বৈশাখের ঢেউ অনলাইনেও
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ। নতুন বছরের প্রথম দিনটিকে উদযাপন করতে কোনো আয়োজনের কমতি থাকে না। এ দিনের বিশেষ অনুসঙ্গ বৈশাখী পোশাক। সাধারণত বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে মিল রেখে এ দিন সব বয়সি মানুষ পোশাক পরেন। ছেলেরা পাঞ্জাবি, পাজামা, ধুতি আর মেয়েরা পরেন শাড়ি, সালোয়ার কামিজ। এ জন্য বৈশাখের আগের রাত পর্যন্ত পোশাকের দোকানগুলোতে চলে কেনাকাটা। তবে সম্প্রতি বছরগুলোতে এ কেনাকাটায় অমূল পরিবর্তন এসেছে। এখন অনেকই বৈশাখের পোশাক অনলাইনে কেনাকাটা করেন।
দামে সাশ্রয়, সময় বাঁচানো, অর্ডার অনুযায়ী সঠিক পণ্য পাওয়া এবং পণ্য ডেলিভারির সময় টাকা পেমেন্টের পদ্ধতি থাকায় অনেকে অনলাইনে কেনাকাটা করেন।
ফলে দারাজ ডডটকম ডটবিডি, আজকের ডিলসহ দেশে প্রতিষ্ঠিত কিছু অনলাইন শপিং সাইটের পাশাপাশি ক্ষুদ্র অনলাইন ব্যবসায়ীরা অনলাইনে তাদের পোশাকের পসরা সাজিয়েছেন।
বৈশাখ উপলক্ষে দারাজ, আজকের ডিলসহ বিভিন্ন শপিং সাইটগুলো বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে। এসব মেলায় খুব ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
এ ছাড়া ফেসবুক ভিত্তিক অনেকে গ্রুপ ও পেজ থেকে বৈশাখের কাপড় বিক্রি করেছেন। তারাও সন্তোষজনক বিক্রির কথা জানিয়েছেন।
অনলাইন থেকে নিয়মিত কাপড়সহ বিভিন্ন পণ্য কিনেন আবু কাউসার। তিনি বলেন, ‘ঘরে বসেই শপিং করা যায়। তাই ভিড় ঠেলে শপিং মলে বা দোকানে যাওয়ার দরকার পড়ে না। ঘরে বসে পছন্দের পণ্য অর্ডার করি। পণ্যে যা বর্ণণা দেওয়া থাকে তা হাতে পাই। আর অনলাইন শপিংয়ে পেমেন্ট সিস্টেম খুবই ভালো। ক্যাশ অন ডেলিভা্রিসহ কার্ড দিয়েও পেমেন্ট করা যায়। ফলে পেমেন্ট নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয়না।’
তিনি বলেন, ‘এবারের বৈশাখেও নিজের ও পরিবারের জন্য অনলাইন থেকে কাপড় কিনেছি। খুব সাশ্রয়ী ও উন্নতমানের সেগুলো।’
ফেসবুক ভিত্তিক অনলাইন শপ তুলি'স কালেকশনের স্বত্বাধিকারী তুলি তাসনিম বলেন, ‘এবারের বৈশাখে আমাদের ভালো সেল হয়েছে। আমরা প্রায় দুই বছর ধরে ব্যবসা করছি। আমাদের প্রধান কাজ হলো ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করা যে, অনলাইনে কেনাকাটা সাধারণ দোকানের মতো। এখানে প্রতারণার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, ‘সব সিজনেই আমাদের বিক্রি ভালো। বৈশাখেও ভালো বিক্রি হয়েছে। মূলত মানুষ এখন ভিড় ঠেলে দরদাম করে কাপড় কিনতে চায় না। হাতের নাগালে পেতে চায়। আর আমরা সেই সার্ভিসটাই দিচ্ছি।’
ফেসবুকভিত্তিক আরেকটি প্রতিষ্ঠান এনেক্স ক্লথিং এর ব্যবস্থাপক জুবায়ের আহমেদ বলেন, ‘মানুষের আস্থা তৈরি হচ্ছে এবং তারা অনলাইন থেকে কাপড়সহ নানা প্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন। এবারের বৈশাখে আমাদের ভালো সেল হয়েছে। উৎসবগুলোতে এরকম সেল আমরা প্রত্যাশা করতেই পারি। এ ছাড়া সারা বছর আমদের প্রতিষ্ঠান থেকে ভালো বিক্রি হয়।’
তিনি বলেন, ‘এবারের বৈশাখে কাস্টমারদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে দেশীয় ঐতিহ্যকে প্রধান্য দিয়ে আমরা পোশাক এনেছিলাম। সাধারণ মানুষের এটি পছন্দ হয়েছে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ এপ্রিল ২০১৯/নূর/ইভা
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন