ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাকে আর মনে পড়ে না

মোজাফ্ফর হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ১৪ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাকে আর মনে পড়ে না

|| মোজাফ্‌ফর হোসেন ||

‘আজ মা দিবস, বাবা।’ অফিসে বের হবো ছেলেটা একটা গোলাপ হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল।

‘বাবা দিবস তো আর না; আমাকে ক্যানো?’ জিজ্ঞেস করি আমি।

‘তোমার জন্য। আমরা মাকে দিয়েছি।’ বলে ছোটন ডাইনিং টেবিলে বসে। ওর মা পাশেই বসা। মেয়েটা আমার সঙ্গেই নাস্তা সেরেছে; ভোরে ক্লাস থাকে। আমি ফুলটা শিলুর হাতে দিয়ে বলি, ‘হ্যাপি মাদারস ডে!’ ছোটন সঙ্গে সঙ্গে ফুলটা আমাদের দুজনের বিনিময় মুহূর্তে ছো মেরে নিয়ে নেয়।

‘আজ মা দিবস। তোমার স্ত্রী দিবস না; বাবা! ফুলটা এনেছি তোমার জন্য।’ ছেলে বলে।

‘ধন্যবাদ।’ বলে ফুলটা আমি টেবিলে রাখতে যাই। ছোটন উঠে আসে; বলে, ‘তোমার জন্য মানে তোমার মাকে তুমি উইশ করবে সেই জন্যে।’


আমি থেমে যাই। ওর কথাটা বোঝার চেষ্টা করি। ও আরেকটু ধরিয়ে দেয়; বলে, ‘আজিমপুর গোরস্থানটা তোমার অফিসের পথেই পড়বে, যাওয়ার সময় দিয়ে যাও।’ বলে ছোটন ফুলটা আমার হাতে তুলে দিয়ে খাবার টেবিলে বসে। আমরা আর কথা বলি না। শিলু একবার আমার দিকে তাকিয়ে চোখটা নামিয়ে নিয়ে বলল, ‘বেশ তো, একবার ঘুরে আসো।’

লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। লিফট আসে, থামে না। উঠে যায় উপরে, ফের নেমে পড়ে নিচে। পাশের ফ্লাটের সবুর সাহেব লিফটের বাটনটা চাপ দিয়ে সহাস্যে বলেন, ‘যন্ত্রের বোধ আছে কিনা দেখছিলেন নাকি!’ আমরা লিফটে উঠি।

‘সাত-সকালে হাতে ফুল! তাও রক্তগোলাপ। বৌ জানে তো?’ ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করেন। আমি মৃদু হাসি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকি নিরুত্তর।

‘একবার এই ফুলের জন্য সংসারটাই আমার ভেঙে যেতে বসেছিল; বুঝেছেন? আমি বৌয়ের জন্য শখ করে কিনেছিলাম। অনভ্যাসে যা হয় আর কি, দিতে ভুলে গেলাম। কদিন পর ও কাপড় ধুতে গিয়ে পকেটে পেয়ে সে কি কাণ্ড! বিশ্বাসই করল না। আজও করেনি।’

‘সংসারটা টিকল যে?’ আমি জিজ্ঞাসা করি আলগা আগ্রহ দেখিয়ে।

‘মাথা ছুঁয়ে, কুরআন ছুঁয়ে প্রতিজ্ঞা করতে হলো, জীবনে আর কোনো নারীকে ফুল দেবো না! এরপর থেকে ফুলের দোকান দেখলেই উল্টোপথে চলি। ভুল করেও না!’


গাড়ি রাস্তায় নামে। ফুলটা আমার পাশের খালি সিটে রাখি, এ দৃশ্য একেবারে নতুন। একটা গোলাপ এতটা ভারি কখনও মনে হয়নি। ভাবতে থাকি শেষ কতদিন আগে এভাবে ফুল নিয়ে কোথায় গেছি; মনে পড়ে না। ছেলেমেয়ে কিংবা ওদের মায়ের জন্মদিনে আমাকে ফুল কিনতে হয় না। আয়োজন ওরাই করে, আমাকে অংশ নিতে হয় মাত্র। শিলুকে একবার ফুল দিয়েছি বিয়ের আগে। বিয়ের পর দুয়েকটা ম্যারেজ ডে-তে ফুলের তোড়া নিতে হয়েছে, তাও শিলু মনে করিয়ে দেওয়ার পর। এরপর ও একদিন নিজেও ভুলে গেল সংসার ও সন্তানের চাপে। আজ এতদিন পর একা একা ফুল নিয়ে যাচ্ছি কোথাও।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ভবনে চাকরি। অনেকদিন হলো। মোহাম্মদপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবে এসে বাটা সিগনাল হয়ে শাহবাগ মোড় ঘুরে অফিসে যাই রোজ। আজ ড্রাইভার সরাসরি নিউমার্কেটের দিকে টান দিলো।

