবে

আব্দুল্লাহ আল মামুন, জাপানের টোকিও থেকে : আগামীকাল রোববার অনুষ্ঠিতব্য জাপানের সাধারণ নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে শিনজো আবের দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নেতৃত্বাধীন জোট এবং টোকিও সিটির প্রথম নারী গভর্নর ইউরিকো কইকের নেতৃত্বাধীন নতুন দল কিবো নো তো (পার্টি অব হোপ) এর মধ্যে।

জাপানের প্রথম সারির পত্রিকাগুলোর জরিপে এগিয়ে আছে শিনজো আবের দল। তবে নতুন দল হিসেবেও ইউরিকো কইকের দলও অনেক দিক দিয়ে এগিয়ে আছে। কারণ, ইউরিকো কইকে জাপানে অনেক কিছু পরিবর্তনের আভাস দেওয়ার পাশাপাশি কয়েকটি ছোট দল তাকে সমর্থন দিচ্ছে। এজন্য শিনজো আবেকে অনেকটা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে সংসদের নিম্নকক্ষের সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হয়ে শিনজো আবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব আসেন। এবার নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে এক বছর আগেই ক্ষমতা ছেড়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের ডাক দেন শিনজো আবে। এবারের নির্বাচনে উত্তর কোরিয়ার সামরিক হুমকি মোকাবিলা, ২০২০ সালে অনুষ্ঠেয় বিশ্ব অলিম্পিক আসর ও দ্রব্যের ট্যাক্স বৃদ্ধিসহ বেশকিছু বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে কাজ করছে।

জাতীয় এই নির্বাচনে প্রধানত তিনটি জোট প্রতিযোগিতা করছে। ক্ষমতাশীন এলডিপির শরিক হয়েছে কুমেতো। এলডিপি থেকে বের হয়ে যাওয়া ইরিকো কইকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন কিবো জোটের। পাশাপাশি প্রধান বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির (ডিপি) নেতৃত্বাধীন জোটও লড়াইয়ে আছে।

ক্ষমতায় যেতে হলে সংসদের নিম্নকক্ষের ৪৬৫টি আসনের মধ্যে দুই তৃতীংশ বা ২৩৩ আসন পেতে হবে। ক্ষমতাসীন এলডিপি ৩০০টি আসন পেতে পারে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের জরিপে বলা হয়েছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত জরিপে অংশ নেওয়া ভোটারদের ৯৪ শতাংশ বিশ্বাস করেন, তৃতীয় মেয়াদেও ক্ষমতায় থাকবেন শিনজো আবে। জরিপ বলছে, ২৮৯টি আসন নিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে এলডিপি ফের ক্ষমতায় যাচ্ছে, আর এলডিপির শরিক দল কুমেতো ৩৪টি আসন পেতে পারে।

জাপানের রাজনৈতিক অঙ্গনের একসময়ের প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির জনপ্রিয়তা কিছুটা নিম্নমুখী। ফলে নির্বাচনে এর পুরো ফায়দা তুলতে পারে এলডিপি।

এর আগে গত বছর দেশটির উচ্চকক্ষের নির্বাচনেও শিনজো আবের দল সংখ্যা গরিষ্ঠতা লাভ করেছিল। ওই সময় শিনজো আবের নেতৃত্বাধীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) জোট উচ্চকক্ষের ২৪২ আসনের মধ্যে ১৪৪টি আর বিরোধীরা ৭৩টি আসন পেয়েছিল।

প্রার্থীরা গত ১২ দিন ধরে রেলওয়ে স্টেশনগুলোর সামনে এবং আবাসিক এলাকার মধ্য দিয়ে চলার জন্য নির্বাচনী গাড়ি থেকে রাস্তায় ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছে। এর আগের সাধারণ নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম বয়স ২০ বছর থাকলেও এই প্রথমবারের মতো সরকার ভোটারদের ন্যূনতম বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করেছে। জাপানের বেশিরভাগ অঞ্চলে ভোটাররা রোববার ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারেন। ভোটগ্রহণ বন্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কর্মকর্তারা গণনা শুরু করবেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মাঝখানে আবের সমর্থন কিছুটা নিম্নমুখী হলেও আগাম নির্বাচন ঘোষণার ফলে জনপ্রিয়তা আবারও তুঙ্গে। সবগুলো রাজনৈতিক দলের প্রচারণা শেষে আগামীকাল ভোটের শেষে জনগণের রায়ই বলে দেবে কে আসছেন দেশ পরিচালনায়।



রাইজিংবিডি/টোকিও/২১ অক্টোবর ২০১৭/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়