ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে

এম.শাহীন গোলদার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর সার ও কীটনাশকের ব্যবহার বাড়ছে

এম.শাহীন গোলদার, সাতক্ষীরা : ফসল উৎপাদনে ক্ষতিকর রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করেন সাতক্ষীরার প্রায় ৯৭ দশমিক ৫ ভাগ কৃষক। সম্প্রতি সাতক্ষীরায় বারসিক ইনস্টিটিউট অব এ্যাপ্লাইড স্ট্যাডিজ (বিয়াস) পরিচালিত এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিয়াসের শিক্ষার্থী শেখ তানজির আহমেদ ও আসাদুল ইসলাম নামে দুই তরুণ গবেষণাটি করেন।

সাধারণত উৎপাদনের নিশ্চয়তা ও উৎপাদন বৃদ্ধির প্রত্যাশায় অনেকটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হিসেবেই রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেন তারা। চলতি বছরে যে পরিমান রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হচ্ছে, পরের বছর তার চেয়ে বেশি ব্যবহার না করলে লোকসানের সম্মুখীন হতে হচ্ছে কৃষককে। শুধু লোকসান নয়, ঘটছে ফসলহানি। তাই বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার।

আজ (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ফস‌ল উৎপাদনে ক্ষতিকর রাসায়নিক সার ও কীটনাশ‌ক ব্যবহা‌রের অবস্থান অনুসন্ধান: প্রেক্ষাপট সাতক্ষীরা’ শীর্ষক মিট দ্য প্রেস অ্যান্ড ডালায়গে এই তথ্য প্রকাশ  করেন তারা। এ সময় গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী কৃষিবিদ পার্থ সারথী পাল উপস্থিত ছিলেন।

এই গবেষণায় দেখা গেছে, তথ্যদাতাদের ৬৯ দশমিক ৭ ভাগ কৃষকই রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের ব্যবহার প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য হুমকি মনে করেন। আর মাত্র ৪২ দশমিক ৮ ভাগ মানুষ প্রতিনিয়ত ‘কি খাচ্ছেন’ সেটা নিয়ে ভাবেন। বাকী ৫৭ দশমিক ২ ভাগ মানুষ থাকেন নীরব।

গবেষণাপত্রে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ জেলা সাতক্ষীরায় নিরাপদ খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে  কৃষকদের একেক মৌসুমে একেক ফসল ফলানোয় উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়।



সুপারিশে বলা হয়, ব্যবহার বিধি সম্পর্কে সচেতন করে ক্রমান্বয়ে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহিত করণ খুবই জরুরী। এ ছাড়া প্রত্যেক কৃষি পরিবারে কেঁচো কম্পোস্টসহ জৈব সার তৈরিতে কারিগরী সহায়তা প্রদান, রাসায়নিক সারের উপর ভতুর্কি কমিয়ে জৈব সার উৎপাদন ও ব্যবহারে ভর্তুকি প্রদানের কথা উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব প্রচার, কীটনাশক কোম্পানির অপতৎপরতা ও কীটনাশক বিক্রি নিয়ন্ত্রণে আনা, ভেজাল সার ও ভেজাল কীটনাশক উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভেজাল রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের অনুপ্রবেশ বন্ধ করা, কৃষকদের সমন্বিত বালাই ব্যবস্থাপনা ও সমন্বিত ফসল ব্যবস্থাপনায় উৎসাহী করে তোলার উদ্যোগ নিতে বলা হয়।



রাইজিংবিডি/সাতক্ষীরা/২১ জানুয়ারি ২০১৭/এম.শাহীন গোলদার/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়