ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টানা বর্ষণে তরমুজের খেতে পচন

বাদল সাহা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৬, ২৪ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
টানা বর্ষণে তরমুজের খেতে পচন

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তিন দিনের টানা বর্ষণে তরমুজ খেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের দাবি, অন্তত ৫০০ একর জমির কয়েক কোটি টাকার তরমুজ নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবছর গোপালগঞ্জে জেলায় ১১০০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ফুটের চাষ হয়েছে।এরমধ্যে শুধুমাত্র কোটালীপাড়া উপজেলায়ই চাষ হয়েছে ৮১০ হেক্টর জমিতে।

ব্যাপকভাবে তরমুজের চাষ হওয়ায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার কালিগঞ্জ, বুরুয়া, হিজলবাড়ি, নলুয়া, চকপুকুরিয়াসহ প্রায় ২৫টি গ্রাম বিখ্যাত । গত কয়েক বছর তরমুজের চাষ লাভজনক হওয়ায় এবছর চাষের পরিধি আরও বেড়েছে।

এবার খেতের ফলন তোলার আগেই তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে জমি। ইতিমধ্যে অপরিপক্ক তরমুজে দেখা দিয়েছে পচন। ফলে খেত থেকেই তরমুজ তুলে ফেলতে হচ্ছে কৃষকদের। নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক কোটি টাকার তরমুজ। সেই সঙ্গে মরতে শুরু করেছে গাছও।

আবার অনেকে ব্যাংক, এনজিও এবং দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে বিপাকে পড়েছেন। কীভাবে ঋণ পরিশোধ করবেন সেটাই এখন মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে তরমুজের আড়তদাররা লাভের আশায় লক্ষ লক্ষ টাকা স্থানীয় পাইকারদের হাতে তুলে দিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, এ বছর তরমুজের ফলন ভাল হয়েছিল। তরমুজ বিক্রিও শুরু হয়েছে। এই টানা বর্ষণে অধিকাংশ কৃষকই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যারা একটু দেরিতে আবাদ করেছেন তাদের ক্ষতির পরিমাণ বেশি। বেশির ভাগ কৃষকই ঋণ করে তরমুজের আবাদ করেছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা ঋণের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন না। এ সময় সরকারের কাছে তারা সহযোগিতার দাবি জানিয়েছেন ।

মিলন অধিকারী নামে এক তরমুজ চাষি বলেন, মাত্র তিন থেকে চার মাস কষ্ট করলে এক বিঘা (৫২শতাংশ) জমিতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার ফুট-তরমুজ ফলানো সম্ভব। আর সেখানে গত মাসে প্রচুর বৃষ্টির কারণে সব ফুট-তরমুজ গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বিঘা প্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায় তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে।

স্থানীয় কলাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাইকেল ওঝা জানান, কৃষকদের বাঁচাতে জমিগুলোতে পাইপ ড্রেনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তিনি।

কোটালীপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, ‘গত তিন দিনের বৃষ্টিতে অন্ততঃ ৫০ লাখ টাকার তরমুজের ক্ষতি হয়েছে। জমিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা গেলে ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে’ ।

 

 

রাইজিংবিডি/গোপালগঞ্জ/২৪ এপ্রিল ২০১৭/বাদল সাহা/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়