ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

রবীন্দ্রনাথের ‘ছেলেভুলানো ছড়া’

মাহফুজা হিলালী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪৭, ৭ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রবীন্দ্রনাথের ‘ছেলেভুলানো ছড়া’

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৮৬১-১৯৪১) বাংলাদেশ তথা ভারতবর্ষের প্রথম ছড়া সংগ্রাহক। ছড়া সংগ্রহ করে তিনি এর উপর একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। ছড়াগুলো প্রধানত মেয়েদের মধ্যে প্রচলিত ছিল। তাই রবীন্দ্রনাথ প্রথমে ছড়াগুলোর নাম দেন ‘মেয়েলি ছড়া’; এ নামেই তাঁর প্রবন্ধ লেখেন। পরে ছড়াগুলোর নামকরণ করেন ‘ছেলেভুলানো ছড়া’। ছড়াগুলো তাঁর সাহিত্যজীবনের উপরও প্রভাব ফেলেছিল। মানসী, সোনার তরী, চিত্রা, গল্পগুচ্ছ এবং বিসর্জন ঠিকভাবে বুঝতে গেলে মনে রাখতে হবে লোকসাহিত্যের রস। অর্থাৎ জমিদারী জনপদে আসবার পর তাঁর প্রথম পাঠ এই লোকজীবন। তিনি এ সময় উপলব্ধি করেন বাংলাদেশের আটপৌড়ে মানুষের মধ্যে যে অনাড়ম্বর সাহিত্য প্রচলিত আছে, তা আমাদের জাতীয় সম্পদ। এবং এগুলো তাঁর জীবনে প্রভাব ফেলে। এগুলো তিনি ছড়িয়ে দিতে চান ভদ্র-শিক্ষিত মহলে। এবং ১৮৯৪ সালের ১ অক্টোবর চৈতন্য লাইব্রেরিতে ‘ছেলেভুলানো ছড়া’ পাঠ করে লোকসাহিত্য বিষয়ে শিক্ষিতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

তিনি জমিদারী দেখভাল করতে বাংলাদেশে আসেন ১৮৮৯ সালে। প্রথমে শিলাইদহ, তারপর ১৯৯০ সালে শাহজাদপুরে, তারপর পতিসরে। এ সময় লোকজীবনের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ হয়। এর আগে অবশ্য তিনি বাউল গানের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিলেন। এবং ১৮৮৩ সালে ‘বাউলের গান’ নামে একটি প্রবন্ধও লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথই বাংলা লোকসাহিত্য সংগ্রহ ও বিচার- এ দুটো ধারার প্রবর্তন করেন। গবেষক গোলাম মুরশিদ লিখেছেন: ‘স্থায়ীভাবে পূর্ববঙ্গে বাস করতে আরম্ভ করার সময় থেকে রবীন্দ্রনাথের সামনে সম্পূর্ণ নতুন একটি জগৎ উন্মোচিত হয়। তার নরনারী, তাদের জীবনযাত্রা, তার নিসর্গ, সমাজ এবং অর্থনীতি সবই ছিলো কবির অপরিচিত। কিন্তু পূর্ববঙ্গ কেবল তাঁর অভিজ্ঞতাকে প্রসারিত করেনি, তাঁর মনকে মুক্তি দিয়েছিলো ক্ষুদ্র সীমানার বন্ধন থেকে।’ বলতে পারি এ জন্যই তিনি ‘বাউল মন’ পেয়েছিলেন। এ জন্যই সৃষ্টি হয়েছিল অপর্ণার। আর ‘মেয়েলি ছড়া’ও।

