ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

নারীর প্রজ্ঞা ও পরামর্শ : খনা ও খনার বচন

পূরবী বসু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৩৭, ৮ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
 নারীর প্রজ্ঞা ও পরামর্শ : খনা ও খনার বচন

অক্ষয় লাইব্রেরি কলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ছবিতে খনা’ থেকে

 

|| পূরবী বসু ||

কৃষি ও জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী খনার জন্ম অষ্টম থেকে দ্বাদশ শতাব্দীর কোনো এক সময়ে; সঠিক জানা যায় না। আদৌ বাংলার নারী অথবা বাঙালি ছিলেন কিনা খনা এ সম্পর্কেও বহু মতভেদ রয়েছে। কেউ কেউ অবশ্য দাবি করেন, খনা জন্মেছেন ও বেড়ে উঠেছেন পশ্চিমবঙ্গের বারাসতে। কেউ বলেন সিংহলের রাজকন্যা ছিলেন তিনি। তখন তার নাম ছিল ‘লীলাবতী’। উজ্জয়িনীর রাজা বিক্রমাদিত্যের নবরত্নের সভায় আলো করা পণ্ডিত ও জ্যোতির্বিদ বরাহ ছিলেন খনার স্বামী মিহিরের পিতা।

কথিত আছে মিহিরের জন্মের পরে বরাহ তিথি ইত্যাদি গণনা করে দেখেন যে তাঁর পুত্র এক বছরের বেশি বাঁচবেন না। তখন তিনি সদ্যোজাত পুত্রকে একটি হাড়িতে ভরে নদীতে ভাসিয়ে দেন। ভাসতে ভাসতে সেই হাড়ি এসে ভিড়ে সিংহল দ্বীপের কিনারায়। সিংহলের রাজা ও রানী মিহিরকে পেয়ে নিজেদের কন্যা লজ্জাবতীর সঙ্গে তাকেও পরম আদরে বড় করেন। মিহির ও লীলাবতী দুজনেই গণিত ও জ্যোতির্বিদ্যায় পারদর্শী হয়ে ওঠেন। অতঃপর মিহির ও লীলাবতীর বিয়ে হয় এবং তাঁরা বরাহ মিহিরের কথা জানতে পারেন। একদিন বরাহের উজ্জয়িনীর বাড়িতে স্ত্রী লীলাবতীকে নিয়ে উপস্থিত হন মিহির।

এই কাহিনি বা কিংবদন্তি হলো প্রচলিত অনেকগুলো কিংবদন্তির ভেতর অপেক্ষাকৃত জনপ্রিয় একটি। মিহিরের জন্মস্থান, তাঁর সিংহলযাত্রা, মানুষ বা রাক্ষস দ্বারা তাঁর উদ্ধার ও লালনপালন, লীলাবতীসহ তাঁর ভারত প্রত্যাবর্তন ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে নানা ধরণের কিংবদন্তি প্রচলিত আছে এবং এগুলোর কোন্টা ঠিক, অথবা আদৌ ঠিক কিনা বলা শক্ত। খনার গল্প ও খনার বচন শুধু বাংলায় নয়, অন্যান্য রাজ্যে বিশেষ করে উড়িষ্যা ও আসামে খুব জনপ্রিয় ও পূজিত। উড়িয়া ভাষায় খনা মানে ‘বোবা’। স্বামী ও শ্বশুর কর্তৃক খনার জিহ্বা কর্তনের মধ্য দিয়ে খনার কথা বলা বা মুখে মুখে কাব্যরচনা বন্ধ করে তাঁকে বোবা বা খোনা করা হয়েছিল বলে প্রচলিত বিশ্বাস। বরাহ কিংবা তাঁর পুত্র মিহির অথবা দু’জনে মিলেই এই ভয়ঙ্কর কাজটি করেছিলেন বলে কথিত আছে। যার জন্যে উড়িয়া ভাষ্যমতে লীলাবতী এভাবেই খনা নামে পরিচিতি পান।

