কৃষকলীগ নেতা হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার রাজগুরু গ্রামে স্থানীয় কৃষকলীগ নেতা শামসুল আলম মৃধা হত্যা মামলায় পলাশ প্যাদা (২৬) নামের এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার অপর দুই আসামি মরিয়ম বেগম ও জয়নাল আবেদীন ভুইয়াকে যাবজ্জীন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সোমবার দুপুর ১ টায় বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সুদিপ্ত দাস আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাশ প্যাদা পশ্চিম রাজগুরু এলাকার ছালাম প্যাদার ছেলে। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মরিয়ম বেগম দক্ষিণ ভুতেরদিয়া এলাকার আব্দুল হালিমের স্ত্রী এবং জয়নাল আবেদীন রাজগুরু এলাকার মৃত গনি ভূইয়ার ছেলে।
বরিশাল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন কাবুল জানান, মামলার ভিকটিম নিহত শামসুল আলম প্যাদা স্থানীয় কৃষকলীগ নেতা এবং রাজগুরু গ্রামের মাদক নির্মূল কমিটির সভাপতি হয়ে এলাকার মাদক নির্মূলে কাজ করে আসছিলেন। এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী উপরোক্ত আসামিদের মাদক বিক্রয়ে বাধা দেওয়ায় শামসুল আলমের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে পলাশ ও মরিয়ম।
২০১৩ সালের ১৬ মার্চ বেলা ২টার দিকে আসামিরা শামসুল আলমের বাড়িতে গিয়ে তাকে ডেকে নিয়ে যায় সুগন্ধা নদির পাড়ে। এ সময় আসামিদের সঙ্গে থাকা আরো ৬/৭ জন মিলে ইট দিয়ে পিটিয়ে শামসুল আলমের মাথার খুলি বের করে দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শামসুল হক।
এ সময় শামসুল আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমসহ পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আসামিদের ধাওয়া করে। এক পর্যায় পুলিশের হাতে আটক হয় পলাশ।
এ ঘটনায় পরদিনই বাবুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহত শামসুল আলমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। এরপর মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা সিআইডি পুলিশের এসআই রেজাউল হক।
আদালত ১৭ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
রাইজিংবিডি/বরিশাল/২৯ মে ২০১৭/জে. খান স্বপন/রুহুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন