ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস আজ

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৪, ৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস আজ

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ : কোটালীপাড়া মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাক-হানাদার মুক্ত হওয়ায় কোটালীপাড়ায় বয়ে গিয়েছিল আনন্দের বন্যা। সে দিন কোটালীপাড়ার মানুষ মুক্তির স্বাদ পেয়ে দলে দলে রাস্তায় নেমে পড়ে।

প্রায় ৫শ পাকহানাদারকে পরাজিত করে কোটালীপাড়াকে শত্রুমুক্ত করেছিল হেমায়েত বাহিনী। ৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার দিকে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়াই প্রথম হানাদার মুক্ত হয়।

এ অঞ্চলে পাকবাহিনী ও তাদের দোসররা ছিল খুবই শক্ত অবস্থানে। আর এ এলাকারই সন্তান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষক হেমায়েত উদ্দিন যুদ্ধ শুরু হলে দেশে পালিয়ে আসেন। ৮হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে তিনি গড়ে তোলেন হেমায়েত বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বেশ কয়েকটি সম্মূখযুদ্ধে অবতীর্ন হয় হেমায়েত বাহিনী। ৭২টি গ্রুপের সমন্বয়ে গঠিত এই হেমায়েত বাহিনী যুদ্ধ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ হয় হরিনাহাটি, মাটিভাঙ্গা, বাশবাড়িয়া, ঝনঝনিয়া, জহরের কান্দি, কোটালীপাড়া সদর প্রভৃতি স্থানে। এ ছাড়া ছোট যুদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি। আর এ সব যুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছেন হেমায়েত বাহিনী প্রধান হেমায়েত উদ্দিন বীর বিক্রম।

এরমধ্য থেকে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে ১৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ২৪জন আহত হন। নিহত মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- কোটালীপাড়া উপজেলার গোলাম আলী, বেলায়েত, আবুতালেব, আবুল খায়ের, মোক্তার হোসেন, রতন কুমার, মোয়াজ্জেম হোসেন, টুঙ্গীপাড়া উপজেলার বেলায়েত হোসেন, মুকসুদ উপজেলার আবুল বাশার, বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ছাত্তার মৃধা, সেকেন্দার, নুরু বেপারী, পরিমল শীল, আগৈলঝাড়া উপজেলার তৈয়বালী, নলসিটি উপজেলার ওসমান, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার মকবুল হোসেন, আঃ ছাত্তার এবং ঢাকার ইব্রাহিম।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে হেমায়েত বাহিনীর সদস্যরা ১৩৪টি অপারেশন পরিচালনা করেন। এর মধ্যে রামশীলের যুদ্ধ অন্যতম। এই যুদ্ধটি অত্র অঞ্চলে ঐতিহাসিক রামশীলের যুদ্ধ বলে পরিচিত। হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত উদ্দিন রামশীলের যুদ্ধে মারাত্মকভাবে আহত হন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে কোটালীপাড়ায় হেমায়েত বাহিনী শহীদদের স্মরণে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করেছে। এছাড়া কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের পশ্চিমপাড়ে মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি ফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভার কর্মসূচী রয়েছে।



রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/৩ ডিসেম্বর ২০১৭/বাদল সাহা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়