ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

রাঙামাটিতে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে ৬ মাস লাগবে

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২২, ১৭ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
রাঙামাটিতে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে ৬ মাস লাগবে

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়ক স্বাভাবিক হতে ৬ মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন  সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা।

রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের ৮০ কিলোমিটারের মধ্যে ৩৫ স্থানে পাহাড় ধসে সড়কের ওপর পড়েছে। আবার কয়েকটি স্থানে পুরো সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। এই অবস্থায় রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক মেরামতে কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্র জানায়, রাঙামাটিতে সওজের ২৬৪ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে ১৪৫টি স্থানে সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়েছে। এ ছাড়া ৪৭টি স্থানে সড়ক ধসে গেছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার রাণীরহাট থেকে যৌথ খামার পর্যন্ত মাটি অপসারণ করে ২২ কিলোমিটার সড়ক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চলাচলের উপযোগী করা সম্ভব হয়েছে। যৌথ খামার এলাকায় সড়কের ওপর ধসে পড়া মাটি অপসারণে কাজ চলছে। এর দুই কিলোমিটার পর কাউখালীর শালবন এলাকায় প্রায় ১৫০ ফুট সড়কের কোনো চিহ্ন নেই। এ কারণে রাঙামাটির সঙ্গে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। প্রধান সড়ক থেকে মাটি অপসারণ করে সড়কটি সচল করার কাজ করছে সেনাবাহিনী।

সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিট ১৯ ইসিবির উপঅধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইফতেখার জানান, গত ১৩ জুনের অতিবর্ষণে পাহাড় ধসের ঘটনায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান রাঙামাটির দুর্যোগপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করে সড়ক যোগাযোগ দ্রুত সচল করার নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনী ইতিমধ্যে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সচল করতে সেনাবাহিনী সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এই সেনা কর্মকর্তা জানান, মাটি সরানোর সময় ফের ধসের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। তাই সতর্কতার সঙ্গে কাজ করতে হচ্ছে। দুই এক দিনের মধ্যে সড়ক দিয়ে হেঁটে চলাচলের উপযোগী করা হবে। তবে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। কারণ শালবন এলাকায় ধসে যাওয়া পাহাড়টি এখনো ঝুঁকিপূর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে ফের মাটি ধসে পড়তে পারে।

রাঙামাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু মুছা বলেন, রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক পুরোপুরি যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে ৬ মাসেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে। বিভিন্ন স্থানে পুরো সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। তবে বিকল্প উপায়ে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।



রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৭ জুন ২০১৭/রেজাউল/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়