খনার বুদ্ধিমত্তা ও জ্যোতিষ শাস্ত্রে তার অকল্পনীয় পাণ্ডিত্যকে কেন্দ্র করে খনার সঙ্গে তার পুরুষতান্ত্রিক স্বামী ও শ্বশুরের গোল বাঁধে। জ্ঞান, বুদ্ধি, প্রজ্ঞা ও সাধারণ জানাশোনা-অভিজ্ঞতা থেকে খনা গ্রামের কৃষকদের চাষবাস ও ফলন সম্পর্কে উপদেশ দিয়ে উপকৃত করতেন। ওদিকে একদিন বিক্রমাদিত্য রাজসভায় তাঁর নবরত্নকে জিজ্ঞেস করেন আকাশে কত তারা আছে? বরাহ ও মিহিরসহ নবরত্ন সভার কেউ তা সঠিকভাবে বলতে পারেন না। কিন্তু খনা সঙ্গে সঙ্গেই তার সঠিক উত্তর দেন। দেখা যায় জ্যোতির্বিদ্যা, কৃষি, আবহাওয়া, সাধারণ জ্ঞান, ইত্যাকার বিষয়সমূহে বিক্রমাদিত্যের যত জিজ্ঞাস্য, যত কৌতূহল, তা তার নবরত্নের সভার বড় বড় পণ্ডিতের চাইতে লীলাবতীই আরো ভালো করে উত্তর দিতে, তার কৌতূহলী মনকে পরিতৃপ্ত করতে সক্ষম। বিক্রমাদিত্য তখন স্বভাবতই অন্যদের তুলনায় লীলাবতীর কথাতেই বেশি প্রভাবিত হন, তার কথাকেই প্রাধান্য দেন। তিনি বরাহের পুত্রবধূকে রাজদরবারে তার পণ্ডিতসভায় আমন্ত্রণ জানান। এসব দেখে হিংসায় তার স্বামী ও শ্বশুর মিলে লীলবতীকে খনা অর্থাৎ বোবা বানিয়ে দেন তার জিহ্বা কেটে দিয়ে। যাতে সে আর কথা বলতে না পারে। যাতে তার জ্ঞানচর্চা, সৃজনশীলতা ও পাণ্ডিত্য প্রকাশিত না হতে পারে। কেননা তখন ছিল শ্রুতির সময়। লিখিত নয়, সমস্ত জ্ঞানচর্চা হতো মুখে মুখে, কথায়, গানে, কবিতায়। কর্তিত জিহ্বা থেকে রক্ত ক্ষরণেই খনার মৃত্যু হয় বলে যে জনশ্রুতি রয়েছে, সে সম্পর্কে প্রায় সকল বাঙালি জ্ঞাত।
 


বাংলার পথ ঘাট মাঠ পুকুর আর শস্য, খেত, ফলফুল, জলবৃষ্টি, আবহাওয়া, পুষ্টি, রোগবালাই নিয়ে খনা যেসব ছড়া তৈরি করে গেছেন, তা এতোটাই বাংলাদেশের মাটি ও জলের সাথে সম্পৃক্ত, যে এখানে বাস না করলে সেগুলো লেখা সম্ভব নয়। ফলে খনার প্রাথমিক জীবন সিংহলে বা উজ্জয়নীতে কাটলেও সাবালিকা জীবনের একটি বড় অংশ অর্থাৎ জীবদ্দশার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ সম্ভবত কেটেছে বাংলায় বা তার আশেপাশে। খুব সম্ভবত ২৪ পরগণার বারাসতের দেউলিয়া গ্রামে। অজস্র উপদেশমূলক বা পরামর্শসমেত ছড়া লিখেছেন খনা। বাংলায় আজও সেসব ছড়া অতি জনপ্রিয় এবং লোকের মুখে মুখে অনুরণিত। এইসব ছোট ছোট এবং সহজবোধ্য ও প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার্য ছড়াসমূহ সামগ্রিকভাবে ‘খনার বচন’ নামে পরিচিত। কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন খনার বচন কোনো বিশেষ ব্যক্তি-প্রতিভার অসাধারণ প্রকাশ নাও হতে পারে। হয়তো ঐ বচনগুলো ঐ সময়ের সমচিন্তাশীল একদল মনীষার মিলিত কণ্ঠস্বর।  আরো একটি ব্যাপারে খটকা থেকে যায়। খনার সময়-স্থান নিয়েও যথেষ্ট বিভ্রান্তি রয়েছে। ঐতিহাসিকদের মতে (উইকিপিডিয়া অনুসারেও) ভারত উপমহাদেশে খনার অবস্থান ৮ থেকে ১২ শতাব্দীর কোনো এক সময়। অথচ আরেক ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব, তার শ্বশুর বরাহ যিনি বিক্রমাদিত্যের সভায় ছিলেন, যার অবয়ব আজও ভারতের পার্লামেন্ট ভবনে শোভা পায়, তার অবস্থান ছিল ষষ্ঠ শতাব্দীতে। যতদূর জানা যায় বরাহের জন্ম ৫০৫ খ্রিস্টাব্দে এবং মৃত্যু ৫৮৭-তে। তাহলে বরাহ কেমন করে খনার শ্বশুর হতে পারেন? তার সঙ্গে একই সময়ে জীবনধারণই বা কী করে সম্ভব? নাকি খনা আসলে ষষ্ঠ শতাব্দীর কবি? খনার জন্ম, সময়ের প্রেক্ষাপটে তাঁর এবং তাঁর স্বামী বা শ্বশুরের অবস্থান, তাঁর কর্মযোগ ইত্যাদি সম্পর্কে এতো বেশি ও এতো বিভিন্নমুখী  কিংবদন্তি রচিত হয়েছে যে, ইতিহাস ঘেঁটে এসবের স্থিরতা বা অস্তিত্বের প্রমাণ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ইদানীং এমনও সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে যে, খনা নামে কোনো প্রাজ্ঞ নারী ছড়াকারের আদৌ অস্তিত্ব ছিল কিনা। নাকি নানা কিংবদন্তির মতো খনা নামের কথিত নারীটিও এশটি মূর্তিমান কিংবদন্তি এবং অনেকগুলো চরিত্রের সংমিশ্রণে তৈরি করা একটি বিশেষ সময়ের এক মিলিত ব্যক্তিত্ব (কম্পোজিট ফিগার)। কেউ কেউ মনে করেন, খনার বচন আসলে লোকজ গ্রামীণ বাংলার সম্মিলিত কণ্ঠ। কৃষি, পশুপালন, গৃহ নির্মাণ, ঋতু, আবহাওয়া, পুষ্টি, স্বাস্থ্য, রোগ-জরা নিয়ে ছোট ছোট ছড়ার মতো বয়ানে খনার উপদেশসমূহ মানে খনার বচন আজও পল্লী অঞ্চলে খুব জনপ্রিয় ও কৃষকের জীবনের পথপ্রদর্শক।

কয়েক হাজার খনার বচনের মধ্যে নিচে কয়েকটি দেওয়া হলো নমুনা হিসেবে:

যদি না হয় আগনে বৃষ্টি

তবে না হয় কাঁঠালের সৃষ্টি

সকাল শোয় সকাল ওঠে

তার কড়ি না বৈদ্য লুটে

আলো হাওয়া বেঁধো না

রোগে ভোগে মরো না।

গাছগাছালি ঘন রোবে না

গাছ হবে তার ফল হবে না

বামুন বাদল বাণ

দক্ষিণা পেলেই যান।

ব্যাঙ ডাকে ঘনঘন

শীঘ্র হবে বৃষ্টি জান।

প্রাচীন কালের ভারতবর্ষের অধিকাংশ সাহিত্য বা শাস্ত্রীয় রচনা ধর্ম ও ঈশ্বর দিয়ে যে রকমভাবে আগাগোড়া প্রভাবিত ছিল, খনার বচন তা থেকে প্রায় সম্পূর্ণ মুক্ত। খনার বচনে ঈশ্বর বা আধ্যাত্মিকতার কিংবা পরকালের কথা, স্বর্গের লোভ বা নরকের ভয় এসব কিছুই স্থান পায়নি বললেই চলে। কৃষকের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব সমস্যা নিয়েই এই বচনগুলো রচিত। এছাড়া খনা স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচুর বচন লিখলেও সেখানে ঝাড়, ফুঁক, ওঝা, তাবিজ, পানিপড়া, ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশেষ অলৌকিক ক্ষমতার কথা বা অন্য কোনো কুসংস্কারের উল্লেখ নেই। সাদাসিধে বৈজ্ঞানিকভাবে পরীক্ষিত কিছু উপদেশাবলি রয়েছে। এসব দেখে মনে হয়, খনার কালে কোনো বিশেষ প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই খুব বলিষ্ঠভাবে সমাজে গেড়ে বসেনি। ভারত উপমহাদেশের ইতিহাস ঘেঁটে দেখলে এমন সময় খুব কমই বের করা যাবে, যখন কোনো না কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম দিয়ে রাজ্য শাসন প্রভাবিত হয়নি।

