ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

প্রতিবাদী রবীন্দ্রনাথ

হাবিবুর রহমান স্বপন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:০৭, ১৯ অক্টোবর ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
প্রতিবাদী রবীন্দ্রনাথ

অলংকরণ : সংগৃহীত

হাবিবুর রহমান স্বপন : এই উপমহাদেশে ইংরেজরা জেঁকে বসে শাসন করে ১৯০ বছর। দেশপ্রেমিক দেশবাসীর বহু লড়াই, সংগ্রাম, ত্যাগের বিনিময়ে ইংরেজরা অবশেষে ভারত ছাড়তে বাধ্য হয়। ভারতের স্বাধীনতার জন্য বহু মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছে। সূর্য সেন, প্রীতিলতা, ক্ষুদিরাম, বিনয়, বাদল, দিনেশ-এর মতো হাজার, অযুত যুবক বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। জেল-জুলুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন অগণিত কৃষক-প্রজা। সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ভারতবাসীর প্রতিরোধ আন্দোলন যত জোরদার হয়েছে ততই অত্যাচার নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে। এ এক রক্তক্ষয়ী সুদীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস। এর মধ্যে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন, প্রজা বিদ্রোহ, নীল বিদ্রোহ, পলো বিদ্রোহ, চট্টগ্রামের অস্ত্রাগার লুন্ঠন, সিপাহী বিদ্রোহ, বুড়িবালাম, লবণ আইন আন্দোলন, সাম্প্রদায়িক বাটোয়ারা বিরোধী আন্দোলন, বক্সারের জেলে গুলি, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড উল্লেখযোগ্য।


পাঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৩ এপ্রিল। এই হত্যাকাণ্ডের মূল নায়ক ছিল ইংরেজ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডায়ার। তিনি তখন পাঞ্জাবের সামরিক শাসক। হিন্দু, মুসলমান ও শিখরা সম্মিলিতভাবে ইংরেজবিরোধী আন্দোলন শুরু করে। এক পর্যায়ে আন্দোলন থামাতে পাঞ্জাবে সামরিক শাসন জারি করে ব্রিটিশ শাসক। সামরিক আইনের প্রজ্ঞাপনে চার জনের অধিক লোক একত্রে সমাগম নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এই আদেশ তেমন প্রচার করা হয়নি বা জনগণ অবহিত ছিল না। ফলে জালিয়ানওয়ালাবাগে সেদিন উপস্থিত হয়েছিল কয়েক হাজার মানুষ। এদের বেশিরভাগই এসেছিলেন শহরের বাইরে থেকে। যারা ওই সামরিক প্রজ্ঞাপন সম্পর্কে বিন্দুমাত্র অবহিত ছিলেন না।


প্রায় পাঁচ হাজার সংগ্রামী জনতা বিকাল পাঁচটায় জালিয়ানওয়ালাবাগে জনসভায় বক্তৃতা শুনছিলেন। এ সময় মঞ্চে অর্থাৎ উঁচু একটি বেদীর উপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন এক বক্তা। তখনই বিগ্রেডিয়ার ডায়ার বেশ কিছু সৈন্য নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন এবং বাগের প্রবেশদ্বারের দুদিকে সৈন্য মোতায়েন করেন। কোনো রকম উস্কানিমূলক বক্তৃতা অথবা জনতার আক্রমণ ছাড়াই পাঁচ হাজার লোকের সমাবেশে ডায়ার গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। বিরতি ছাড়া দশ মিনিটেরও বেশি সময় গুলি চালানো হয় নিরীহ, নিরস্ত্র জনতার উপর। উঁচু দেয়াল ঘেরা বাগ থেকে জনতা সেদিন প্রাণরক্ষার জন্য পথ খুঁজে পায়নি। ডায়ারের সৈন্যরা সেদিন কোনো রকম সতর্কতা ছাড়াই জনতার উপর ১৬৫০ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েছিল। এ ঘটনায় নিহত হয়েছিল প্রায় পাঁচশ দেশপ্রেমিক জনতা। এতো মানুষ হত্যার পরেও ডায়ার অনুশোচনা করেনি। ভুল বিবেচনার দায়ে (A grave error of judgement) দোষী সাব্যস্ত করে সভ্য(!) ইংরেজ সরকার তাকে তিরস্কার করেছিল মাত্র। ধিক্ এই সভ্যতাকে!


বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষ জালিয়ানওয়ালাবাগের এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শুনে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল। এই অমানবিক হত্যাকাণ্ডে রাশিয়ার তৎকালিন নেতা লেনিন এত বেশি বিচলিত হয়েছিলেন যে তিনি কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশনালের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতায় তার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। ভারতবর্ষের বাইরে যখন এভাবে এই ঘটনার জন্য প্রতিবাদ সংঘটিত হচ্ছিল তখন স্বাভাবিকভাবেই এ উপমহাদেশের মানুষ নীরব ছিলেন না। তারাও এই প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন। আর এই তালিকায় সবার ওপরে ছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম।


জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তীব্র ক্ষোভ ও দুঃখে বিচলিত হয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সে বছর ৩০ মে ইংরেজ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত নাইটহুড উপাধি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি ভারতের ভাইসরয়ের কাছে একটি চিঠি লেখেন (চিঠিটি ইংরেজিতে লেখা হয়েছিল। বাঙালি পাঠকের সুবিধার্থে রবীন্দ্রনাথ সেটি নিজেই বাংলায়  অনুবাদ করেন। লেখাটি ‘দৈনিক বসুমতি’ পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল)। তিনি লিখেছিলেন :


কয়েকটি স্থানীয় হাঙ্গামা শান্ত করিবার উপলক্ষে পাঞ্জাব গভর্নমেন্ট যে সকল উপায় অবলম্বন করিয়াছেন, তাহার প্রচণ্ডতায় আজ আমাদের মন কঠিন আঘাত পাইয়া ভারতীয় প্রজাবৃন্দের নিরুপায় অবস্থার কথা স্পষ্ট উপলব্ধি করিয়াছে। হতভাগ্য পাঞ্জাবিদিগের যে রাজদণ্ডে দণ্ডিত করা হইয়াছে, তাহার অপরিমিত কঠোরতা ও সেই দণ্ড প্রয়োগবিধির বিশেষত্ব, আমাদের মতো কয়েকটি আধুনিক ও পূর্বতন দৃষ্টান্ত বাদে সকল সভ্য শাসনতন্ত্রের ইতিহাসে তুলনাহীন। যে প্রজাদের প্রতি এইরূপ বিধান করা হইয়াছে, যখন চিন্তা করিয়া দেখা যায়, তাহারা কিরূপ নিরস্ত্র ও নিঃসম্বল এবং যাহারা এইরূপ বিধান করিয়াছেন, তাহাদের লোক-হনন ব্যবস্থা কিরূপ নিদারুণ, নৈপুণ্যশালী, তখন একথা আমাদের জোর করিয়াই বলিতে হইবে যে, এরূপ বিধান পোলিটিক্যাল প্রয়োজন বা ধর্মবিচারের দোহাই দিয়া নিজের সাফাই করিতে পারে না। পাঞ্জাবি নেতারা যে অপমান ও দুঃখ ভোগ করিয়াছেন, নিষেধরুদ্ধ কঠোর বাধা রদ করিয়াও তাহার বিষ ভারতবর্ষের দূর দূরান্তে ব্যাপ্ত হইয়াছে। তদুপলক্ষে সর্বত্র জনসাধারণের মনে যে বেদনাপূর্ণ ধিক্কার জন্ম হইল আমাদের কর্তৃপক্ষ তাহাকে উপেক্ষা করিয়াছে এবং সম্ভবত এই কল্পনা করিয়া তাহারা আত্মশ্লাঘা বোধ করিতেছেন যে, ইহাতে আমাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হইল।


