ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রজনীগন্ধাপুর: শেষ পর্ব

ইমদাদুল হক মিলন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৮, ১২ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রজনীগন্ধাপুর: শেষ পর্ব

|| ইমদাদুল হক মিলন ||

তার মানে তৃতীয়বার স্বপ্নপূরণ হলো লিনা ভাবির।
একজাক্টলি। লেগে থাকলে কোনও না কোনওভাবে মানুষের স্বপ্নপূরণ হয়। যেমন তোমার ব্যাপারে আমার হয়েছে।

তুমি তো লেগে থাকোনি। দিপু না মারা গেলে এটা কোনওদিনই হতো না।

মিলিয়ার গালে গলায় হাত বুলাতে বুলাতে জামি বলল, দিপুর কথা তোমার মনে হয় না?

কেন হবে না?

না মানে আজকাল আর তার কথা বলোই না।

বলে কী হবে?

আমার প্রায়ই মনে হয়। এক ধরনের অপরাধবোধও হয়।

অপরাধবোধ কেন?

আমাদের এই সম্পর্কের কারণে।

তোমার অপরাধবোধ হবে কেন? হওয়া উচিত আমার। প্রথমে প্রেমিক, পরে স্বামী মারা গেল আর আমি প্রেম করতে শুরু করলাম তার বন্ধুর সঙ্গে।

এই অপরাধবোধ আমারও। বন্ধু মারা গেল আর তার স্ত্রীর সঙ্গে জড়ালাম!

এসব হবেই। আমরা দুজনেই সেনসেটিভ মানুষ। এমনই আমাদের হওয়ার কথা।

তবে জড়িয়ে যখন গেলামই তখন আর পিছুটান রাখা ঠিক হয়নি।

কিসের পিছুটান?

রুবানা, আদর্শ।

মানে শওকত ভাইয়ের মতো স্ত্রীকে ডিভোর্স করে প্রেমিকাকে বিয়ে?

হ্যাঁ। ছেলে ঠিকই থাকতো। এই জায়গাটায় শওকত ভাইয়ের সঙ্গে আমার খুব মিল।

তাঁর মেয়ে আমেরিকায়, আর তোমার ছেলে কানাডায়।

রাইট। রুবানাও হয়তো ছেলের কাছে চলে যেতো।

বা আরেকটা বিয়ে করতো।

তা বোধহয় সে করতো না।

কেন?

দুয়েকবার এসব কথা তার সঙ্গে আমার হয়েছে।

তাই নাকি?

হ্যাঁ।

কী বলেছে?

বলেছে, পালিয়ে পালিয়ে এসব না করে মিলিয়াকে বিয়ে করে নাও। আমি চলে যাই আমার ছেলের কাছে। বলেছি, ছেলের কাছে যাবে কেন? তুমিও বিয়ে করে নিও।

সে কী বললো?

জীবনেও তা আমি করবো না। বিয়ের এক অভিজ্ঞতাতেই আমার হয়ে গেছে। দ্বিতীয়বার একই ফাঁদে আমি আর পড়তে চাই না।

মিলিয়া উঠে বসলো। এলোমেলো হয়ে যাওয়া ওড়না গলার কাছে জড়িয়ে বলল, তবে বিয়ে আমি তোমাকে করতাম না বা কোনওদিন করবোও না।

তা আমি জানি।

আমার ধারণা তুমিও তা করবে না।

জামি কিছু একটা বলতে যাবে, মিলিয়া হাত তুলে থামালো। তোমার বলতে হবে না, আমিই বলে দিচ্ছি। জীবনের জটিলতা তুমি বাড়াবে না। যেভাবে চলছে এ তো এক ধরনের জটিলতাহীন জীবন। সংসারও ঠিক থাকছে, সম্পর্কও ঠিক থাকছে। সংসারে যেটুকু অশান্তি সেটুকু সামালও দেওয়া যাচ্ছে...

হিসেব ঠিকই আছে তোমার।

হিসেবের প্রধান কারণ হচ্ছে রুবানা শওকত ভাইয়ের স্ত্রীর মতো না। তোমার জীবন ছাড়খাড় করে দেওয়ার মতো মেয়ে না। তোমার আমার সম্পর্কের ব্যাপারটা সে আসলে মেনেই নিয়েছে। নয়তো অনেক কেলেংকারি করতো। বাড়ি এসে আমার শ্বশুরকে বলতে পারতো, আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার মা বাবাকে বলতে পারতো। তার মা বাবা ভাইবোন, তোমার মা বাবা ভাইবোন সবার কাছে গিয়ে এসব বলে যা ইচ্ছে তাই কাণ্ড বাঁধাতে পারতো। সে কিন্তু কখনই তা করেনি।

আমার সঙ্গে অশান্তি করে।

তাও খুব বেশি না। এমন তো হয়নি যে তোমাকে ফেলে বাপের বাড়িতে চলে গেছে। বা আমরা যেখানে মিট করছি সেই সব জায়গায় গিয়ে হানা দিচ্ছে। চাইলে তাও সে পারতো।

তা ঠিক। ড্রাইভার পিয়নের কাছ থেকে খবর নিয়ে, আমার পিছনে গোয়েন্দার মতো লেগে থেকে ধরতে চাইলে হাতেনাতে সে তোমাকে আমাকে ধরতে পারতো। সেই চেষ্টা সে কখনই করেনি।

এটা রুবানার রুচিবোধের ব্যাপার। ওর জায়গায় অন্য কেউ হলে ঝামেলা অনেক বেশি হতো তোমার। হয় আমার সঙ্গ তোমাকে ছাড়তে হতো আর নয়তো রুবানাকে ডিভোর্স দিয়ে আমাকে বিয়ে করতে হতো। তবে আমিও অনেক ভাল মেয়ে।

তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

কেন নিজেকে ভাল মেয়ে বলছি বলো তো?

জামি একটু থতমত খেল।

বুঝেছি, তুমি বুঝতে পারোনি। আমি ক্লিয়ার করছি। দিপু মারা যাওয়ার পর আমার শ্বশুর খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। আমার এত কম বয়স, দুই বাচ্চার মা। সেটা বোঝাই যায় না। দেখতে ভাল। নিশ্চয় আমি অন্য কোথাও বিয়েশাদি করবো। দিপুর বাচ্চাদের জীবন এলোমেলো হয়ে যাবে। এই চিন্তা আমার মা বাবার মনে, আমার ভাই দর্পণের মনেও এসেছিল।

সেটাই স্বাভাবিক।

হ্যাঁ, সেটাই স্বাভাবিক। তখনও দিপুর শোক আমি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। টের পাচ্ছিলাম আমাকে নিয়ে এই ভয় কাজ করছে শ্বশুরের মনে, মা বাবার মনে। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, না বিয়েশাদি আমি আর করবো না। আমার এখন একমাত্র দায়িত্ব আমার ছেলেমেয়ে মানুষ করা, তাদের আগলে রাখা। বাপ নেই, এই কষ্ট তাদের বুঝতে না দেওয়া। আর আমার একদম ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাওয়া অসহায় শ্বশুর মানুষটিকে পুত্রশোক ভুলিয়ে দেওয়া। সেই চেষ্টা আমি শুরু করলাম। শ্বশুরকে সেভাবে বোঝালামও। মানে আশ্বস্ত করলাম। তোমার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কথা আমি কল্পনাও করিনি। এটা যে কেমন কেমন করে হয়ে গেল...

একটু থামলো মিলিয়া। তবে শরীর একটা খুব বড় সমস্যা। আর তুমি তো জানোই আমার ওই ব্যাপারটা খুব বেশি। কখনও কখনও শরীরের কারণে খুবই দিশেহারা হই। মাথা এমনভাবে ধরে থাকে, ব্যাপারটা না হওয়া পর্যন্ত সারে না। রাতের পর রাত কেটে যায় ঘুমাতে পারি না। সিক হয়ে যাই...

তবে ওরকম সময়ে আমার মনে হতো এক সময় বাংলাদেশের বহু নারী এমন কষ্টের জীবনযাপন করেছে। শরীরের কষ্টে শেষ হয়ে গেছে তাও নিজেকে সপে দেয়নি কারও হাতে। আমি না হয় তেমন কষ্টই করবো। সব ভেঙে দিলে তুমি। তোমাদের ওই অফিসে গিয়ে বসাই আমার কাল হল।

অনেকক্ষণ পর কথা বলল জামি। আমার মনের গোপন একটা কোণে তোমাকে আমি রেখে দিয়েছিলাম। তোমার প্রতি যে ভাল লাগা, তা প্রকাশ করিনি কখনও। হয়তো করতামও না। ওরকম কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে অফিসে তোমাকে বসাইওনি। বসিয়েছিলাম একটা কথা ভেবে, তুমি কাজে ঢুবে যাও। দিপুর শোক কাটাও। উঠে দাঁড়াও।

তা তুমি আমাকে বলেছো।

কিন্তু অফিসে বসার পর যখন দেখলাম দিনের পর দিন তুমি দিপুর টেবিলে বসে কাঁদছো, খুব মায়া লাগছিল তোমার জন্য। সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য তোমার রুমে ঢুকতাম। তোমার মাথায় হাত রাখতাম। কাঁদতে কাঁদতে তুমি কখনও কখনও আমাকে জড়িয়েও ধরতে। আসলে এক ধরনের অপত্যস্নেহ তৈরি হয়ে গেল তোমার জন্য। গোপন ভালবাসা ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে লাগলো। তোমাকে ভাল রাখার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা গল্প করতাম তোমার সঙ্গে। হাসি ঠাট্টা মজা করতাম। রোমান্টিক কথাবার্তাও বলতাম দুচারটা...

তোমার ওই স্নেহের স্পর্শ, আচার আচরণ, কেয়ারিং মনোভাব আমাকে একটু একটু করে বদলে দিচ্ছিল। একটা সময়ে আমিই এগোতে লাগলাম তোমার দিকে। নিজেই একদিন চড়াও হলাম তোমার ওপর। তোমাকে জড়িয়ে ধরে, চুমু খেয়ে এমন অবস্থা করলাম, ওই অবস্থা থেকে নিজেকে ফেরানো কঠিনতম কাজ। পারলাম না। নিজের কাছে করা আমার প্রতিজ্ঞা মুহূর্তে ভেঙে গেল। অফিসেই ব্যাপারটা ঘটে গেল সেদিন। বহুদিনের বুভুক্ষ মানুষের মতো, উন্মাদের মতো আচরণ করলাম। তুমি খুবই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছিলে। তারপর তো ব্যাপারটা নিয়মিত হয়ে দাঁড়ালো।

প্রথম দিনের পর নিজের সঙ্গে আমি কিন্তু অন্যরকম একটা যুদ্ধ শুরু করেছিলাম। প্রথমে ভারি অপরাধবোধ হল। এটা আমি কী করলাম, কেন করলাম? ঠিক আছে, যা হওয়ার হয়ে গেছে। আর না, আর কিছুতেই না।

অফিসে আসাই তুমি তারপর কয়েকদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিলে।

হ্যাঁ, নিজের সঙ্গে ওই যুদ্ধ চলছে। তুমি একদিন ফোন করলে। এমন মাদকতাময় কণ্ঠস্বর তোমার। আমি আবার পাগল হলাম। আবার গেলাম তোমার কাছে...। তারপর রুবানার কারণে অফিসে আর বসলাম না। কিন্তু তুমি করিমের ফ্ল্যাটে ব্যবস্থা করে ফেলেছ। নিয়মিত শুরু হল সেই ফ্ল্যাটে। আজ  ছ’সাত বছর আমরা আমাদের মতো চলছি। আকর্ষণ একটুও কমেনি আমাদের। চারপাশের অনেকেই জেনে গেছে আমাদের সম্পর্কের কথা। আমার শ্বশুর, মা বাবা ভাই, মিতুয়া অপু। তোমার বউ ছেলে বন্ধুবান্ধব...কিন্তু আমরা আমাদের মতো আছি। বললাম না তোমাকে, মিতুয়া পরিষ্কার তোমার কথা আমাকে একদিন মুখের ওপর বলে দিল। সেদিন থেকে মেয়েটাকে নিয়ে আমার ভয় খুবই বেড়ে গেছে। ও যখন বুঝে গেছে মা ওর বাবার বন্ধুর সঙ্গে এই করছে, বড় হচ্ছে, এট্রাকটিভ মেয়ে, ও তো আমার শাসন মানবে না।

এটা আমিও ভেবেছি।

সলিউশন কী?

কোনও সলিউশন নেই।

আছে।

কী বলো তো?

আমরা যদি দুজন দুজনকে ছেড়ে দেই। তাহলে রুবানা আর তোমার ছেলেও স্বস্তি পায়, মিতুয়া অপুও পায়।

না তা পাবে না।

কেন?

কথায় কথায় ওরা পুরনো কথা মনে করিয়ে দেবে। ওই নিয়ে খোঁচাখুঁচি করবে। খোটা দেবে। এই ধরনের সম্পর্ক এমন এক অমোচনিয় কালিতে তৈরি হয়, হাজার চেষ্টায়ও জীবন থেকে সেই কালি মোছা যায় না। যতই ঘষে তোলার চেষ্টা করো, উঠবে না। থেকেই যাবে। মৃত্যুর পরও এই নিয়ে কথা বলবে লোকে। আমাদের মতো দেশ এবং সমাজে এ এক বড় ব্যধি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এসব নিয়ে কেউ মাথা ঘামায় না।

তবে এই ধরনের সম্পর্ক, মানে একদিকে এত সরল, আরেকদিকে এত জটিল সম্পর্ক উন্নত দেশগুলোতে হয় না। সম্পর্কের ব্যাপারে তাদের এক ধরনের সততা থাকে। কারও সঙ্গে কারও সম্পর্ক হলে, লুকোছাপা না করে, একজন আরেকজনকে ছেড়ে, যার সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছে তাকে বিয়ে করে ফেলে। সমাজ ব্যবস্থার কারণে ওই নিয়ে মাথাই ঘামায় না কেউ। আর আমরা করি চালিয়াতি। একদিকে পরিবারের লোকজনকে ধোকা দেওয়া, সন্তানকে ধোকা দেওয়া। চারপাশেই সবাইকে ধোকা দিয়ে গোপনে রক্ষা করছি শরীর মনের সম্পর্ক। এ এক ধরনের প্রতারণা। পরিবারের সঙ্গে প্রতারণা, সমাজের সঙ্গে প্রতারণা, নিজের সঙ্গে প্রতারণা। প্রেমের মতো মহৎ একটি বিষয়ের সঙ্গে প্রতারণা।

জামি হতবাক হয়ে মিলিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।

মিলিয়া বলল, আসলে আমরা পঁচে গেছি, বুঝলে। আমাদের সমাজ পঁচেগলে গেছে, আমাদের অন্তর নষ্ট হয়ে গেছে। সম্পর্কের ভিতর ঢুকে গেছে ছলচাতুরি, অসততা, নোংরামি। আমাদের ভিতর থেকে এক ধরনের পঁচা গন্ধ বেরোচ্ছে।

জামি এবার হেসে ফেলল। কঠিন ভাষণ দিয়ে ফেললে।

মিলিয়াও হাসলো। হ্যাঁ ভাষণই দিলাম।

তার মানে তুমি এভাবে ভাবো?

ভাবি, প্রায়ই ভাবি।

পরিবেশ একটু ভারি হয়ে উঠেছে। হালকা করার জন্য জামি বলল, ভাষণ কি আরও আছে? থাকলে ঝেড়ে ফেলো। তারপর...

তারপর কী?

তোমার সেই গোপন ইচ্ছে...। ইচ্ছেটা কি আছে?

অবশ্যই আছে। যতই ভাষণ ঝাড়ি আর যাই করি, ওই ইচ্ছে আমি পূরণ করবোই। এমন নির্জন নিরিবিলি জায়গা। গাছপালা আর আকাশ ছাড়া কেউ দেখছে না আমাদের। এই অবস্থায়...

জামি দুহাতে মিলিয়ার মুখটা তুলে ধরল। গভীর করে চুমু খেলো তাকে। ধীরে ধীরে দুজন ডুবতে লাগল দুজনের শরীরে। শরীর তৈরি হতে লাগল শরীরের জন্য।

ঠিক তখনই চারদিক থেকে যেন ছুটে এল এক অচিন হাওয়া। গাছপালা তোলপাড় করে যেন এল। হাওয়ায় বিভৎস গন্ধ। বিভৎস।  যেন কাছে কোথাও মরে পচে গলে গেছে কোনও প্রাণী। শেয়াল কুকুর বা অন্য কোনও জীব।

শরীরের ভেতর ঢুবতে যাওয়া দুজন মানুষ ছটফট করে উঠল সেই গন্ধে। মুহূর্তে কোথায় উধাও হয়ে গেল তাদের কামার্ত অনুভূতি। একজন ছিটকে গেল আরেকজনের কাছ থেকে। মিলিয়া নাক কুঁচকে বলল, কী বিচ্ছিরি গন্ধ! কোত্থেকে আসছে এই গন্ধ? এতক্ষণ এখানে আছি, কই গন্ধটা তো আগে পাইনি! হঠাৎ কোত্থেকে আসছে?

জামিরও একই অবস্থা। সেও নাক কুঁচকে আছে। তাই তো! এতক্ষণ কোনও গন্ধ ছিল না, এখন কোত্থেকে আসছে গন্ধ!

হাওয়াটা তখনও একই ভাবে বইছে। বিভৎস গন্ধ যেন আরও বিভৎস হচ্ছে।

মিলিয়া লাফিয়ে উঠল। আমি এই গন্ধ সহ্য করতে পারছি না। আমার বমি হয়ে যাবে। চলো ভাগি এখান থেকে।

মিলিয়ার হাত ধরে জামি বলল, চলো চলো।

তেঁতুলতলা থেকে দুজন মানুষ তারপর সেই গন্ধের হাত থেকে বাঁচার জন্য ছুটতে লাগল।(শেষ)



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ মে ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়