ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

মাগুরায় বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:১১, ৬ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাগুরায় বোরো ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসি

মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরায় বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। এবার ধানের ভালো ফলন হয়েছে, তাই ভীষণ খুশি এখানের কৃষক । তবে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তারা।

মাগুরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, জেলার চার উপজেলায় এবার ৩১ হাজার ৭৮৫ হেক্টরে বোরোর আবাদ হয়েছে। হেক্টরে ৪ দশমিক ৮ মেট্রিক টন হিসেবে ১ লাখ ৫২ হাজার ৫৬৮মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। 

শালিখা উপজেলার উজগ্রামের কৃষক   আবু হোসেনসহ একাধিক কৃষক জানিয়েছেন, এবার প্রতি বিঘায় (৩০ শতক) ২৪-২৫ পাঁচ মণ করে ধান হয়েছে। বাজারে বর্তমানে ভেজা ধানের দাম ৮০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। কিন্তু প্রতি বিঘায় ধান উৎপাদনের জন্য তাদের দশ থেকে বারো হাজার টাকা খরচ হয়েছে।

হারুন মিয়া নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘ধান পাকার আগে একটু ঝড় বৃষ্টি না হলে ফলন আরও ভালো হতো। এ জন্য কিছুটা কম ফলন হয়েছে।’

সদর, শ্রীপুর, মহম্মদপুর ও শালিখা  উপজেলার প্রায় সবমাঠে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। মহম্মদপুরের কৃষক আলতাফ হোসেন জানান, তিনি এবার ৭০ শতকে বোরো আবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত ৩০ শতকের জমি থেকে তিনি ২২ মণ ধান পেয়েছেন। পুরোপুরি ধান কাটা শুরু হতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। বাম্পার ফলন হওয়ায় তিনি খুশি।

 


শ্রীপুরের কাজলি গ্রামের নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ বোরোর উপর এবার নানা আপদ-বিপদ যাচ্ছিল।  এই ফসলের ওপর আমরা অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাই আমাদের কাছে ফসল ঘরে তোলার আনন্দই বড় আনন্দ।’

দেখা গেছে, বিভিন্ন মাঠে পাকা ধানের সোনালী শীষ বাতাসে দুলছে। কৃষকেরা ধান কাটছেন। কেউ আবার প্রস্তুতি হিসেবে যাবতীয় উপকরণ সংগ্রহে ব্যস্ত । কৃষাণীরা ধান মাড়াইয়ের উপকরণ ও ধান রাখার গোলা ঠিক করার কাজ করছেন।

বালিদিয়ার কৃষক আসগর আলী বলেন, ‘ বোরো ফসলের ওপর আমার পরিবার নির্ভরশীল। এবার আড়াই বিঘায় বোরো আবাদ করেছি। বছরের খাবার রাখার পর বাকি ধান বিক্রি করে দেব ।’

সদরের প্রবীণ কৃষক সৈয়দ আলী করিম বলেন, ‘কৃষিনির্ভর জেলার মানুষ বোরো ফসলের ওপর নির্ভরশীল। তাই বোরো ধান তোলার সময় কৃষক পরিবারে সব সদস্য মিলে আনন্দের মধ্য দিয়ে গোলায় ধান তুলি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পার্থ প্রতীম সাহা বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এখন ধানের ন্যায্যমূল্য পেলে কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।’

 

 

রাইজিংবিডি /মাগুরা/ ৬ মে ২০১৭/ আনোয়ার হোসেন শাহীন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়