এছাড়া খনার বচনে বিস্ময়করভাবে নারী-নিন্দা বা নারীর-অধস্তনতা কিংবা নারী নির্যাতন কিংবা অবদমনের ইঙ্গিত অথবা পৌরুষত্বের আস্ফালনের প্রকাশ অনুপস্থিত। প্রচলিত বচনগুলোর মধ্যে কেবল দুটি বচনে আমি নারী-নিন্দার আভাস পাই। এসব দেখে ও বিচার করে আমার ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে মনে হয়, খনা নামক কোনো প্রকৃত নারী থাকুক বা না থাকুক, খনার বচন সম্ভবত রচিত হয়েছে চার্বাক বা লোকায়ত দর্শন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে। চার্বাকরা বস্তুবাদী ও নিরীশ্বরবাদী। চার্বাকদেও জীবনচর্চা ও ভারত উপমহাদেশে এই লোকায়ত দর্শনের ধারণা ও প্রচারের সূচনা অনেক আগেই, প্রায় ঋকবেদের সময়। কিন্তু হিন্দু পুনর্জাগরণের জোয়ারে অন্যান্য অনেক লোকজ বিশ্বাসের সঙ্গে চার্বাক দর্শনও উৎখাত করা হয়। আর একই কারণে তাদের উচ্ছেদের পর চার্বাকদের কোন গ্রন্থ, প্রচারপত্র, পরামর্শ বা উপদেশের চিহ্ন রাখেন নি তারা পরবর্তী কালের জন্যে। তবে অষ্টম শতকে আবার সংঘবদ্ধ হয়েছিলেন চার্বাক বা লোকায়ত বিশ্বাসের লোকেরা, যারা মৃত্যুর পর আত্মা বেঁচে থাকার কথা অগ্রাহ্য করেন; যারা প্রমাণ ছাড়া কোনো কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন করেন না, ঈশ্বর বা পরলোক মানেন না, ইত্যাদি। ইহলৌকিক ভোগ বাসনায় এবং দৈনন্দিন জাগতিক ব্যাপারে ও বস্তুগত বিষয়ে নিজেদের ও অপরের উন্নতি সাধনে তারা সর্বদা সতর্ক ছিলেন। যেহেতু খনার বচনের রচনাকাল, ও খনার জীবন ৮০০-১১০০ সালের মধ্যে বলে স্বীকৃত, খনার পক্ষে চার্বাক দর্শনের অনুরাগী হওয়া স্বাভাবিক। আর তাই যদি হয়, খনার কাল ৮ম শতাব্দীতে হওয়াই স্বাভাবিক।
 


খনার বচনের প্রতিপাদ্য বিষয় সম্পর্কে সুন্দর করে বলেছেন রণদীপম বসু। তিনি বলেছেন: ‘খনার বচনে আছে কৃষিকাজের বিবিধ রীতি-পদ্ধতি ও নিয়ম-নির্দেশ। হাল, চাষ, বলদ, ভূমি, বীজ, ফলন, বৃষ্টি, বন্যা, শিলা, ঝঞ্ঝা, মাস, ঋতু ও সপ্তাহের বিভিন্ন বার প্রভৃতি সম্মন্ধে জ্যোতিষী ব্যাখ্যা এগুলোর মধ্যে পাওয়া যায়। বৃষ্টি ও আবহাওয়া সম্পর্কে রচিত বচনে সাধারণত বৃষ্টি, বন্যা, খরা, সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী থাকে। বর্ষায় বৃষ্টি হলে কৃষক চাষ করবে, বীজ বুনবে, চারা রোপণ করবে, ফসল ফলাবে। সেই সঙ্গে লক্ষ্য রাখবে বন্যায় না-ভেসে যায় ফসল। কোন ফসলের সঙ্গে বা পাশে কোন ফসল উৎপন্ন করলে ফলন ভালো হবে, কত দূরে দূরে চাড়া রোপন করতে হবে, সবই বিস্তারিত বলা হয়েছে এই বচনে। বচনগুলো তাই বাংলার ‘কৃষিদর্শন’। কেবল কৃষি দর্শন নয়, কৃষি নির্দেশনাও বটে।’

শষ্যের মধ্য কয়েকটির উল্লেখ বারে বারে এসেছে। যেমন হলুদ, কলা, নারকেল, ধান, তুলো। তবে খনার বচনের বক্তব্য  বাস্তব শিক্ষা ও পর্যবেক্ষণের আলোকে অধিকাংশ সময়েই গভীর প্রজ্ঞা ও অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হলেও সপ্তাহের বার, টিকটিকি, হাঁচির উপস্থিতি বা বিভিন্ন দিকে যাত্রা শুরু করার দিনক্ষণ নিয়ে লিখিত তাঁর কিছু বচনের দৃঢ় কোনো বিজ্ঞান ভিত্তি আছে বলে মনে হয় না। সেগুলো নেহায়েতই লোকজ সংস্কার, যার অন্যরকম বা ভিন্ন ধরনের গুরুত্ব হয়তো ছিল তখনকার গ্রামীণ সমাজে, যদিও জ্যোতিষ শাস্ত্রে তখন শুধু খনা নন, সমস্ত সমাজই প্রভাবিত ছিল। তবে অবৈজ্ঞানিক বা কুসংস্কারাচ্ছন্ন খনার বচনের সংখ্যা মোট বচনের তুলনায় অতি স্বল্প ও অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয়। খনা শুধু বাংলায় নন, অনেকে তাঁকে  উপমহাদেশের প্রথম নারী কবি, প্রথম ছড়াকার, প্রথম নারী জ্যোতিষবিজ্ঞানী বলে মেনে নেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ এপ্রিল ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়