‘এদিকে কেন?’ আমি জিজ্ঞাসা করি।

‘ছোটন বাবা বলে দিয়েছেন আজিমপুর হয়ে যেতে।’ ড্রাইভার বলে।

‘চলো।’ আমি ছোট্ট করে উত্তর দিই।

‘আজ কি খালাম্মার মৃত্যুবার্ষিকী স্যার?’ ড্রাইভার জানতে চায়।

‘না।’ আমি উত্তর দিই। মে কি জুন মাসে। মে মাসে হলেও আজ যে না সে ব্যাপারে কেন জানি নিশ্চিত মনে হয় আমার।

গাড়ি নিউমার্কেটের সামনে সিগনালে থেমে থাকে। ফুলটা পাশের সিটে।

‘স্যার, খালাম্মার কবরটা কোন গেইটে? ডান দিক দিয়ে যাবো, না সোজা?’ 

এই প্রশ্নের উত্তর আমি চট করে দিতে পারি না। অনেক বছর হলো মায়ের মৃত্যুর।

‘সোজা।’ ড্রাইভারকে কোনো একটা দিকের কথা বলতে হয়। ওকে বুঝতে দিলাম না কিছুই। ও এগুতে থাকে, আমি মনে করার চেষ্টা করি। গাড়ি এসে থামে কোনো একটা গেইটে।


‘আমি কি আসবো স্যার? খালাম্মার কবরটা আমারও জেয়ারত করা হবে। চিনেও গেলাম। আবার তো আসতে হতে পারে।’ ড্রাইভার বলে।

‘আজ থাক। তাছাড়া গাড়ি পার্কিংয়ের ঝামেলাও হতে পারে।’ বলে ভেতর ঢুকে গেলাম। কত বছর পর এলাম জানি না। সব এলোমেলো লাগছে। ফুলটা ভুলে গিয়েছিলাম, ড্রাইভার এসে দিয়ে গেল। ভেবেছিল ওকে থাকতে বলবো। কিন্তু আমি যে মায়ের কবরটা চিনতে পারছি না, সেটা আর ওকে বুঝতে দিতে চাই না। একটা গাছ ছিল পাশে; শিশুগাছ। গাছটা কেটে ফেলা হয়েছে। কিংবা মরে গেছে। শিশুগাছ দেশে দেশে মরে যাচ্ছে বলে শুনেছি। নতুন নতুন কবর হয়েছে। মায়ের কবরের উপরেও হয়ত অন্য একটা বা আরও কয়েকটা কবর পড়েছে। তখন এত টাকা আমার ছিল না যে বাঁধাই করে চল্লিশ পঞ্চাশ বছর চুক্তিতে জায়গাটা নেবো। ফুল হাতে কবরগুলোর আশেপাশে ঘুরতে থাকি।


বিশ বাইশ বছর আগে মা যখন ঢাকা মেডিকেলে মারা গেলেন গ্রাম থেকে চাচা-মামারা বলেছিলেন লাশটা নিয়ে যেতে। একমাত্র ছেলে আমি, ঢাকাতেই পাকাপাকি বসবাস, তাই মায়ের কবরটা পাশে থাকলে মাঝে মধ্যে জেয়ারত করতে পারব, শক্তি পাবো মা কাছে কোথাও আছেন ভেবে, তাই অনেকটা জোর করে এখানে কবর দিই।

লিভার ক্যান্সার। মা নিজেও বুঝতে পেরেছিলেন আর বেশিদিন বাঁচবেন না। আমাকে একদিন হাসপাতালে মাথার কাছে ডেকে বলেছিলেন, ‘কবরটা পারলি তোর বাপের পাশে দিস।’ চেয়েছিলাম মায়ের শেষ ইচ্ছাটা পূরণ করতে। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, গাঁয়ের কবরস্থানে, যেখানে বাবার কবর সেখানে নারী-পুরুষের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। চাইলেও বাবার পাশে মায়ের কবর দেওয়া সম্ভব নয়। তাছাড়া মাকে সেদিন বলেওছিলাম, ‘বাবা তো নিজের মা-বাবার পাশেই আছেন। তুমি না-হয় আমার সাথেই থাকলে মা।’ মা কি যেন উত্তর দিয়েছিল অস্পষ্টভাবে আজ আর মনে পড়ে না। এখন বুঝতে পারছি, আমি চাইলেও আমার কবর আর মায়ের পাশে হবে না। বাবার পাশে সম্ভব। মা তাহলে একাই এই কবরস্থানে থেকে যাবেন। মনে মনে ভাবি আমি। মৃত্যুর পর কি মানুষ কোথাও থাকে নাকি! যুক্তি দিয়ে মনকে বোঝাতে চেষ্টা করি। 