‘মেয়েলি ছড়া’ প্রবন্ধটি লিখেছিলেন শাহজাদপুর বসে। শাহজাদপুরের লোকজীবন তাঁকে অনেকভাবে প্রভাবিত করেছিল। বিশেষ করে কাছারি বাড়ির জানলা দিয়ে দেখা বেঁদে পরিবার বাঙালি নারী সম্পর্কে তাঁর বোধে নতুন সংযোজন। বহু ছোটগল্পের চরিত্রও এই স্থানের অধিবাসী। লোকজীবনের বিশাল ভাণ্ডার দেখে তিনি বিস্মিত হয়েছিলেন। তাই হাত দিয়েছিলেন ছড়া সংগ্রহে। রবীন্দ্রনাথ নিজে বলেছেন ৬১ থেকে ৬৪ নম্বর ছড়াগুলো বিক্রমপুর থেকে সংগৃহীত। রবীন্দ্র জীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধায় এবং আশুতোষ ভট্টাচার্য বলেছেন অন্য ছড়াগুলো কলকাতার চতুষ্পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে সংগৃহীত। (২৫ পৃ.) তবে ‘ছেলেভুলানো ছড়া’র কয়েকটিতে শাহজাদপুরের প্রচলিত শব্দ এবং গ্রামের নাম পাওয়া যায়। তাতে মনে হয় কিছু ছড়া এখান থেকেও সংগৃহীত হয়েছে। ছড়াগুলো যেখান থেকেই সংগ্রহ করা হোক না কেন এগুলো বঙ্গভূমের শেকরের কথা। এবং তা মূলত বাংলার অশিক্ষিত মেয়েমহলে প্রচলিত ছিল। অশিক্ষিত বা স্বশিক্ষিত মেয়েরাই এর রচয়িতা।

প্রশ্ন হলো রবীন্দ্রনাথের মতো একজন মানুষ কেন লোকছড়া সংগ্রহ করলেন, কী আছে এই ছড়াগুলোতে, এই সাহিত্যধারা প্রবর্তনে তাঁর চরিত্রের কোন দিক প্রকাশিত হয়েছে ইত্যাদি। এ সব প্রশ্নের প্রবেশক হিসেবে বলা প্রয়োজন রবীন্দ্রনাথ মানসিক প্রশান্তির পক্ষে। যে মানবিক আনন্দে তিনি প্রশান্তি অনুভব করেন, তাই তাঁর কাছে আদরণীয়। তিনি নিজে বলেছেন, ‘আমাদের ভাষা এবং সমাজের ইতিহাস-নির্ণয়ের পক্ষে সেই ছড়াগুলির বিশেষ মূল্য থাকিতে পারে, কিন্তু তাহাদের মধ্যে যে-একটি সহজ স্বাভাবিক কাব্যরস আছে সেইটিই আমার নিকট অধিকতর আদরণীয় বোধ হইয়াছিল।’ (রর-৩য় খ.,৭৪৯পৃ.) সহজ-স্বাভাবিকের জন্য সেই প্রাচীন কাল থেকে এ ছড়াগুলো প্রবাহিত হয়ে আসছে। ছেলেভুলানো ছড়া : ১-এ ছড়াগুলো সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের উচ্ছ্বাস প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধের উপসংহারে তিনি লিখেছেন: ‘আমি ছড়াকে মেঘের সহিত তুলনা করিয়াছি। উভয়েই পরিবর্তনশীল, বিবিধ বর্ণে রঞ্জিত, বায়ু স্রোতে যদৃচ্ছাভাসমান। দেখিয়া মনে হয় নিরর্থক। ছড়াও কলাবিচার-শাস্ত্রের বাহির, মেঘ-বিজ্ঞানও শাস্ত্র নিয়মের মধ্যে ভালো করিয়া ধরা দেয় নাই। অথচ জড়জগতে এবং মানবজগতে এই দুই উচ্ছৃঙ্খল অদ্ভুত পদার্থ চিরকাল মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করিয়া আসিতেছে। মেঘ বারিধারায় নামিয়া আসিয়া শিশু-শস্যকে প্রাণদান করিতেছে এবং ছড়াগুলিও স্নেহরসে বিগলিত হইয়া কল্পনাবৃষ্টিতে শিশু-হৃদয়কে উর্বর করিয়া তুলিতেছে।’ (রর-৩য় খ.,৭৬৯পৃ.)

