ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

উপকূলের ২ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৭, ২৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উপকূলের ২ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চল থেকে দুই লক্ষাধিক মানুষকে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়াবিদ, বিভিন্ন এনজিও কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন জানান, কক্সবাজার জেলা প্রশাসন উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক মাইকিং করে অন্তত ২ লক্ষাধিক লোককে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া এসব মানুষের জন্য ৫৩৮টি সাইক্লোন সেল্টার, ৮৮টি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের জন্য শুকনো খাবারের পাশাপাশি খিচুড়ি খাবারের ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই স্ব স্ব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, কক্সবাজার শহরে ছয়টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ কক্সবাজার শহর উপকূলের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে সরিয়ে এনে আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হবে। আশ্রয় নেওয়া মানুষদের জন্য ইফতার ও সাহরির ব্যবস্থা করা হবে বলেও তিনি জানান।

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন, মহেশখালী উপজেচলার মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া, মগনামা ও রাজাখালী, চকরিয়া উপজেলার বদরখালী, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং, কক্সবাজার সদর উপজেলার ফদনার ডেইল, সমিতি পাড়া, কুতুবদিয়া পাড়া, টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন, বাহারছড়া, সাবরাং ইউনিয়নের প্রায় দুই লাখ মানুষকে সরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আরো উত্তর দিকে সরে কক্সবাজারের উপকূল থেকে ৪৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ ছাড়া পায়রা ও মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরা আরো উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার ভোরে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমের সময় ঘণ্টায় ৭০-৯০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি সমুদ্রবন্দরের খুব কাছ দিয়ে অথবা ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘলা রয়েছে। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার সমূহ ফিরে আসছে।



রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/২৯ মে ২০১৭/সুজাউদ্দিন রুবেল/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়