এখানকার  ইংরেজচালিত অধিকাংশ সংবাদপত্র এই নির্মমতার প্রশংসা করিয়াছে এবং কোনও কোনও কাগজে পাশব নৈষ্ঠুর্যের সহিত আমাদের দুঃখ ভোগ লইয়া পরিহাস করা হইয়াছে, অথচ আমাদের যে সকল শাসনকর্তা পীড়িতপক্ষের সংবাদপত্রে ব্যথিতের আর্তধ্বনি বা শাসননীতির ঔচিত্য আলোচনা বলপূর্বক অবরুদ্ধ করিবার জন্য নিদারুণ তৎপরতা প্রকাশ করিয়াছেন, তাহারাই উক্ত ইংরেজচালিত সংবাদপত্রের কোন চাঞ্চল্যকে কিছুমাত্র নিবারণ করেন নাই। যখন জানিলাম যে, আমাদের সকল দরবার ব্যর্থ হইল, যখন দেখা গেল প্রতিহিংসা প্রবৃত্তিতে আমাদের গভর্নমেন্টের রাজধর্ম দৃষ্টি অন্ধ করিয়াছে, অথচ যখন নিশ্চয় জানি, নিজের প্রভূত বাহুবল ও চিরাগত ধর্ম-নিয়মের অনুযায়িক মহাদাশয়তা অবলম্বন করিতেই গভর্নমেন্টের পক্ষে কত সহজ কার্য ছিল, তখন স্বদেশের কল্যাণ কামনায় আমি এইটুক মাত্র করিবার সংকল্প করিয়াছি যে, আমাদের বহু কোটি যে ভারতীয় প্রজা অদ্য আকস্মিক আতংকে নির্বাক হইয়াছে, তাহাদের আপত্তিকে বাণী দান করিবার সমস্ত দায়িত্ব এই পত্রযোগে আমি নিজে গ্রহণ করিব।


অদ্যকার দিনে আমাদের ব্যক্তিগত সম্মানের পদবিগুলো চতুর্দিকবর্তী জাতিগত অবমাননার অসামঞ্জস্যের মধ্যে নিজের লজ্জাকেই স্পষ্টতর করিয়া প্রকাশ করিতেছে, অন্তত আমি নিজের সম্মন্ধে, আমি এই কথা বলিতে পারি যে আমার যে সকল স্বদেশবাসী তাহাদের অকিঞ্চিতকরতার লাঞ্ছনায় মানুষের অযোগ্য অসম্মান সহ্য করিবার অধিকারী বলিয়া গণ্য হয়, নিজের সমস্ত বিশেষ সম্মান চিহ্ন বর্জন করিয়া আমি তাহাদের পার্শ্বে নামিয়া দাঁড়াইতে ইচ্ছা করি। রাজাধিরাজ ভারতেশ্বর আমাকে নাইট উপাধি দিয়া সন্মানিত করিয়াছেন সেই উপাধি পূর্বতন যে রাজপ্রতিনিধির হস্ত হইতে গ্রহণ করিয়াছিলাম, তাহার উদার চিত্ততার প্রতি চিরদিন আমার পরম শ্রদ্ধা আছে। উপরে বিবৃত কারণবশত বড় দুঃখেই আমি যথোচিত বিনয়ের সহিত শ্রীল শ্রীযুক্তের নিকট অদ্য এই উপরোধ উপস্থাপিত করিতে বাধ্য হইতেছি যে, সেই ‘নাইট’ পদটি হইতে আমাকে নিস্কৃতিদান করিবার ব্যবস্থা করা হয়।’


