ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৮, ২৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রামে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

নগরীর বিভিন্ন পাহাড়ে বসবাসকারীদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামের সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান।

জেলা প্রশাসক জানান, চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রামের ৪৭৯টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪৬ হাজার মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। এর বাইরে প্রয়োজনে বিভিন্ন স্কুল কলেজ খুলে দিয়ে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হবে। ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বর ০৩১-৬১১৫৪৫।

ঘূর্ণিঝড়ে ‘মোরা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করেছে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকায় দ্রুত ওষুধ নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে এসব মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন আজিজুর রহমান।

সিভিল সার্জন জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা সিভিল সার্জন অফিসের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের অধীন সব হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের ছুটি বাতিল করে হাসপাতালে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলার জন্য ১৫ থেকে ২৫টি পর্যন্ত মেডিক্যাল টিম কাজ করবে। জেলার ১৪ উপজেলার জন্য ২৮৪টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। এসব মেডিক্যাল টিমের কাছে পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় মোরার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আজ দপুরে এক বৈঠকে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা ২৪টি জাহাজকে বহিনোঙরে পাঠানো হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে বন্দর অপারেশনাল সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় মেরিন বিভাগ, পরিবহন বিভাগ ও সচিব বিভাগ নিয়ে একটি সেল গঠন করা হয়েছে। কোস্টাল ব্যাসেল ও শিপিং বোটগুলোকে নিরাপদ স্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বন্দর চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/২৯ মে ২০১৭/রেজাউল/এসএন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়