ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৫, ২৬ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পেল অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের কৃষি খাতে দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি), বাংলাদেশ।

রোববার রাতে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এক অনুষ্ঠানে চতুর্থবারের মতো ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড’ নামের এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আরো উপস্থিত ছিলেন- স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি), বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নাসের এজাজ বিজয়, কান্ট্রি হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স বিটপী দাশ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের (বিবিএফ) প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শরিফুল ইসলাম।

২০১৪ সালে ‘অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড : এক্সিলেন্স ইন এগ্রিকালচার’ নামের এ পুরস্কার চালু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক (এসসিবি), বাংলাদেশ। শুরু থেকেই এ পুরস্কার আয়োজনে ইমপ্লিমেন্টেশন পার্টনার হিসেবে কাজ করে আসছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

এ বছরে সাতটি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হয়েছে অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড। ক্যাটাগরিগুলো হচ্ছে- বছরের সেরা কৃষক (পুরুষ), বছরের সেরা কৃষক (নারী), ফারমার অব দ্য ইয়ার- সাবসিসট্যান্স টু মার্কেট, বেস্ট অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন ইন রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন বা কৃষি খাতের সেরা গবেষণা ও উদ্ভাবনী সংস্থা, বেস্ট অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন ইন সাপোর্ট অ্যান্ড এক্সিকিউশন বা কৃষি খাতে সহায়তা প্রদান ও বাস্তবায়নে সেরা সংস্থা, সেরা কৃষিপণ্য রপ্তানিকারক এবং বেস্ট ইউজ অব টেকনোলজি ইন অ্যাগ্রিকালচার বা কৃষি খাতে প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারকারী।

অনুষ্ঠানে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ১৯৭১ এ স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশ অনেকটা পথ অতিক্রম করেছে এবং সম্প্রতি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে পরিণত হয়েছে। এ দীর্ঘ যাত্রায় দেশের অর্থনীতি তে কৃষি খাতের ভূমিকা ছিল অনবদ্য। যদিও বাংলাদেশের অর্থনীতি শিল্পায়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে, তবুও এর মূলে কৃষি খাত সর্বদা বিরাজমান। দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং খাদ্য নিরাপত্তার মতো প্রধান বিষয়গুলোতে কৃষি খাতের কার্যক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তথাপি সরকারের কর্মপরিকল্পনায় কৃষি খাত সর্বদাই অগ্রাধিকার লাভ করে আসছে।

প্রত্যেক ক্যাটাগরির সেরা বিজয়ী ও অনারেবল মেনশন হিসেবে নির্বাচিত সবাইকে দেশের কৃষি খাতে তাদের অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একটি করে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

বছরের সেরা কৃষক (পুরুষ) এবং বছরের সেরা কৃষক (নারী) এই দুই শ্রেণির বিজয়ীদের হাতে ৫ লাখ টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। বছরের সেরা কৃষক (পুরুষ) ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে দুজন বিজয়ী হন। পাশাপাশি একজন অনারেবল মেনশন পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা।

সেরা কৃষক হিসেবে পুরুষ শ্রেণির মধ্যে শের আলি সাদদারকে সম্মাননা দেওয়া হয় এবং নারীর ক্ষেত্রে বছরের সেরা কৃষক পুরস্কার লাভ করেন অনজু সরকার। ‘এসিআই ক্রপ কেয়ার এবং পাবলিক হেলথ’কে সাপোর্ট এবং এক্সিকিউশনে শ্রেষ্ঠ কৃষি সংস্থা হিসেবে পুরষ্কৃত করা হয়েছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ নভেম্বর ২০১৭/হাসান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়