ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশকে ৬ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়েছে চীন

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৬, ২৫ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলাদেশকে ৬ হাজার কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়েছে চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষির উন্নয়নে বাংলাদেশকে ৬ হাজার চারটি কৃষি যন্ত্রপাতি দিয়েছে চীন।

বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতাসংক্রান্ত চুক্তি মোতাবেক এই যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছে চীন।

মঙ্গলবার ঢাকার খামারবাড়ীর আ কা মু গিয়াস উদ্দিন মিলকীর সম্মেলনকক্ষে কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর ও গ্রহণের আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। এ সময় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ ও চীন সরকারের পক্ষে  বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত মা মিংকিয়াং স্বাক্ষর করেন।

১১ কোটি টাকা সমমূল্যের ১৩ ক্যাটাগরির যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে- গ্রেইন কম্বাইন হারভেস্টার ১৮টি, সিড থ্রেসার/সেলার ১৬টি, হুইলড ট্রাক্টর ১১০টি, রোটারি টিলার পাঁচটি, সিডার মেশিন/হুইট সিডার পাঁচটি, রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার (রাইডিং ও ওয়াকিং) ২০টি, সিডলিং রেইজিং ট্রে ৫০০০টি, সাবমারসিবল পাম্প ২০টি,  পাওয়ার টিলার/কালটিভেটর ৩০০টি, স্প্রেয়ার/মিস্ট ডাস্টার ৪০০টি, সিডার/গ্রেইন সিডার ১০০টি ও থ্রেসার ১০টি।

চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির আওতায় ১৫০ মিলিয়ন আরএমবি ইউয়ান অনুদান প্রদানের লেটার অব একচেঞ্জ প্রাথমিকভাবে ২০০৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এবং চূড়ান্তভাবে ২০১৫ ও ২০১৬ সালের ২৫ মে  স্বাক্ষরিত হয়। এ অনুদানের অর্থ হতে ৯.৭ মিলিয়ন আরএমবি ইউয়ান কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের কৃষি যন্ত্রপাতি অনুদান হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যন্ত্রপাতিসমূহ ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আসে।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে নির্বাচিত কনসাইনি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. নাজিম উদ্দিন কাস্টমসহ যাবতীয় ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করেন। এরপর যন্ত্রপাতিসমূহ বিএডিসির চট্টগ্রামের কালুরঘাট গুদামে সংরক্ষণ করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী চীন সরকারের ছয়জনের একটি কারিগরি দল ডিএই, বিএডিসি ও বিএমডি এর ৪০ জন মেকানিককে যন্ত্রসমূহ সংযোজন, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবহারের ওপর কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।  কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ২০২১, ২০৩১ ও ২০৪১ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১২টি কার্যক্রম চিহ্নিত করে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান আছে।

১২টি কার্যক্রম হচ্ছে- গবেষণা ও উন্নয়ন, কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, লাগসই কৃষি যন্ত্র ও জনপ্রিয়করণ, জমি বিন্যাস ও কৃষি যন্ত্র চলাচলের রাস্তা প্রস্তুত, স্টেক হোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিক বিন্যাস, ভাড়ায় যন্ত্র সেবা প্রদান, কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে উন্নয়ন সহায়তা/প্রণোদনা, মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রত্যয়ন, কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতিকরণে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের নীতিমালা প্রণয়ন ও  নিরাপদ ব্যবস্থাপনা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৭/ সাওন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়