ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘ঘৃণায় নয়, বাঁচো ভালোবাসায়’

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৩, ২৯ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ঘৃণায় নয়, বাঁচো ভালোবাসায়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জঙ্গি আস্তানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে নিহত হয়েছে এক জঙ্গি। হারানো সন্তানকে নিয়ে মায়ের আহাজারি। সন্তানের দূরন্ত শৈশবের স্মৃতিচারণ। শেষে মায়ের প্রশ্ন, কোন মা চায় তার সন্তান হোক খুনি-জঙ্গি?

এমনই কাহিনি নিয়ে তৈরি হয়েছে জঙ্গিবিরোধী বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপনটি তৈরি করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

ব্যাব কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জঙ্গিবিরোধী প্রচারণা এবং পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সবাইকে সচেতন করতে এ বিজ্ঞাপন তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের স্লোগান রাখা হয়েছে, ‘ঘৃণায় নয়, বাঁচো ভালোবাসায়’।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে জঙ্গিবিরোধী এ বিজ্ঞাপনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামন খান কামাল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নবনিযুক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারী, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অ্যাডিশনাল আইজি শহিদুল ইসলামসহ র‌্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নাট্যব্যক্তিত্ব শমী কায়সারও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে জঙ্গি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই গান, কবিতা, সিনেমা ও বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জঙ্গিবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যেতে হবে।



স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হলি আর্টিজান, শোলাকিয়াসহ যখন বিভিন্ন জায়গায় জঙ্গি হামলা শুরু হলো তখনই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গি দমনে অভিযান শুরু করে। তখন প্রধানমন্ত্রী এর বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে দেশের আলেম-ওলামাসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সবাই এক হয়েছিল। আমরা দেখেছি, সারা দেশের মাদ্রাসার ছাত্ররা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে এসেছিল। দেশের মানুষের ঐক্য রয়েছে বলেই দেশে জঙ্গিদের স্থান হয়নি।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রশংসা করে আসাদুজ্জামান খান বলেন, আজকের পুলিশ আর ১০ বছর আগের পুলিশ এক নয়। তারা সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করছেন বলেই দেশের মানুষ আজ শান্তিতে রয়েছে।

জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দেশকে জঙ্গিমুক্ত করা। সেক্ষেত্রে র‌্যাবের এই প্রচারণার উদ্যোগ আরেকটি মাইলফলক। শুধু অপারেশনে জঙ্গিবাদ নির্মূল সম্ভব নয়। তরুণ সমাজকে জঙ্গিবাদে জড়াতে যে ধর্মীয় অপব্যাখ্যার ব্যবহার হচ্ছে সেখান থেকে সরে আসতে সচেতনতা ও প্রচারণার প্রয়োজন রয়েছে।

জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় যারা কারাগারে রয়েছেন তাদেরকে কীভাবে ডির‌্যাডিকালাইজড করা যাবে সেটিও একটি চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন নবনিযুক্ত আইজিপি।

তিনি আরো বলেন, আজাদ, রবিউল, সালাউদ্দীনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক একনিষ্ঠ কর্মকর্তাকে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আমরা হারিয়েছি। আহত হয়েছেন শত শত সদস্য। তবুও আমরা দমে যাইনি। ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিবিরোধী যুদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছি। আশা করব, সামাজিক ও পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা জঙ্গিবাদকে নির্মূল করতে পারব। একই সঙ্গে পুলিশ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য জঙ্গি দমনে পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ কাজ করে যাবে।





রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জানুয়ারি ২০১৮/নূর/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়