ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভূ‌মি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত পরিপত্র জারি

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ২১ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভূ‌মি অধিগ্রহণ সম্পর্কিত পরিপত্র জারি

জ্যেষ্ঠ প্র‌তি‌বেদক : ভূমি মন্ত্রণালয় ‘স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭’ এর ৪ ধারায় নোটিশ জারির পর জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চাওয়া ব্যতীত অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোনো প্রকার মামলা-মোকদ্দমা দায়ের না করতে পরিপত্র জারি করেছে।

প‌রিপত্র জা‌রির কার‌ণে এখন থে‌কে ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আইনের ৪ ধারা (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) এবং ৮ ধারায় (পূর্বের আইনের ৭ ধারা) নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগের সুযোগ নেই। অর্থাৎ মামলা করা যা‌বে না। প‌রিপ‌ত্রে আইনের ৪৭ ধারা যথাযথভা‌বে মে‌নে নেওয়ার জন্য সকলের প্র‌তি অনুরোধ করা হ‌য়ে‌ছে।

মঙ্গলবার ভূমি মন্ত্রণাল‌য়ের তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তি‌নি ব‌লেন, হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর ৪ ধারায় নোটিশ জারির পর আ‌গে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার চাই‌তে হ‌বে। প্র‌তিকার চাওয়া ছাড়া অধিগ্রহণ সম্পর্কিত ভূমি নিয়ে কোনো প্রকার মামলা দায়ের করা যা‌বে না। এ সংক্রান্ত মন্ত্রণাল‌য়ের প‌রিপত্র জা‌রি করার ব্যাপা‌রে মাননীয় মন্ত্রীর প্র‌তিশ্রু‌তি ছিল। জনভোগান্তি কমাতে তি‌নি প‌রিপত্র জা‌রি ক‌রে এ বিষ‌য়ে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ গ্রহণ ক‌রে‌ন এবং প্র‌তিশ্রু‌তি পূরণ করেন।

প‌রিপ‌ত্রে বলা হ‌য়ে‌ছে, সরকার সারা দেশে অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমি অধিগ্রহণ একটি অপরিহার্য বিষয়। ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রম নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা না গেলে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত হয়, সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয় এবং বহুমুখী জটিলতার সৃষ্টি হয়।

কিন্তু, অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে আইনের ৪ ধারায় (পূর্বের আইনের ৩ ধারা) নোটিশ জারির পর কোনো কোনো জেলায় অধিগ্রহণ প্রস্তাবাধীন ভূমি নিয়ে আইনের বিধান অনুসারে জেলা প্রশাসকের নিকট প্রতিকার না চেয়ে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এমনকি একই আইনের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৮ ধারায় (পূর্বের স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুমদখল অধ্যাদেশ, ১৯৮২-এর ৭ ধারা) নোটিশ জারির পর মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে মাঠপর্যায়ে কোনো কোনো অসাধু চক্রের যোগসাজশে অন্য একজনকে দাঁড় করিয়ে টাইটেল মোকদ্দমা দায়ের করা হচ্ছে।

এ‌তে আ‌রে বলা হয়, এসব উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা-মোকদ্দমার কারণে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জমির প্রকৃত মালিকগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ও দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন, সর্বোপরি জনস্বার্থ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৪২(২) অনুচ্ছেদে ক্ষতিপূরণসহ বাধ্যতামূলকভাবে স্থাবর সম্পত্তি গ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো আদালতে কোনো প্রশ্ন উত্থাপন বা মামলা না করার বিষয়ে বলা হয়েছে। স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন, ২০১৭ এর ৪৭ ধারায় অধিগ্রহণ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে মামলা-মোকদ্দমা না করার বিষয়ে বিধি-নিষেধ রয়েছে।



‌রাইজিংবিডি/ঢাকা/২১ মে ২০১৯/নঈমুদ্দীন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়