ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মানসিক প্রশান্তির উপায়

আফরিনা ফেরদৌস || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৩০, ৯ মার্চ ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মানসিক প্রশান্তির উপায়

মডেল: সামুদ্রি, ছবি: অপূর্ব খন্দকার

আফরিনা ফেরদৌস : মানসিক প্রশান্তি বা মন ভালো রাখতে আমরা সবাই চাই। কিন্তু তার জন্য আমরা কী করি। শারীরিক ব্যাপারগুলোর সঙ্গে মানসিক ব্যাপারগুলো জড়িত।

 

আপনি শারীরিকভাবে যত ভালো থাকবেন আপনার মনও তত ভালো থাকবে। তবুও প্রতিদিনের কিছু ছোট ছোট কাজ আমাদের মনকে ভালো রাখতে সহায়তা করতে পারে। আসুন জেনে নিই সেগুলো কী কী।

 

* সকালে ঘুম থেকে উঠে যদি দেখেন আপনি জীবিত আছেন তাহলে ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানান।

 

* তিনটি জিনিস নিজের মাঝে ধারণ করুন- শক্তি, উদ্যাম, সহমমিতা।

 

* আপনি কতটা সুখে আছেন এই খোঁজ আপনি ছাড়া কেউ নিবে না। সুখ উপলব্ধি করা যায় এমন কাজ করুন।

 

* অন্য মানুষ কি ভাবছে আপনাকে নিয়ে তা ভুলে যান। অন্য মানুষের ভাবনা কখনোই আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে দেবে না।

 

* নিজেকে সব সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে করা ঠিক না।

 

* হিংসা করে সময় নষ্ট করবেন না। আপনার পরিশ্রম আপনার ভাগ্য বদলাতে সহায়তা করতে পারে। পরিশ্রম ব্যতিত হিংসা ভালো কিছু বহন করে না।

 

* নিয়মিত প্রার্থনা এনে দিতে পারে আপনার মানসিক শান্তি।

 

* চেষ্টা করুন ৬ বছর বয়সের নিচে এবং ৭০ বছর বয়সের ওপরের মানুষের সঙ্গে সময় ব্যয় করার। শিশুর কোমলতা এবং বয়োজোষ্ঠ্যের অভিজ্ঞতা আপনার জীবন পরিপূর্ণ করতে সহায়তা করবে।

 

* বেশি বেশি বই পড়ুন। চেষ্টা করুন গত মাসে যে পরিমাণ বই পড়েছিলেন এই মাসে তার থেকে বেশি বই পড়ার।

 

* মন খুলে হাসুন। প্রতিদিন অন্তত ৩ জন ব্যক্তিকে হাসানোর চেষ্টা করুন।

 

* পরচর্চা বা পরনিন্দা করবেন না। এটা শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের বিপর্যয় ঘটায়।

 

* অতীতের ভুল থেকে শিক্ষাগ্রহণ করুন। তবে সেই ভুলগুলোকে বার বার মনে করে নিজেকে কষ্ট দিবেন না।

 

* নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা এবং কর্মকাণ্ড বাদ দিন। এমন কোনো কাজ করা উচিত যা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

 

* মনে করুন জীবন একটি শিক্ষা প্রদান কেন্দ্র এবং আপনি শিক্ষা গ্রহণকারী। সমস্যা হচ্ছে পাঠ্যক্রমের একটি সাধারণ পাঠ। যার বাস্তব ব্যবহার অতি বিবর্ণ। কিন্তু এটি সারা জীবন ধরে থাকবে।

 

* পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন। তাদের সঙ্গে বেশি সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন।

 

* ঘৃণা করা বর্জন করুন। ঘৃণার পরিবতে ভালোবাসতে শিখুন।

 

* সব বিতর্কে আপনাকে জিততেই এমন কোনো কথা নেই। ভিন্ন যুক্তি মেনে নিতে শিখুন।

 

* যে কাজ এবং কথা দরকারি, সুন্দর ও আনন্দময় নয়, তা বর্জন করুন।

 

* আপনি যখন অসুস্থ হয়ে পড়বেন, আপনার কাজ আপনার সেবা করবে না বরং কাছের মানুষরা করবে যেমন পরিবার, বন্ধু। তাই কাছের মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখুন।

 

* ধৈর্য্য ধারণ করুন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু বদলায়। অনেক ভুলও শুধরে যায়। ধৈর্য্য নিয়ে সেগুলো মোকাবেলা করুন।

 

* ক্ষমা করতে শিখুন। রাগ, বিদ্বেষ ও প্রতিশোধের পরিবর্তে ক্ষমা করার গুণ আয়ত্ত করুন।

 

* নিজেকে অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না। আপনি হয়ত জানেন না আপনার থেকে খারাপ অবস্থা অন্য কারো থাকতে পারে।

 

* আপনার সীমা রেখা বজায় রাখুন।

 

* নিজেকে ভালোবাসুন। নিজের প্রতি যত্নবান হোন।

 

* প্রতিদিন ১০ মিনিট একাকী নিরবে সময় অতিবাহিত করুন।

 

 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মার্চ ২০১৬/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়