ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাগুরার বৃদ্ধ শিশুর অবস্থার আরো অবনতি

মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মাগুরার বৃদ্ধ শিশুর অবস্থার আরো অবনতি

মাগুরা প্রতিনিধি : বিরল রোগ প্রজেরিয়ায় আক্রান্ত ‘বৃদ্ধ শিশু’ বায়েজিদের শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। তার বয়স এখন ৫ বছর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা পরিবর্তন এসেছে। বাড়ছে অসুস্থতাও।

বায়েজিদের বাবা-মা অসুস্থতা বেড়ে যাওয়ায় আরো চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। আজ শনিবার সকালে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের খালিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে বায়েজিদের বাবা-মা সেই দুশ্চিন্তার কথা জানালেন।

জানা গেছে, প্রস্রাবের বাধাগ্রস্ততা বেড়ে গেছে তার। এ কারণে পেট ফুলে চরম ব্যথায় কাতরানোর সঙ্গে সঙ্গে কান্নাকাটি করছে পাঁচ বছরের এ বৃদ্ধশিশু। শুধু তাই নয়, প্রস্রাবের সমস্যার কারণে প্রচণ্ড জ্বরও হচ্ছে। এখন সে চলাফেরার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে।

দেখা গেছে, বায়েজিদের কান্না থামাতে নিরন্তর চেষ্টা করছেন বাড়ির সবাই। কিন্তু কিছুতেই তার কান্না থামানো যাচ্ছে না।

বায়েজিদের বাবা লাভলু শিকদার বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে প্রচ- জ্বরে ভুগছে বায়েজিদ। জ্বর ছাড়াও শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের শারীরিক অসুস্থতার কারণে সারা দিনই কান্নাকাটি করে সে। এর আগে সে হাঁটাচলা, খেলাধুলা করলেও জ্বরের কারণে নিয়মিতভাবে খাবারও খাচ্ছে না বায়েজিদ। খাবার না খাওয়ার কারণে শারীরিক দুর্বলতা দেখা দেওয়ায় এখন সে হাঁটতেও পারছে না।’

বাবা লাভলু বলেন, ‘ওষুধ খাওয়ার পর জ্বর কিছুটা কমলেও তার প্রস্রাবের সমস্যা দূর হচ্ছে না কিছুতেই। প্রস্রাবের জটিলতা দূর করতে অপারেশন প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মাগুরা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। কিন্তু এখানকার চিকিৎসকরা তার অপারেশন করতে রাজি হচ্ছে না।’

মাগুরা সদর হাসপাতালের সার্জারি কনসালট্যান্ট শফিউর রহমান বলেন, ‘নানাবিধ শারীরিক সমস্যার সঙ্গে বায়েজিদের পুরুষাঙ্গের চামড়া নিচের দিকে ঝুলে গিয়ে প্রস্রাবের রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এ ধরনের শারীরিক জটিলতাকে “প্রিরিপিউস” বলা হয়।’

তার মতে, এ জটিলতা নিরসনে অপারেশন প্রয়োজন। কিন্তু প্রজেরিয়া রোগে আক্রান্ত বায়েজিদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থাকায় তার ক্ষেত্রে এ অপারেশন ঝুঁকিপূর্ণ।

২০১২ সালের মে মাসে মাগুরার মাতৃসদন হাসপাতালে মা তৃপ্তি খাতুন বায়েজিদের জন্ম দেন।  জন্মের পর ধীরে ধীরে বায়েজিদের শরীরে বার্ধক্যের ছাপ আরো প্রকট হতে থাকে। জন্মের তিন মাসের মধ্যেই তার দাঁত ওঠে। জন্মের পর বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসকদের শরণাপন্ন হলেও স্বাভাবিক চেহারা ফিরে আসেনি তার।




রাইজিংবিডি/মাগুরা/২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মো. আনোয়ার হোসেন শাহীন/টিপু/এএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়