আনমনে হাঁটতে হাঁটতে একটা কবরের সামনে এসে দাঁড়িয়েছি ফুলটা রাখবো ভেবে। দেখি কিছু ফুল পড়ে। কয়েকদিন আগে দেওয়া। বৃষ্টিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। করবটা পুরানো, দশ বছরের বেশি পুরানো হয়ত হবে না। আরেকটু সামনে এগিয়ে যাই। চোখ বন্ধ করে শেষ দিনটির কথা মনে করার চেষ্টা করি।  

আমি, মামা, আমার এক বন্ধু খাটুলিটা ধরে কবরে নিয়েছিলাম। আরও দুয়েকজন ধরেছিল, অপরিচিত। কিংবা সেদিন পরিচিত ছিল, আজ আর তাদের কথা মনে নেই। দিনটি ছিল সরকারি বন্ধের দিন। তবে শুক্রবার না। মনে পড়ে দুপুরে এখানেই মসজিদে আমরা নামাজ পড়েছিলাম, জুম্মার নামাজ সেটা ছিল না। 

‘ভুলে গেছেন?’ ফুল হাতে নিয়ে ঘুরতে থাকা দেখে একজন মুরব্বী এগিয়ে আসেন। আমাকে সালাম দিয়ে জিজ্ঞেস করেন।

আমি নিশ্চুপ অসহায়ভাবে তাকিয়ে থাকি।

‘কার কবর?’ লোকটি ফের জিজ্ঞাসা করে।

‘মায়ের?’ নিজেই উত্তর দিয়ে দেন। 

‘আপনার মতো অনেকেই আসে। ভুলে যায়। মনে মনে মাকে স্মরণ করে ফুলটা কোথাও রেখে দিন। মায়ের জন্য দোয়া করুন। যেখান থেকেই সন্তান দোয়া করুক, আল্লাহ মায়ের কাছে পৌঁছে দেবেন।’ বলে লোকটা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে থাকেন। কিছুক্ষণ পর লোকটাকে আর দেখা যায় না।


‘ক্ষমা করো মা।’ বলে ফুলটা একটা পুরানো কবরের পাশে রেখে ফিরে আসি। আসবার সময় কেবলই মনে হচ্ছিলো আজই সেই দিন। আজই মা চলে গেলেন, আজ থেকে বছর বিশেক আগে। একবার মনে হলো এইতো সেদিন, যেন গত বছরই। খাটুলি মাথায় নিয়ে হাঁটছি আমরা। কিন্তু যখনই চেহারাটা মনে করার চেষ্টা করি তখন সময়টা হাত ফসকে অনেক পেছনে ছুটে পালায়। কিছুতেই ধরতে পারি না।


রাতে খাওয়ার টেবিলে মা দিবসের আয়োজন। ছেলে আর মেয়ে যৌথভাবে রান্না করেছে ওদের মাকে বিশ্রাম দিয়ে। আমাদের সময় মা দিবস ছিল না। থাকলেও আমরা গাঁয়ের মানুষ জানতাম না। গ্রাম থেকে এসএসসি পাস করার পর শহরের স্কুলে ভর্তি করিয়ে দিলেন বাবা। এরপর এইচএসসি পাস করে চলে এলাম ঢাকা। বছরে দু তিনবার বাড়ি যাওয়া। মা বলতেন মাসে মাসে যেতে, আমিও বলতাম যাবো, কিন্তু কেন জানি যাওয়া হত না। তখন মোবাইল ফোন ছিল না। চিঠিতে খুব জরুরী কথা চালাচালি হতো। বেশিরভাগ সময়ই টাকা চেয়ে বা পেয়ে জানানো। মা নাকি প্রায়ই রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকতেন। ‘ওর থাকার জায়গাটা একবার নিজির চোখে দেকি আলি শান্তি পাতাম।’ বাবাকে বলতেন। এতটা বছর পর যখন এলেন, চিকিৎসার জন্য, তখন আর ফিরে যেতে পারলেন না। আমি যেদিন বাড়ি যাবো সেদিন নাকি মা বাতাসে গন্ধ শুকেই বলে দিতেন, আমি আসছি। পাড়ায় এ নিয়ে হাসাহাসি হতো, কিন্তু সন্ধ্যা অবধি দেখা যেত আমি ঠিকই পৌঁছে গেছি। বাবার ধারণা আমি গোপন চিঠি দিয়ে মাকে জানিয়ে দিতাম আগেই। চিঠি দিতাম কিনা আজ আর মনে পড়ে না।


ছেলেমেয়ে টেবিল সাজিয়েছে। কিছু তার্কিশ খাবার শিখেছে ইউটিউবে। সেগুলো ট্রাই করেছে। আমি বসেছি একেবারে কোণার চেয়ারে।

‘বাবা, আজ আমরা তোমার মায়ের কথা শুনবো।’ ছেলে বলে। মেয়েটার বয়স যখন দুই তখন আমার মায়ের মৃত্যু হয়। মেয়ের বয়স হিসাব করলে মায়ের মৃত্যুর বয়স ঠিক ঠিক জানা যাবে। কিন্তু আমার ইচ্ছা করে না জানতে।      

‘দাদি কার মতো ছিল বাবা?’ মেয়েটা জানতে চায়।

‘আমি নাকি দাদির মতো হয়েছি। মা বলে।’ নিজেই আবার উত্তর দেয়। আমি ওর চেহারার ভেতর মাকে দাড় করাতে চেষ্টা করি। যত খুঁজি ততই যেন ভুলে যাই। মায়ের কোনো ছবি তুলে রাখা হয়নি। স্মৃতির বিন্দু থেকে ছড়াতে ছড়াতে এতো ছড়িয়ে পড়েছে যে আর কিছুতেই এক করতে পারি না। আমার নীরবতার ভেতর ছেলেমেয়েরা উত্তর খুঁজে নিতে চেষ্টা করে।

‘একটা ঘটনা বলো দাদিকে নিয়ে?’ মেয়েটা বলে।

‘বাবাকে খাবার সময় বিরক্ত করিস না। পরে একদিন আমার কাছে শুনে নিস।’ আমার স্ত্রী ওদের থামিয়ে দিয়ে বলে।

আমারও শুনতে ইচ্ছা করে। কিন্তু স্ত্রীকে বলবার সাহস হয় না। শিলু কোন গল্পটার কথা বলবে? আমি কি ভুলে গেছি সেসব? মনে মনে ভাবি আমি।

‘খুব সরল মানুষ ছিলেন তিনি।’ শিলু বলে। আমি কান খাড়া করে শোনার চেষ্টা করি।

‘বাবাকে বলতে দাও মা। বাবার ছেলেবেলার কথা শুনতে চাই।’ ছেলে থামিয়ে দেয়।


আমার কিছু বলা উচিত। আমার মনে পড়ে, মা মুখ ভার করে সন্ধ্যার পর কলপাড়ে বসে থাকতেন। সবাই রাতের খাওয়া সেরে ঘরে উঠে যেতাম। মা থালাবাসন ধুয়ে-মেজে, উঠোনের কোণে চুলাটায় গোবর ভিজিয়ে লেপে, বাবার ফজরের ওজুর পানি উঠোনে রেখে, বাড়ির কুকুরটার সঙ্গে কলপাড়ে বসে থাকতেন আরো কিছুটা সময়। আর কিছু মনে পড়ে না। আমি বহুদিন রাতে প্রস্রাব কিংবা পায়খানা করতে উঠে আধো অন্ধকারে মায়ের ছায়া দেখে ভয়ে চিল্লিয়ে উঠেছি। মা বাড়ির পশ্চিম কোণায় ফাঁকা জায়গাটায় দাঁড়িয়ে থাকতেন। ওদিকে অনন্ত মাঠ। মাঠটা পেরুলেই সীমান্ত। নানা দেশভাগের পর ভারতে বাড়ি-জমিজমা ছেড়ে বাংলাদেশে চলে আসেন। ওপারে বড়খালা স্বামী-সন্তান নিয়ে থেকে যান। আর থেকে যায় নানির করবটা। মা সেই পুরানো কষ্ট মেখে দাঁড়িয়ে থাকতেন। মায়ের মুখে আমি কোনোদিন তাঁর মায়ের গল্প শুনিনি। প্রশ্ন করলেই মা মুখটা ভারি করে বসে থাকতেন। মাও কি তবে স্মৃতি হাতড়াতেন?


ছেলেমেয়েদের এসব কথা বলি কিংবা বলি না। ওরা আমার গল্প থেকে আমার মায়ের চেহারা আঁকতে চাই। ছেলেমেয়েরা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে থাকে।

‘দাদির নাকটা কি তোমার মতো ছিল?’ মেয়ে জানতে চায়।

‘তোমার গায়ের রঙটা তোমার মায়ের মতো না তোমার বাবার মতো?’ ছেলে জিজ্ঞাসা করে। ও কখনো আমার বাবা-মাকে দাদা-দাদি বলে সম্বোধন করে না।

‘তোমার বাবার চোখদুটো হুবহু আমার শাশুড়ির মতো।’ শিলু উত্তর দেয়। আমার চেহারার ভেতর দিয়ে ওরা এখন আমার মায়ের চেহারা ধরার চেষ্টা করে।


গ.
এখন আমি বুকপকেটে প্রায়ই অদৃশ্য এক আয়নার উপস্থিতি অনুভব করি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ মে ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়