তাঁর মতে ছড়ার দেশে সম্ভব-অসম্ভবের মধ্যে সীমানাঘটিত কোনো বিবাদ নাই। এগুলো নিজস্ব গতিতে প্রবাহিত হয়ে আসছে। এতে না আছে তত্ত্বকথা বা নীতিপ্রচার বা প্রাণপণ প্রযত্ন। অর্থাৎ নিয়মের নানা রকম ছন্দ-অলঙ্কারের নিরলস পরিশ্রমে  ছড়াগুলো রচিত হয়নি। এগুলো মানব মনের বিশেষ করে মেয়েদের মনের অনায়াস অথচ নান্দনিক প্রকাশ। বাংলা কাব্যসাহিত্যের আদি নিদর্শন তো এই ছড়াগুলোই, যা পরিবর্তীত হতে হতে বিবর্তিত হতে হতে আজ পুরাতন হয়েও নতুন। রবীন্দ্রনাথ একে শিশুর সঙ্গে তুলনা করেছেন। শিশু যেমন চিরপুরাতন, কিন্তু চির নতুন- মেয়েলি ছড়াগুলোও তাই। এদের মনের গতিও শিশুর মতোই- ‘সুসংলগ্ন কার্যকারণসূত্র ধরিয়া জিনিসকে প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করা তাহার পক্ষে দুঃসাধ্য।’ (রর-৩য় খ.,৭২৫ পৃ.) তিনি ‘যমুনাবতী সরস্বতী...’ , ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর...’, ‘এ পার গঙ্গা, ও পার গঙ্গা...’ ইত্যাদি ছড়াগুলো বিশ্লেষণ করে এর মধ্যকার সহজ-নিরাভরণ দিক তুলে ধরেছেন। এবং বলেছেন, ‘অনেক প্রাচীন ইতিহাস প্রাচীন স্মৃতির চূর্ণ অংশ এই-সকল ছড়ার মধ্যে বিক্ষিপ্ত হইয়া আছে, কোনো পুরাতত্ত্ববিৎ আর তাহাদিগকে জোড়া দিয়া এক করিতে পারেন না, কিন্তু আমাদের কল্পনা এই ভগ্নাবশেষগুলির মধ্যে সেই বিস্মৃত প্রাচীন জগতের একটি সুদূর অথচ নিকট পরিচয় লাভ করিতে চেষ্টা করে।’ (রর-৩য় খ.,৭৫৪ পৃ.) ৩৬টি ছড়া বিশ্লেষণ করে তিনি দেখিয়েছেন- এগুলোর প্রত্যেকটির ভেতরেই অনেকগুলো করে ছবি আছে। একটি বিষয়ে স্থির হননি ছড়াকার। এটা আধুনিক ছড়ার পক্ষে বেমানান, তবে ছেলেভুলানো ছড়ার পক্ষে স্বাভাবিক। এই স্বাভাবিকতা শিশুমনের জানবার আকাঙ্ক্ষা এবং শোনার আগ্রহ তৈরি করে। এই দিকটাই রবীন্দ্রনাথের বেশি আগ্রহের দিক। শিশুরা যেমন কথার খেই হারিয়ে ফেলে, এই ছড়াগুলোতেও কথা, ভাব, ছন্দের ধারাবাহিকতা রক্ষা হয়নি। আছে টুকরো টুকরো ছবি। যা শিশু মনকে শান্ত-উৎফুল্ল করে। ‘হাটের ঘুম, ঘাটের ঘুম’ ছড়া সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন- ঘুম এখানে স্বতন্ত্র এবং জীবন্ত মানবসত্তার মতো। যে রকম গ্রীক কবিগণ এবং মাইকেল মধুসূদন দত্ত ঘুমকে স্বতন্ত্র মানবীরূপে কল্পনা করেছিলেন সেই রকম। তবে এ কথা ঠিক যে গ্রামীণ যে মেয়েরা এই ছড়া মুখে মুখে রচনা করেছেন তারা মধুসূদন তো পড়েনইনি, গ্রীক সাহিত্যের নামও শোনেননি। এতে আমরা খুব ক্ষীণ কণ্ঠে হলেও বলতে পারি কবিদের দার্শনিক বোধ একই থাকে। তাই অনেকের মধ্যে তাঁরা স্বতন্ত্র। এই ছড়াগুলো হারিয়ে যাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের কালেই। তাই তিনি এগুলোকে সংরক্ষণ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। কারণ ইংরেজ শিক্ষার ফলে মানুষ দেশীয় ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে অনেকটা অবজ্ঞার চোখে দেখছিলেন। তাই এগুলো বাঁচানোকে তিনি নৈতিক দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছিলেন।

ছেলেভুলানো ছড়া : ২-এ ছড়াগুলোর সংকলন রয়েছে। মোট ৮১টি ছড়া। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন: ‘এই গ্রাম্য ছড়ার মধ্যে যে এত সৌন্দর্য থাকিতে পারে তাহা রবীন্দ্রনাথের ন্যায় ঐন্দ্রজালিকের পক্ষেই দেখানো সম্ভব।’  চিত্র নির্মাণে, শব্দের জাদুতে, ছন্দে এরা সৌন্দর্যের দাবীদার। শুধু সৌন্দর্য নয়, বাস্তববোধও ছড়াগুলোর প্রাণ।  ২ নং ছড়া এ রকম-

                                কে মেরেছে, কে ধরেছে সোনার গতরে।
                                 আধ কাঠা চাল দেব গালের ভিতরে।।

এ ছড়াটি পড়তে ভালো লাগে। মনের ভেতরে দোলা দেয়। আবার এর কথা দেখলে বোঝা যায় মান ভাঙানো হচ্ছে তাকে আকাশের চাঁদ দিয়ে খুশি করতে চাওয়া হয়নি, ‘আধ কাঠা চাল’ গালের ভেতরে দিতে চাওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কবি এখানে কোনো কাব্যিকভাবে মান ভাঙাননি। ‘চালের’ কথা বলেছেন! স্বনামধন্য কবিসাহিত্যিকরা একে ত্রুটি মনে করবেন সন্দেহ নেই, কিন্তু এখানে অসামঞ্জস্য মনে হচ্ছে না। এই সরল-স্বাভাবিক পদকেই রবীন্দ্রনাথ ভালোবেসেছিলেন। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করতে চাই- ছিন্নপত্রে এক জায়গায় বলেছিলেন, ঝড়-বৃষ্টিতে মধ্যযুগের কবিরা রাধাকে অভিসারে পাঠিয়েছেন, কিন্তু পাছে ভিজে যাবেন বলে ছাতা নেননি রাধা। এ অসামঞ্জস্যকে তিনি ব্যঙ্গ করেছেন। সুতরাং ক্ষুধিত সাধারণ মানুষ আকাশের চাঁদ-তারার চেয়ে ‘আধ কাঠা চাল’ বেশি পছন্দ করবেন এটাই স্বাভাবিক। এই ছড়ায় আমরা তৎকালীন গ্রামবাংলার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাও বুঝতে পারি। প্রথম ছড়ায় রয়েছে-

                                মাসি পিসি বনগাঁবাসী, বনের ধারে ঘর।
                                কখনো মাসি বলেন না যে খই-মোয়াটা ধর।।
                                কিসের মাসি, কিসের পিসি, কিসের বৃন্দাবন।
                                এত দিনে জানিলাম মা বড়ো ধন।।

এখানেও কঠোর বাস্তববোধ প্রকাশিত হয়েছে। মাসি পিসিরা খাওয়ার জিনিস অর্থাৎ খই বা মোয়া কিছুই দেন না। এই অভিজ্ঞতার পরে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে ‘মা’ই সবচেয়ে আপন। এখানে এ-ও বোঝা যায় সুজলা-সুফলা বাংলায় সাধারণ মানুষের গোলা ভরা ধান ছিল না। তাই মেয়েদের ছড়ায় বারবার খাদ্যদ্রব্যের কথা এসেছে। তাই বলে দারিদ্র্যের কষাঘাতে তাদের সৃষ্টিশীলতা হারিয়ে যায়নি। তাই একান্ত ব্যক্তিকথা নিয়ে তাঁরা ছড়া গড়েছিলেন। সংকলনের ৮১টি ছড়াই বিশ্লেষণ করা জরুরি। এবং এখান থেকে সংসার-সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থার তৎকালীন অবস্থা উঠে আসবে। কিন্তু বর্তমান প্রবন্ধের পরিসর কম তাই বিশ্লেষণ করা সম্ভব হলো না। তবে রবীন্দ্রমানসে লোকসংস্কৃতির অবস্থান কিছুটা হলেও তুলে ধরা গেলো।

লোকসংস্কৃতি সম্পর্কে রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য রয়েছে ‘ঠাকুরমার ঝুলি’র ভূমিকায়। তিনি লিখেছেন: ‘মাতৃদুগ্ধ একেবারে ছাড়াইয়া লইয়া কেবলি ছোলার ছাতু খাওয়াইয়া মানুষ করিলে ছেলে কি বাঁচে!’ বাংলা এবং বাঙালির জন্য লোকসংস্কৃতি মাতৃদুগ্ধের মতো। রবীন্দ্রনাথ শিক্ষিত বাঙালি এবং গ্রামের অশিক্ষিত বাঙালির মধ্যে এক ধরনের বিভেদ দেখতে পান। বাঙালির এই বিভেদ সমগ্র বাঙালির জন্য অকল্যাণকর বলে মনে করেন। এই অকল্যাণ ঠেকাতেই তাঁর প্রচেষ্টা। সেই প্রচেষ্ঠার ফসল ছেলেভুলানো ছড়া সংগ্রহ। এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই ছড়া-লোককাহিনী-লোক গান সংগ্রহ করেছেন, সংকলন করেছেন। তবে সাহিত্যের অনেক ধারার মতো এ ক্ষেত্রেও পথ প্রদর্শক রবীন্দ্রনাথ।

রবীন্দ্রনাথের ‘ছেলেভুলানো ছড়া : ১’ এবং ‘ছেলেভুলানো ছড়া: ২’ একদিকে সাহিত্যের অঙ্গ, অন্যদিকে বাঙালির নিজস্ব সম্পদ জনসম্মুখে আনা। এই ছড়াগুলোর মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও সৃষ্টিশীল এবং ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার আগেই এ জনপদ সমৃদ্ধশীল ছিল।       

সহায়ক বই

গোলাম মুরশিদ, রবীন্দ্রমানস ও সৃষ্টিকর্মে পূর্ববঙ্গ, ২০১৫ (পরিমার্জত সংস্করণ), অবসর, ঢাকা
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়, রবীন্দ্রজীবনী ও রবীন্দ্রসাহিত্য-প্রবেশক, ১৪১৭ বিশ্বভারতী, কলকাতা
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্র রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড, ১৪১০, বিশ্বভারতী, কলকাতা
শ্রীআশুতোষ ভট্রাচার্য, রবীন্দ্রনাথ ও লোকসাহিত্য, ২০০২, এ, মুখার্জী অ্যান্ড কোং প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা
শ্রীদক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদার, ঠাকুর মার ঝুলি (সম্পাদক-অরুণ দাস) ১৯৯১ , আশীর্বাদ প্রকাশনী, ঢাকা


লেখক : গবেষক এবং নাট্যকার, সহকারী অধ্যাপক, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৭ মে ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়