ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তীত

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৯, ৭ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তীত

বিশেষ প্রতিবেদক : করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তীত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় তিনি করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তীত রাখার প্রস্তাব করেন।

তিনি বলেন, এ বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারিত আছে। মহিলা করদাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণির করদাতাদের জন্য এ সীমা কিছুটা বেশি ছিল। করমুক্ত আয়ের সীমা কি হবে তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। আমরা পর্যালোচনা করে দেখেছি যে, উন্নত দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণভাবে মাথাপিছু আয়ের ২৫ শতাংশের নীচে থাকে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে করমুক্ত আয়সীমা সাধারণত মাথাপিছু আয়ের সমান বা তার কম থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে করমুক্ত আয়ের সীমা মাথাপিছু আয়ের দ্বিগুণের মতো। অর্থাৎ আমাদের করমুক্ত আয়ের সীমা বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের তুলনায় অনেক বেশি।

তিনি বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বেশি হলে কর প্রদানে সক্ষম বিপুলসংখ্যক ব্যক্তি করজালের বাইরে থেকে যান। এতে করের ভিত্তি দুর্বল থাকে। সার্বিক বিবেচনায় আমি আগামি বছরে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা ও করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করছি। তবে কোন ব্যক্তি-করদাতার প্রতিবন্ধী সন্তান বা পোষ্য থাকলে এরূপ প্রতি সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা হবে।

আগামী অর্থবছরের করমুক্ত আয়ের সীমা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সাধারন করদাতাদের ক্ষেত্রে বর্তমানে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদুর্ধ্ব বয়সের করদাতার জন্য ৩ লাখ টাকা এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে করহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া সাধারন করহারের মধ্যে প্রথম ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মোট আয় করমুক্ত থাকবে। পরবর্তী ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৬ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২০ শতাংশ, পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের উপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ রয়েছে যা আগামী অর্থবছরেও অপরিবর্তীত রাখা হয়েছে।

এছাড়া বিশেষ করহারের মধ্যে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সব প্রকার তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ৪৫ শতাংশ কর প্রস্তাব করা রয়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশে অনিবাসী (অনিবাসী বাংলাদেশী ব্যতীত) এরকম ব্যক্তি শ্রেণিভুক্ত করদাতার অর্জিত আয়ের উপর ৩০ শতাংশ এবং নিবন্ধিত সমবায় সমিতির অর্জিত আয়ের উপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ অপরিবর্তীত রাখা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এবং সিটি কর্পোরেশনের বাইরের অন্যান্য এলাকার কোম্পানি করদাতা ব্যতীত অন্য করদাতাদেরকে যথাক্রমে ৫ হাজার, ৪ হাজার ও ৩ হাজার টাকা নূন্যতম কর পরিশোধ করতে হয়। অঞ্চলভিত্তিক ন্যূনতম করের এ হার বহাল রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ জুন ২০১৮/হাসনাত/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়