ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাংলা গল্পে শাহাদুজ্জামান কেন স্বতন্ত্র?

কে এম রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩৫, ৪ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাংলা গল্পে শাহাদুজ্জামান কেন স্বতন্ত্র?

কে এম রাকিব: বাংলা কথাসাহিত্যে শাহাদুজ্জামান স্বতন্ত্র একটি স্থান দখল করেছেন নিজগুণে। অতিব্যবহারে এই ধরনের কথাবার্তা ক্লিশের মতো শোনায়। ক্লিশে বাক্য আরেকবার উচ্চারণের কারণ হলো শাহাদুজ্জামানের এই স্বাতন্ত্র বাংলাসাহিত্য ঠিক কোন জায়গাটিতে বুঝতে চেষ্টা করা। 

এই লেখার শিরোনাম উচ্চাভিলাষী কিন্তু লেখাটার জন্য বরাদ্দ স্পেস অল্প। তাঁর লেখালেখির সব বিভাগ নিয়ে আলোচনা করার জায়গা এ নয়। শুধু ছোটগল্পের দিকে চোখ রেখে কিছু কথা বলা যেতে পারে। তাও পুরোপুরি গল্প ধরে ধরে ভাব বিস্তারের সুযোগ এখানে নেই। ইশারা করেই যেতে হবে অনেক ক্ষেত্রে। তাছাড়া আঙ্গিকের অভিনবত্ব সত্ত্বেও শাহাদুজ্জামানের উপন্যাস আমার অতটা ভালো লাগে না যতটা লাগে তার গল্প, যদিও ‘ক্রাচের কর্ণেল’ শাহাদুজ্জামানের বহুল পঠিত- হয়তো সবচে বেশি পঠিত বই।        

শাহাদুজ্জামানের গল্পের শক্তির জায়গাগুলোর একটি হলো- গল্পের আঙ্গিক নিয়ে প্রতিনিয়ত নিরীক্ষার প্রচেষ্টা। বাংলা সাহিত্যের আর কোনো লেখক হয়তো এতো বিচিত্র ভঙ্গিমায় গল্প লেখেন নি। কথাটা গল্পের ফর্ম বা আঙ্গিকের কথা বিবেচনায় নিয়েই বলছি। অন্তর্গতভাবে হয়তো এতো বৈচিত্র্যময় নয়ও। গল্পের চরিত্রের বা গল্পকারের টোন ও দৃষ্টিভঙ্গিগত বৈচিত্রের দিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। শাহাদুজ্জামানের গল্পে অন্তর্গতভাবে বিশেষত নাগরিক মার্জিত রুচি ও জীবনদৃষ্টি তার চরিত্রগুলির মধ্যে প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে দেখা যায়, এমনকি গল্পের ঘটনাস্থান ও চরিত্ররা গ্রামের হলেও। উদাহরণ হিসেবে ‘ইব্রাহিম বক্সের সার্কাস’ গল্পের নাম করা যায়। ‘মান্না দে’, ‘গোয়েন্দা ঘরানার গল্প’, ‘অপুস্পক’ গল্পগুলো সামাজিক বিভিন্ন কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস নিয়ে, যেখানে নাগরিক রুচিবোধ ও মার্জিত দৃষ্টিভঙ্গিতে সবকিছু দেখা হয় এবং কিছুটা জ্ঞান দেওয়াটাই উন্নয়নবাদী সাহিত্যই মনে হয় গল্পগুলা।

পাঠক তাঁর গল্প পড়তে পড়তে কখনো বিরক্ত হবেন বলে মনে হয় না। চাপা হিউমার, রিল্যাক্সড বয়ানভঙ্গি, লোকগল্পের সারল্য, স্মার্ট গদ্যের উপস্থিতির কারণে তার গদ্য আদরণীয়। তাঁর যেকোনো লেখা পাঠে, তা ফিকশন বা নন-ফিকশন যাই হোক না কেন, বোঝা যায় গদ্য নিয়ে তিনি অসম্ভব যত্মবান। ভাষার চারুতার ব্যাপারে তার অতিসতর্কতা চোখে না পড়ে যায় না। নস্টালজিক রোমান্টিক তার গদ্যের ভাষা। যে ভাষার শরীরজুড়ে কেমন মুগ্ধতার ছোঁয়া। 

‘এক কাঠাল পাতা আর মাটির ঢেলার গল্প’ নামের গল্পটাকে কবিতা হিসেবেও চালিয়ে দেওয়া যায়। লেখকের ভাষ্যমতে, অনেকে নাকি কবিতা হিসেবে সেটি আবৃত্তিও করে। ছোট ছোট বাক্য, চারু ও মার্জিত গদ্য ভাষার অধিকারী হওয়ায় আর যাই হোক আর কারও কাছে একঘেয়ে লাগার কথা না। মাঝেমধ্যে এনেকডোটের ব্যবহার। মজার কোনো ইতিহাসের টুকরো-টাকরা, শিল্প-সাহিত্যের বিভিন্ন চরিত্র ও ঘটনাবলিকে তিনি গল্পের মধ্যে ঢুকিয়ে দেন। অনেক বিখ্যাত লেখকের লাইন ব্যবহার করেন নিজের লেখায়।  ফলে তার গল্পের পাঠ উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বোর্হেসের গল্পের বই থেকে ‘আয়না ও যৌনক্রিয়া ঘৃণ্য বিষয়, কেননা উভয়ই মানুষের সংখ্যাকে বহুগুণিত করে...– (ট্‌ল্‌ন, উকবার, অরবিস টার্সিয়াস) বাক্যটি ‘আয়নার ওপিঠ লাল’ গল্পে প্রায় হুবহু দেখা যায়। ‘চীনা অক্ষর ও লং মার্চের গল্প’- এ বৃষ্টির ফোঁটা নিয়ে প্রশ্ন তারকোভস্কির নস্টালজিয়া সিনেমার সংলাপ থেকে (এক ফোঁটা বৃষ্টির সঙ্গে আর এক ফোঁটা বৃষ্টির মিলনে কী হয়? দুই ফোঁটা বৃষ্টি? না। বড় একফোটা বৃষ্টি ইত্যাদি)  নেওয়া মিলান কুন্ডেরার প্যাসেজ থেকে নেওয়া লাইন পাওয়া যাবে ‘বিসর্গতে দুঃখ’ বইয়ে। এমনকি তার নন-ফিকশনেও বিভিন্ন জায়গা থেকে নেওয়া বিভিন্ন লাইন তিনি রেফারেন্স ছাড়াই ব্যবহার করেন।   

সুখ প্রজাপতির মতো, ধরতে গেলে আমাদের নাগালের বাইরে চলে যায়। কিন্তু চুপ করে অনড় হয় বসে থাকলে আকাশ থেকে নেমে এসে বসতে পারে গায়ে। - ন্যাথানিয়েল হথর্ণ।

এই কথার প্রতিধ্বণি ‘গল্পের গল্প’ নামের ২০১৬-র আলাপে শাহাদুজ্জামান তাঁর ছোটবেলায় প্রজাপতি ধরার কথা বলেছেন, সেখানে পাই। যাহোক, তিনি রেফারেন্স ছাড়াই অনেক উদ্ধৃতি-ব্যবহার করতেই পারেন, সেক্ষেত্রে আমি দোষের কিছু দেখি না। আমার পয়েন্ট হলো, এইসব উপাদান তার গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নিবন্ধ এমনকি আলাপেও তিনি ব্যবহার করেন, এবং তাতে তাঁর রচনা উপভোগ্য হয়ে ওঠে। যদিও অনেক পাঠকই এই কথাগুলা শাহাদুজ্জামানের মস্তিষ্কপ্রসূত বলে ধরে নেবে। অবশ্য তিনি পরিমিতিবোধ রক্ষা করে চলেন।

একটা যুক্তি দেওয়া যায় যে, রেফারেন্সের উল্লেখ ননফিকশনে সহজে করা গেলেও ফিকশনে সেটা যায়ও না, অনেক সময় ‘অমুক লেখক এটা বলেছেন, তমুক লেখক ওটা বলেছেন’ ধরনের ভাষা ফিকশনের জগতে ঝামেলা নিয়ে আসে। রেফারেন্স গল্পের পাঠ বাধাগ্রস্তও করতে পারে; একঘেয়ে হয়ে ওঠার আশঙ্কা থাকে। গল্পে নিমজ্জিত পাঠককে ডিস্ট্রাক্ট করা হয়। কিন্তু সেই যুক্তি ধোপে টেকে না, কেননা শাহাদুজ্জামানের লেখায় রেফারেন্সের প্রচুর উল্লেখ আছে তো! বিশেষত মেটাফিকশন ঘরানার লেখাগুলিতে বিশ্বসাহিত্য ও ইতিহাসের অনেক গল্প ও গল্পের চরিত্ররে হাজির থাকে। বেশ কিছু রেফারেন্স অবশ্য নেই। বাইরের যেসব লেখকের লেখা থেকে সবচেয়ে বেশি শাহাদুজ্জামানে বাক্য, আইডিয়া বা অনুচ্ছেদ পর্যন্ত ব্যবহার করেছেন, সেই দুই ব্যক্তি অর্থাৎ বোর্হেস ও মিলান কুন্ডেরার নামটা পাওয়া যায় না। দুষ্টু লোক হয়ত বলবে ইন্টেনশনালি তিনি বেছে বেছে সোর্স চেপে গিয়েছেন।

তো, যদি চেপে গিয়েই থাকেন আমি সমস্যা দেখি না। লেখক বিভিন্ন রেফারেন্স থেকে সাহায্য নিতেই পারেন। আমার পয়েন্ট হলো, এইসব চমকপ্রদ বাক্য যেগুলো প্রায়শ শাহাদুজ্জামান ধার করেন অন্য লেখকদের কাছ থেকে, তা গল্পকে উপভোগ্য করে তোলে- কথাটি আগেই বলেছি। পাঠকের কাছে লেখক অধিকতর চিন্তাশীল ও স্মার্ট বলে প্রতিভাত হন।  পাঠক মৌলিক ও চিন্তাশীল লেখক হিসেবে তাকে বিবেচনা করেন। অবশ্য বিশ্বসাহিত্য সম্পর্কে যাদের কিছু ধারণা আছে- কুন্ডেরা, বোর্হেস, মার্কেস, পামুক, কাফকার রচনা পাঠের অভিজ্ঞতা যাদের আছে, শাহাদুজ্জামানের লেখা তাদের কাছে অতো চমকপ্রদ এবং মুগ্ধকর মৌলিক চিন্তাযুক্ত মনে হবে না। এসব সত্ত্বেও নতুন ধরনের বয়ানভঙ্গি, বিভিন্ন চমকপ্রদ এনেকডোটের ব্যবহার সবকিছু মিলে বাংলা গল্পে শাহাদুজ্জামান আলাদা হয়ে যান।

মূলত ‘জীবনানন্দী’য় ভাষাভঙ্গি গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে শাহাদুজ্জামানকে। তা করতেই পারে, কোন লেখকই ভুঁইফোঁড় কিছু না। সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার কিংবা হালের রবিশংকর বলসহ অনেক লেখকই জীবনানন্দীয় ভাষায় প্রভাবিত হয়েছেন। প্রভাবটা হজম করে যদি লেখক নিজস্বতা আনতে পারেন তাতে সমস্যা কিছু নাই। জীবনানন্দের খুব প্রভাব সত্ত্বেও, সর্বোপরি, শাহাদুজ্জামানের গদ্যভাষা শাহাদুজ্জামানেরই। তাঁর অধিকাংশ গল্প আইডিয়াধর্মী। শাহাদুজ্জামান-পূর্ব বাংলা সাহিত্যে আইডিয়াধর্মী, নির্দিষ্ট বিষয়কেন্দ্রিক গল্প থাকলেও তাঁর সংখ্যা খুব বেশি নয়। একটা আলাপে তিনি দাবি করেন, ‘আমি পাঠকের মধ্যে শুধু আবেগের বাষ্প তৈরি করতে চাই না, তার চিন্তাও উসকে দিতে চাই।‘ 

কিছু গল্প সম্পূর্ণ আইডিয়াধর্মী। ‘কতিপয় ভাবুক’, ‘পৃথক পৃথিবী’, ‘মারাত্মক নিরুপম আনন্দ’, ‘শিং মাছ, লাল জেল’-এইসব নির্দিষ্ট আইডিয়াকে কেন্দ্র করে গল্পগুলি গড়ে ওঠে এবং অন্যান্য অনুষঙ্গগুলি আইডিয়ার কঙ্কালের শরীরে  যেন মাংস লাগায়। কিছু গল্প গড়ে ওঠে কোলাজের মাধ্যমে। উদাহরণ: ‘রফিকের নোটবই’, ‘কয়েকটি শিরনামা’। মানবচরিত্রের রহস্যময়তার দিকে, ব্যক্তির এলিয়েনেশনের চমৎকার ছবি দেখা যায়, ‘মুরাকামির বেড়াল’ কিংবা ‘মহাশূণ্যে সাইকেল’ নামের গল্পগুলোতে। ‘খুব স্থির একটি স্থিরচিত্র’, ‘ক্যালাইডোস্কোপ’ ইত্যাদি গল্প যেন স্ন্যাপশট। আদর্শ কমেডি ঘরানার গল্প ‘সাইপ্রাস’। ‘সাইপ্রাস’ গল্পে সরল-সহজ গ্রাম্য লোকের স্টেরিওটাইপ হাজির করে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি পাঠককে মজা দিয়ে যান।  

‘মান্না দে’, ‘গোয়েন্দা ঘরানার গল্প’, ‘অপুস্পক’ গল্পগুলো আমাদের সামাজিক বিভিন্ন কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস নিয়ে। এই গল্পগুলা এনজিওঘরানার জ্ঞানমূলক গল্প। মধ্যবিত্তের চোখের আইডিয়াগুলো ইমপোজ করার প্রবণতা ওখানে আছে।  

‘সাড়ে সাতাশ’ যদিও ফেদেরিকো ফেলিনির কথা তিনি বলেছেন গল্পে। খোদ বাংলা ভাষায়, এর আগে এইরকম ফরম্যাটে গল্প লিখেছেন শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়, ‘বোমকেশ বক্সী’র বিখ্যাত লেখক। ২ আষাঢ় ১৩৬৭ সালে এই ঘরানার গল্প বাংলায় লিখেছেন, শরদিন্দু (গল্পের নাম ‘প্রিয় চরিত্র’)। যদিও শরদিন্দুর ট্রিটমেন্ট সামান্য আলাদা। কিন্তু এই যে নিজের সৃষ্ট চরিত্রগুলি নিয়ে একপ্রকার রোমন্থন কিংবা পুনরায় চরিত্রগুলির দিকে তাকানো বা প্রতিফলন এইসব দিক দিয়ে ‘প্রিয় চরিত্র’র সাথে ‘সাড়ে সাতাশ’-এর তেমন কোনো কোনো পার্থক্য নাই।  

আধুনিক সময়ে, বিশেষত কাফকা-উত্তর কালে, ছোটগল্প ক্রমশ যেন কৌতুকময় প্যারাডক্স হয়ে উঠেছে। সেদিক দিয়ে উত্তম কৌতুক আর উত্তম ছোটগল্পের মধ্যে মিল পাওয়া যায়। উভয়েই অনেকাংশে নির্ভর করে, কমিউনিকেশন তাত্ত্বিকরা যাকে বলেন, ‘এক্সফরমেশন’-এর ওপর; যেক্ষেত্রে এমন কিছু ভাইটাল তথ্য যা গল্প থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, গল্পের বয়ান ও অবয়বের সাহায্যে সেইটার বোধ জাগিয়ে তোলা হয়, ফলে প্রাপকের (‘রিসিপিয়েন্ট’, এক্ষেত্রে পাঠক) মনে এক ধরণের ব্যাঞ্জনাগত বিস্ফোরণ (এসোসিয়েটিভ ইক্সপ্লোশন্‌) ঘটে। এই কারণেই হয়তো প্রায়শ,  উত্তম কৌতুক ও ছোটগল্পের পাঠ পাঠকের মনে ধাক্কার মতো একই ধরনের আকস্মিক উপলব্ধির বোধ আনে। জটিলতা-সংকট আর প্রহেলিকার মুখোমুখি বিহ্বল হয়ে পড়ে গল্পের পাঠক।

প্রিয় একটা গল্পের কথা বলে লেখাটা শেষ করি।     
‘ক্যালাইডোস্কোপ’ গল্পে দর্শনে স্নাতক হলেও বর্তমানে একটি স্যানিটারি ন্যাপনিক প্রস্তুতকারি কোম্পানির মালিক নুরুল আলমের খাবার ঘরের একটা চিত্র। কয়েক মূহূর্তের একটা স্ন্যাপশটের মতো গল্পটা। নুরুল সাহেবের ছেলে রুমি হিডোনিস্টিক জীবন দেখে দেখে ক্ষুব্ধ। ধর্মবোধ তার অস্থির চৈতন্যে প্রশান্তি আনে। সে একজন হুজুরের শিষ্যত্ব নিয়েছে। হুজুরের নির্দেশে এইচএসসি পরীক্ষা বাদ দিয়ে সে চিল্লায় কিছুদিনের জন্যে যেতে চায়। এইটা নিয়ে জটিলতা পরিবারে। লেখক একে একে সকলের মনোজগতে কি চলছে পাঠককে জানান। বাবার দায়িত্ব অবহেলার কারণে নুরল করিমের প্রতি ক্ষুব্ধ স্ত্রী শায়লা, মেডিকেলের শেষ বর্ষের ছাত্রী সারল্য ভরা অস্থির মেয়ে রুসেলি, আর সম্পদলোভী মেয়েজামাই মুনির, রুমি কিংবা নুরুল করিম নিজে, প্রত্যেকেই নিজের দৃষ্টিকোণ থেকে রুমির এই পরীক্ষা বাদ দিয়ে চিল্লায় যাওয়ার সিদ্ধান্তটা দেখে। কেউ বিরক্ত, কেউ মওকা খোঁজে, কেউ মাথাই ঘামাতে চায় না ব্যাপারটায়, কেউ এটাই ঠিক বলে অনড়, কেউ অন্যদের দোষ দেয়।

এই সকল ভাবনাই খেলে যায় চরিত্রগুলার মনে মনে। এমন সময়, বাসার তিন বছরের ছোট্ট শিশু শুভ্র, যে সম্প্রতি ভিসিআর চালাতে শিখেছে, অকস্মাৎ টম এন্ড জেরির কার্টুন মনে করে ভিসিআরে একটা ক্যাসেট ভরে। হঠাৎ ভিসিআর-এর পর্দায় ভেসে ওঠে একটা উত্থিত নিগ্রয়েড লিঙ্গ। পরিবারের সদস্যরা তুমুল অস্বস্তিকর বিব্রতবোধের মধ্যে পড়ে। গল্পটা ওখানেই শেষ।        

বিব্রত ও কনফিউজড পাঠকেরও মনে হয়, ব্যাপারটা কী!

 

 

 

লেখক: গল্পকার, প্রাবন্ধিক

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মে ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়