ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী-শ্যালকের সংবাদ সম্মেলন

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ২৯ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্ত্রী-শ্যালকের সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : পুলিশ পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন তার স্ত্রী নাছরিন আক্তার রুমা।

এমনকি এই পুলিশ কর্মকর্তা স্ত্রী ও তার ভাইকে (শ্যালক) হত্যা করতে পাঁচ লাখ টাকায় সন্ত্রাসী ভাড়া করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর স্ত্রী রুমা এ অভিযোগ করেন। রুমা তার স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত উল্লাহ বর্তমানে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে ক্লোজড রয়েছেন। 

লিখিত বক্তব্যে নাছরিন আক্তার রুমা বলেন,  ‘চোরাকারবারী, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন পুলিশ পরিদর্শক রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরী। একই সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন একাধিক পরকীয়া। এসবের প্রতিবাদ করায় চরম নির্যাতনের শিকার হয়েছি। কেড়ে নেওয়া হয়েছে দুই মেয়েকে।’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, ১৯৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার লাকসাম থানার সাতবাড়িয়া গ্রামের রেফায়েত উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। দুই বছর আগে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় রেফায়েত মাদকাসক্ত ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত হয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। ওই সময় তিনি হ্যাপী চৌধুরী নামের এক নারীর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। বিষয়গুলো জানার পর প্রতিবাদ করায় তার ওপর দিনের পর দিন শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। হ্যাপী চৌধুরীও হয়রানি শুরু করে।

কান্না জড়িত কণ্ঠে রুমা বলেন, ‘এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় রেফায়েত আমার বৃদ্ধ বাবাকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে। শুধু তাই নয়, আমার কাছ থেকে আমার দুই মেয়ে রাইসা ও নানজীবাকে কেড়ে নেয়। আমার সব গহনা ও অর্থ প্রতারণার মাধ্যমে কেড়ে নিয়ে আমাকে মারধর করে। পরে কুমিল্লার এএসপি আমাকে নিরাপত্তার স্বার্থে বাপের বাড়ি খুলনার খালিশপুরে চলে আসতে বলায় আমি এক কাপড়ে চলে আসি।’

তিনি অভিযোগ করেন, ‘রেফায়েত এতোটাই লম্পট যে তার সঙ্গে বিয়ের আগেও সে বহু নারী কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত ছিলো। যশোর কোতোয়ালি থানায় এসআই পদে চাকরি করা অবস্থায় নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা তিনি নিজে উপস্থিত থেকে মিটিয়ে দেন। কিন্তু সন্তানদের কথা চিন্তা করে মুখ বুজে সব সহ্য করেন। তাতেও রেফায়েত শান্ত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে  ১৮ জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে রেফায়েত তাকে ও তার ভাই মো. মনিরুজ্জামানকে হত্যার জন্য হুমকি দিয়ে চলেছে। এমনকি সন্ত্রাসীও ভাড়া করেছে পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য সে খুলনায় এসে হুমকি দিয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা রেফায়েত উল্লাহ স্বল্প সময়ের চাকরি জীবনে কিভাবে কোটি কোটি টাকা, ফ্লাট বাড়ি ও অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তা খতিয়ে দেখতে দুদকের প্রতি আহ্বান জানান রুমা।



রাইজিংবিডি/খুলনা/২৯ এপ্রিল ২০১৭/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়