রবীন্দ্রনাথের এই নাইট পদবী পরিত্যাগের ঘটনা সে সময় বিশ্বের প্রধান সংবাদপত্রগুলোতে গুরুত্ব সহকারে প্রচার পায়। এছাড়াও স্বাধীনতাকামী ভারতবাসীকে এ ঘটনা উৎসাহিত করে।
জালিয়ানওয়ালাবাগ-এর নিষ্ঠুর হত্যাযজ্ঞের  ছয় মাস পর ব্রিটিশ সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছিল। এই কমিটির নাম ছিল The Disorder Inquiry Committee.  কমিটির প্রধান ছিলেন বিচারপতি লর্ড হান্টার। অন্য সদস্যরা ছিলেন, মেজর জেনারেল রাইস, টমাস স্মিথ, স্যার চিমনলাল শেতলবাদ, সুলতান আহমেদ ও পণ্ডিত জগৎ নারায়ণ। এই কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ২০ মে। কমিটির সামনে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডায়ার সাক্ষ্য দিয়েছিলেন, ১৯১৯ খ্রিস্টাব্দের ১৯ নভেম্বর। সাক্ষ্য প্রদানকালে ডায়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, যদি সেখানে মেশিন গান বহনকারি সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে যেতে পারতাম তাহলে মেশিনগানের গুলি চালাতে সৈন্যদের আদেশ দিতাম।
তদন্ত কমিটি তাকে প্রশ্ন করেছিল, আপনি কি আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন? উত্তরে ডায়ার বলেছিলেন, না। সেটা আমার কাজ নয়। তার এই উত্তর ছিল ইংরেজিতে এবং আচরণে ছিল সাহেবিয়ানার ঔদ্ধত্য।


পাঠকের মনে প্রশ্নের উদ্রেক হতে পারে দীর্ঘ দেড় মাস পর রবীন্দ্রনাথ কেন নাইটহুড ফিরিয়ে দিলেন? তা হলে কি তার দেশপ্রেমে কমতি ছিল? এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ড যখন ঘটে তখন পাঞ্জাবে সামরিক শাসন জারি ছিল। সেখানকার ছোট বড় সকল নেতা কারারুদ্ধ। বেশিরভাগ সংবাদপত্র বন্ধ ছিল। যেগুলো চালু ছিল সেগুলোতেও কঠিন সেন্সরশিপ ছিল। ফলে লোকমুখে শুনে এবং পুরোপুরি বিষয়টি কলকাতা পর্যন্ত পৌঁছুতেই অনেক সময় লেগে যায়। এ সময় কলকাতায় একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়। পরে অবশ্য সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। ধারণা করা হয়েছিল জনসভাতেও ইংরেজরা জালিয়ানওয়ালাবাগের ন্যায় হত্যাযজ্ঞ চালাতে পারে।


যাই হোক, এ কথা ভুলে গেলে চলবে না যে, সমগ্র দেশ যখন নীরব, তখন নাইটহুড ফিরিয়ে দেয়াই ছিল ইংরেজদের বিরুদ্ধে প্রথম এবং জোরালো প্রতিবাদ। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, মহাত্মা গান্ধী তার ‘কাইজার-ই-হিন্দ’ স্বর্ণপদক এবং বুয়র যুদ্ধের মেডেল ফেরত দিয়েছিলেন ১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১ আগস্ট। অর্থাৎ জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের এক বছর পর। বলাবাহুল্য এতে মহাত্মা গান্ধীর দেশপ্রেম নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি। সেটা উচিতও নয়। নাইটহুড ফিরিয়ে দেয়ার এ ঘটনা ভারতবাসীকে কতটা উজ্জীবিত করেছিল তা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা একটি চিঠিতে বোঝা যায়। তিনি  অমল হোমকে লিখেছিলেন :  ‘দেশের বেদনার মধ্যে আমরা যেন নতুন করে পেলাম রবি বাবুকে। এবার একা তিনিই আমাদের মুখ রেখেছেন।’


জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সময় পাঞ্জাবের গভর্ণর ছিলেন স্যার মাইকেল ওডায়ার। সামরিক প্রধান ছিলেন বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ডায়ার। এই দুজনই ছিলেন ঐ নারকীয় ঘটনার নায়ক। ১৯৪০-এর ১৩ মার্চ লন্ডনের ককস্টন হলে অনুষ্ঠিত এক সভায় পাঞ্জাবি যুবক উধাম সিং স্যার মাইকেল ওডায়ারকে গুলি করে হত্যা করেন। উধাম সিং জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিয়েছিলেন একুশ বছর পর। যদিও ব্রিটিশ সরকার তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। কিন্তু পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষ উধাম সিংয়ের এই আত্মদান নিতান্তই নিরর্থক এবং মূল্যহীন মনে করে না, করবে না কখনও।


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ অক্টোবর ২০১৪/তাপস রায়

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়