বইমেলায় অন্যস্বরের কাব্যগ্রন্থ ‘চন্দ্রচূর্ণ’
সাইফ || রাইজিংবিডি.কম
ডেস্ক রিপোর্ট : রবার্ট ফ্রস্ট ওক্তাবিও পাসকে বলেছিলেন, ‘প্রত্যেক কবি জন্ম নেন নিজস্ব কিছু বলবার জন্যে এবং তার আদি দায়িত্ব হলো পূর্বজদের অস্বীকার করা, তাদের অলঙ্কারাদিকে পরিত্যাগ করা।’
কবি সাইফুল ভূঁইয়া ফ্রস্টের কথা সানুধ্যান পাঠ ও আত্মসাৎ করেছেন বলে মনে হয়। তবে তিনি তার কাব্য সাধনায় যে নতুন পথে হেঁটেছেন সেখানে তিনি তার অগ্রজদের অস্বীকার করেননি; বরং একসঙ্গে চলতে চলতে কৌশলে আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন। তার শব্দচয়ন, উপমার প্রয়োগ ও বিষয়বস্তু নির্বাচনে যে নতুনত্ব তা কবিতার সচেতন পাঠকমাত্রই ধরতে পারবেন। অত্যন্ত সরল বিন্যাসে অপূর্ব ব্যঞ্জনা সৃষ্টি করে তার কাব্যভাষা।
যেমন তিনি বলছেন, ‘মেঘ ভেবে আস্তিন ধরে টানে/পথের পাশের পুকুর/বাড়ি ফেরা হলো না আর।...’ এই সময়ের কবিতা থেকে পাঠের আনন্দ উঠে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ ওঠে সমসাময়িক অনেক কবিদের ক্ষেত্রে, তা খণ্ডন করেছেন সাইফুল ভূঁইয়া।
লিখছেন বহুদিন থেকেই নিজের মতো করে একান্তে। ফলে প্রকাশ যখন ঘটছে তখন একজন পূর্ণ কবিকেই পাচ্ছেন পাঠক।
‘চন্দ্রচূর্ণ’ তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। ২০১৮ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় বইটি প্রকাশ করেছে মূর্ধন্য প্রকাশনী। প্রচ্ছদ করেছেন মোস্তাফিজ কারিগর।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন