ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

অধিবাস : ইমদাদুল হক মিলনের ফটোগ্রাফিক উপন্যাস

মোজাফ্‌ফর হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০১, ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অধিবাস : ইমদাদুল হক মিলনের ফটোগ্রাফিক উপন্যাস

ইমদাদুল হক মিলন

মোজাফ্‌ফর হোসেন : একইসঙ্গে পাঠকপ্রিয় এবং জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন। আমাদের দেশে ‘জনপ্রিয় সাহিত্যিক’ ‘সিরিয়াস সাহিত্যিক’ নন বলে যে কথার চল আছে, তা মিলনের ক্ষেত্রে খাটে না। একটা সময় তিনি দু’হাতে লিখেছেন। তাঁর বইয়ের সংখ্যা ২৬০টির মতো। পৃথিবীর খুব কমসংখ্যক লেখক সংখ্যার বিচারে তাঁকে ছাড়াতে পেরেছেন। তবে শিল্পসাহিত্যে সংখ্যার চেয়ে মানের গুরুত্ব বেশি। কালের বিচারে ‘কোয়ানটিটি’ নয় ‘কোয়ালিটি’ কষ্টি পাথর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সেই বিচারেও মিলন বাংলাসাহিত্যে টিকে থাকবেন বলে ধারণা করা যায়। বেশ কিছু হালকা-চটুল মেজারের উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি লিখেছেন ‘নূরজাহান’, ‘পরবাস’, ‘ভূমিপুত্র’, ‘কালোঘোড়া’, ‘কালাকাল’, ‘যাবজ্জীবন’-এর মতো শিল্পমানসম্পন্ন উপন্যাস।


খ.
‘অধিবাস’ উপন্যাসে আমরা একজন চিত্রশিল্পী মিলনকে খুঁজে পাই। মিলন এখানে গ্রামীণ জলজীবনের কোলাজচিত্র অঙ্কণ করেছেন; তবে তা রঙতুলিতে নয়, শব্দকলমে। উপন্যাসের শুরুতেই একটি ল্যান্ডস্কেপ দৃশ্য তিনি এঁকেছেন। বর্ষার জলে তলিয়ে গেছে ফসলমাঠ। লেখক কতটুকু পানি জমেছে সেটা সরাসরি না বলে বলছেন: ‘মাঠের মাঝখানে গ্রাম রমণীর সিঁথির মতো জেগে আছে আলপথ।’ এভাবে একটা চিত্রকল্প তৈরি করে তিনি সেটি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আলপথ ধরে এগিয়ে চলেছেন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র মনীন্দ্র ঠাকুর। ঠাকুরের মাথায় ছাতা আগলে পেছন পেছন হাঁটছে মজিদ। উপন্যাসে মনীন্দ্র ঠাকুর এবং মজিদের কোনো বিশদ বর্ণনা না দিলেও মূল ঘটনা পাঠকের বুঝে নিতে সমস্যা হয় না। কিন্তু একজন রিয়েলিস্ট চিত্রশিল্পীর মতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব দেখিয়ে দিয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন। চিত্রশিল্পে একজন মানুষ বলতে তাকে পুরো আঁকতে হয়, আংশিক আঁকলে চলে না। এখানে মিলনও তাঁর চরিত্রগুলোতে আংশিক বর্ণনার মধ্যে ফেলে ছেড়ে দেননি। তিনি বিশদবয়ানের (ডিটেলিং) ভেতর চলে গেছেন; মজিদের লুঙ্গির রং, লুঙ্গি পরার কৌশলের বর্ণনা দিয়ে তিনি লিখছেন: ‘তার কালো শরীরে টিপটিপে বৃষ্টিজল ঘামের মতো ফুটে আছে। মাথায় বাবরি চুল মজিদের। সেই চুল তেল দিয়ে পরিপাটি করে আঁচড়ান। মাথার চুলের মতো তেল চকচকে একটা ভাব তার মুখে। ছোট্ট নাকের তলা নেমে গেছে হালকা পাতলা দাড়ি। ঠিক চাপদাড়ি নয়, আবার ছাগলাদাড়িও না।’


অন্যদিকে ‘মজিদের মাথা ছাড়িয়ে বিগতখানিক লম্বা হবেন মনীন্দ্র ঠাকুর। একহারা কদমগাছের মতো শরীর তার। মেদ বলতে কিচ্ছু নেই শরীরে। মাথার চুল সুন্দর করে ছাটা। এতটা বয়স হয়েছে তবু কী ঘন চুল মাথায়! চুলের রঙ হালকা লালচে ধরনের। একটিও পাকেনি। হঠাৎ ছুটে আসা হাওয়ায় কোনো ফাঁকে যে মাথার সামনের দিককার চুলের কয়েকটি গোছা এসে পড়েছে কপালে।...ঠাকুরের নাক গরু জবাইয়ের ছুরির মতো খাড়া, ধারাল। ঠোঁট দুখানা মধ্যম ধরনের। না মোটা না পাতলা। ঠোঁটের রঙ খোসা ছাড়িয়ে নেয়া পেঁয়াজের মতো।...গায়ের রঙখানা ঠাকুরের দুধের সরের মতো।... মুখের মতোই রঙ গলার। গলায় এখন একত্রে ঝুলছে পৈতে এবং স্টেথিসকোপ।’


শুধু চরিত্রের বর্ণনা দিয়েই থেমে থাকেননি মিলন। তার এই চিত্রের একটা বিরাট অংশজুড়ে আছে বর্ষার জলজ প্রকৃতি। সেটি আঁকছেন এভাবে: ‘গোড়ালি ডুবে যাওয়া জলে পা উঠছে, পা পড়ছে দুজন মানুষের। ছপছপে জলজ শব্দে মুখর হয়েছে নির্জন মাঠ। খানিক আগে মাঠের জলডাঙায় মিলেমিশে পড়ে থাকা, কালো তোকমাদানার মতো ডিম ছাড়তে ব্যস্ত কোলাব্যাঙগুলো আকাশের মেঘের সঙ্গে গলা মিলিয়ে ডাকছিল। জল ভেঙে যত এগিয়েছে দুজন মানুষের পায়ের শব্দ ততই স্তব্ধ হয়েছে ব্যাঙের ডাক, ততই স্তব্ধ হয়েছে আকাশের মেঘডাক। নির্জনমাঠে এখন হুহু করে বইছে বর্ষা মুখের বাদল হাওয়া। মাঠ থেকে মাঠ ছড়িয়ে যাচ্ছে হাওয়ার শব্দ।...মহাজনী নৌকার মতো করে আকাশ পাড়ি দিয়েছে কালবোস রঙের মেঘ। মেঘের ছায়ায় যত না অন্ধাকার হয়েছে চারদিক তারচে বৃষ্টির তোড়ে।’


এভাবেই উপন্যাসের শুরুতেই ইমদাদুল হক মিলন শব্দকলমে বর্ষায় জলা-মাঠের চিত্র এঁকেছেন। উপন্যাসটি নিয়ে লিখতে গিয়ে দীর্ঘ কোটেশনের আশ্রয় নেয়ার উদ্দেশ্য হলো, উপন্যাসিক ইমদাদুল হক মিলনের বিশদবর্ণনার নমুনা তুলে ধরা। তিনি শুধু গল্পটি বলার জন্যে উপন্যাসটি লেখেন নি। সেটি করতে গেলে উপন্যাসটির আয়তন ছোটগল্পে নেমে আসত। এই উপন্যাসটির প্রধান প্রাণই হলো বিস্তর বর্ণনা। বর্ণনার মধ্য দিয়ে মিলন ছবির মতো স্পষ্ট করে তুলেছেন একটি গ্রাম। পড়তে পড়তে যেন আমরা চোখের পর্দায় দেখতে পাই সবই। প্রথম দৃশ্যের মতো কয়েকটি খণ্ড খণ্ড দৃশ্যেকোলাজ দিয়ে উপন্যাসটি সাজানো। প্রতিটি দৃশ্যই আলাদাভাবে উপভোগ্য। একেকটি দৃশ্যে একেকরকম ন্যারেটিভের কারণে একেকরকম স্বাদের হয়ে উঠেছ। প্রথম দৃশ্যের মতোই আরো একটি উল্লেখযোগ্য দৃশ্য হলো গভীর রাতে বৃষ্টির মধ্যে হিজলতলায় দুই সহোদর শফিজদ্দি এবং হাফিজদ্দির মাছ ধরার দৃশ্য। বৃষ্টিময় মায়াবি রাতে হিজলগাছে এক অশরীরীর উপস্থিতি টের পেয়ে ভয় পেয়ে যায় শফিজদ্দি। সামান্য একটি দৃশ্যকে প্রকৃতির নিটোল বর্ণনার ভেতর দিয়ে বেশ খানিকটা টেনে গেছেন মিলন। তিনি লিখেছেন: ‘জোয়ারে বাতাস থেকে থেকে বইছে। সাঁ সাঁ করে এই এল, এই উধাও হল। বাতাস বয়ে যাওয়ার সময় কেমন একটা আলোড়ন ওঠে চারিদিকে। হিজলের ফুল বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে। জোয়ার জলে টুপটাপ ঝরে পড়ে দুখানা কচি হিজল ফল। হারিকেনের আলো লাফিয়ে ওঠে। বাতাস উধাও হলে আবার নির্জন হয় চারিদিক।... এই অন্ধকারে হারিকেনের আলো পার্থিব কোনও আলো মনে হয় না।... চরাচর ডুবেছিল সুনসান নীরবতায়। এই নীরবতার খুব ভেতর থেকে কলকল শব্দে ভেসে আসছে জল নেমে আসার মৃদু মোলায়েম একখানা শব্দ। ঝিঁঝি কিংবা কীটপতঙ্গের ডাকের শব্দের মতো এই শব্দকেও এখন আর শব্দ মনে হয় না। মনে হয় শব্দও বুঝি নীরবতার অংশ।’


উপন্যাসজুড়ে এমন চমৎকার বিবরণের মাঝে মাঝে চলে এসেছে ভারী সুন্দর সুন্দর উপমা। এক্ষেত্রেও কয়েকটি দৃষ্টান্ত তুলে ধরা প্রয়োজন বলে মনে করছি।

‘মাঠের মাঝখানে গ্রাম রমণীর সিঁথির মতো জেগে আছে আলপথ।’ [পৃ. ৭]

‘নতুন পাতার আড়াল থেকে (হিজলগাছের) বোয়াল মাছের গোঁফের মতো ঝুড়ি বেরিয়েছে।’ [পৃ ১৪]

‘হালকা ঝিরঝিরে উদাস একখানা ভঙ্গিতে ঝরছে বৃষ্টি।’ [পৃ ২১]

‘আলকাতরার মতো তেলতেলে কালো গায়ের রঙ। মাথায় কদমের রোয়ার মতো চুল।’ [৫৬]

‘ভাতের মাড়ের মতো ঘোলা একখানা আলো ফুটে আছে।’ [৭২]

‘দোয়েল পাখির পিঠের মতো রঙ হয়েছে মেঘের।’ [৭৮]

এমনি করেই উপন্যাসজুড়ে বর্ষাকালীন গ্রামীণ মেঠো প্রকৃতির টনটনে বর্ণনা দেয়া দেয়া হয়েছে। উপমা ব্যবহারের ক্ষেত্রেও মিলন গ্রামীণ অনুষঙ্গ বেছে নিয়েছেন। মাছ ধরার দৃশ্য ও মাছের স্বভাবজাত বিষয়াদি যেভাবে তুলে এনেছেন মিলন, তা আমাদের চমৎকৃত করে।

গ.
‘অধিবাস’ উপন্যাসটির প্রেক্ষাপট দেশভাগ উত্তরকাল। নির্দিষ্ট করে বললে ১৯৬৪ সাল। হিন্দু ধর্মাবলম্বী পরিবারগুলো ভিটেমাটি রেখে ভারতে চলে গেছে। যে অল্প কঘর টিকে আছে তার মধ্যে মনীন্দ্র ঠাকুর নামডাকঅলা মানুষ। বিশাল বাগানবাড়ি নিয়ে একা বাস। তার বাড়িতে কাজের ছেলে হিসেবে থাকে মজিদ। মনীন্দ্র ঠাকুর এই গায়ের একমাত্র ডাক্তার। মুসলমান-হিন্দু-উঁচু-নিচু সব জাত ও ধর্মের রোগী তিনি দেখেন। শুধু দেখেন না, মাঝে মধ্যে বিনামূল্যে ওষুধও দেন। এই দেশটাকে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে তিনি কলকাতা যাননি। সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে নিজগাঁয়ে তাকে আগন্তুকের মতো ভয়ে ভয়ে সাতপাঁচ ভেবে পা ফেলতে হয়। তিনি যানেন একটু এদিক-সেদিক হলেই তাকে গাছাড়া হতে হবে। জীবননাশও হয়ে যেতে পারে। এ-অবস্থায় মনীন্দ্র ভুলটা করে বসেন। তিনি খালের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় মজিদের কাঁধে চেপে খাল পার হন। চাকরের কাঁধে চেপে মনিবের খাল পার হওয়া দোষের কিছু না। কিন্তু মনীন্দ্রের অপরাধটা হলো তিনি হিন্দু হয়ে মুসলমানের কাঁধে চড়েছেন। হোক মনীন্দ্র ঠাকুর উঁচু জাতের হিন্দু-মজিদ হাজাম, নিচু জাতের মুসলমান। একটা সময় ছিল যখন ব্রাহ্মণের শরীরে ছোঁয়া লাগলে হাজামরা অপরাধ হয়েছে বলে মাথা পেত দাঁড়াত। কিন্তু সময় বদলেছে। এখন সংখ্যালঘু হওয়ার কারণে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় মনীন্দ্র ঠাকুরকেই। ভাসান গাছির অভিযোগের ভিত্তিতে চেয়ারম্যান ডেকে পাঠান মনীন্দ্র ঠাকুরকে। চেয়ারম্যান তাকে পরামর্শ দেন সবকিছু বুঝেশুনে চলার। তিনি বলেন, ‘মানুষ তো এখন আর আগের মতন নাই। দেশ ভাইঙ্গা যাওনে মাইনষের অনেক ক্ষতি হইছে। মাইনষের মনের ভিতরেও ধরছে ভাঙ্গন। ঐ ভাঙ্গনটার নাম ধর্ম। আইজ কাইল বেবাক কিছু ঐ ধর্ম দিয়া বিচার করে মাইনষে। মানুষ আর মানুষ নাই। হয় হিন্দু হইছে মানুষ নাইলে মোসলমান হইছে।’


চেয়ারম্যান অন্যায় কিছু বলেননি। তিনি মনীন্দ্র ঠাকুরের চোখে আঙুল দিয়ে বিদ্যমান বাস্তবতা দেখিয়ে দিয়েছেন। উপন্যাসটির মূলগল্প এটাই। মূলগল্পের পাশাপাশি বেশ কিছু হৃদয় নিংড়ানো শাখাগল্পও আছে এখানে। মজিদের যৌথ পরিবারে নয়জন মানুষ কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে দিনযাপন করে। আজুফা মজিদের বড় বোন। আজুফার বড় ছেলে রব ক্ষুধার কষ্ট ভুলে থাকতে সারাদিন মাছ ধরার ভান করে কাটিয়ে দেয়। কোলের শিশুটা ক্ষুধায় কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আজুফার স্বামী নিষ্কর্মা মানুষ। বসন্ত রোগে ভুগে স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলার শক্তি হারিয়েছে। কষ্ট করে যে দু-এক ঘরের গরু-ছাগলের অণ্ডকোষ ফেলার কাজ করে তারও উপযুক্ত সম্মানী পায় না। বঞ্চনার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সে অন্যজীবনে মৎসজীবন চায়, অন্তত মৎসজীবনের মনুষ্যজীবনের মতো খাদ্যকষ্ট নেই। আজুফার এক বোনের নাম তছিরন। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। আকাশে একটু মেঘ করলেই মাকে বলে, ‘কুপিবাত্তি আংগাও না মা! রাইত হয়া গেল তো!...এখন এই যে পনের-ষোল বছর বয়স মেয়েটি এখনও সে বোঝে না বাদল দিনের বিকেলবেলা মেঘের ছায়ায় চারিদিক অন্ধকার হলেই রাত হয় না। তখুনি জ্বালাতে হয় না কুপিবাতি। তখুনি খেতে হয় না রাতের খাবার, তখুনি ঘুমিয়ে পড়তে হয় না।’ মেয়েটি আড়াই তিন বছর বয়সে টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে আর বেড়ে ওঠেনি। গা-গতরে বড় হয়ে উঠলেও মানসিকভাবে সেই আড়াই তিন বছর বয়সেই আটকে আছে। এইজন্যেই আজুফাকেই দায়ী করে আজুফার মা হাকিমন। একদিন আজুফার কাছে শিশু তছিরনকে রেখে বাইরে যায়। আজুফা ভুলে যায় তছিরনের কথা। তছিরন একা একা নির্জন গাবগাছের তলে ঘুমিয়ে পড়ে। এরপরেই তার টাইফয়েড হয়। এ কারণে তছিরনের বর্তমান পরিণতির জন্যে মা আজুফাকেই দায়ী করে আসছে এত কাল। এমন বেশ কয়েকটি টুকরো টুকরো মর্মস্পর্শী গল্প ছড়িয়ে আছে উপন্যাসজুড়ে।


গভীর চেতনাবোধ না থাকলে এমন সংক্ষিপ্ত পরিসরে এই মহান উপন্যাসটি লেখা সম্ভব না। এই উপন্যাসে মিলন যা লিখেছেন তা একবিন্দুও বাড়িয়ে বা বানিয়ে লেখেননি। তাঁর আত্মজীবনী ‘কেমন আছ, সবুজপাতা’ পাঠ থেকে আমরা জানি, মিলন আড়িয়াল বিলের ধারে শৈশব কাটিয়েছেন। তার এলাকায় হিন্দু জনগোষ্ঠীর বাস ছিল। মিলনের শুধু এই উপন্যাস না, তাঁর সমগ্র লেখারই একটা বিরাট অংশজুড়ে আছে দেশভাগ ও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তাহীনতার চিত্রপট। কথাশিল্পী মিলন একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন। এই উপন্যাসে যে মানবিক জীবনচিত্র তিনি এঁকেছেন তা তাঁকে মহান শিল্পীর কাতারে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

আজ এই কথাসাহিত্যিকের জন্মদিন। তাঁর জন্য রইল ফুলেল শুভেচ্ছা।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়