ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদারের দাবি ক্যাবের

রেজাউল করিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৩, ১৩ আগস্ট ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পেঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং জোরদারের দাবি ক্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম : পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে জরুরিভাবে ভারত ছাড়াও পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পেয়াঁজ আমদানিসহ বাজার মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগ ও নগর কমিটি।

রোববার ক্যাবের এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। পেঁয়াজ সংকট নিরসনে বর্তমান মজুদের সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত, আমদানিকারক ও খুচরা পর্যায়ে ব্যবসায়ীদেরকে যথাযথ মনিটরিং নিশ্চিত করা, সংকটকালীন টিসিবিকে দ্রুত কার্যকর করা, নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার তদারিকতে মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ নিয়ে সৃষ্ট জঠিলতা নিরসন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং জোরদার করতে হবে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যবসা বাণিজ্যের মূল উপসর্গ উৎপাদক, বিক্রেতা, শ্রমিক ও ভোক্তা। আর দেশে ব্যবসা বাণিজ্যের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হলে এ পক্ষগুলির স্বার্থ রক্ষা করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে শুধুমাত্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থ রক্ষা করে যাবতীয় নীতি প্রণয়ন করার কারণে অন্যপক্ষগুলির স্বার্থ উপেক্ষিত হয়। ফলে দেশে ন্যায্য ব্যবসার পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। সে কারণে ব্যবসায়ীরা নীতি নৈতিকতা বাদ দিয়ে যে যেভাবে পারে মজুদ করে সরবরাহ সংকট তৈরী করে ১০০-১৫০শতাংশ পর্যন্ত লাভে পণ্য বিক্রি করছে।

ভারতে পেঁয়াজের দামবৃদ্ধির অজুহাত তুললে বর্তমানে মজুদ পেঁয়াজগুলি ৩-৬ মাসে পূর্বে আমদানি করা এবং পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্বেও দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটলেও সরকার আমদানিকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীদেরকে যথাযথ নজরদারি করেনি।

অন্যদিকে পাইকারী ব্যবসায়ীদের দেখানো পথ অনুসরণ করে খুচরা ব্যবসায়ীরাও বেপরোয়াভাবে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। দেখার জন্য বাজারেও কেউ নেই। সরকারের মাঠ পর্যায়ে নজরদারির দুর্বলতার কারণে ১৭-১৮% পর্যন্ত চালের শুল্ক হ্রাস করে চাল আমাদানির পরেও চালের বাজারে তার প্রতিফলন ঘটেনি।পুরো টাকা ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিয়েছে। সেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারও অস্থিরতা তৈরী করে পুরো টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে একটি মহল।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্যাব দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বিকল্প বাজার হিসেবে টিসিবিকে কার্যকর করার জন্য দাবি করলেও ব্যবসায়ী নেতারা টিসিবিকে সক্রিয় করতে সরকারকে বিভ্রান্ত করে বাঁধা প্রদান করছে। তাদের যুক্তি হলো টিসিবি অথর্ব প্রতিষ্ঠান এবং লোকসানি। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার পুরোটাই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের দখলে, ফলে বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরীর পরিবর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার পুরোটাই ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া দখলে রয়েছে।

দেশে পেঁয়াজের চাহিদা বার্ষিক ২০-২২ লাখ মেট্টিক টন। আর দেশে উৎপাদিত হয় ১৭-১৮ লাখ মেট্টিক টন। তবে কোরবানির ঈদে চাহিদা একটু বাড়লেও সরবরাহ জঠিলতায় ও মজুদদারির কারণে দাম বাড়িয়ে ভোক্তাদের পকেট কাটে কিছু ব্যবসায়ী। আর দেশীয় কৃষকদেরকে প্রণোদনা প্রদান করা সম্ভব হলে এবং ভোক্তা হিসেবে সচেতন হলেই এই সংকট সহজেই মোকাবিলা সম্ভব।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সহ-সভাপতি হাজী ইকবাল আলী আকবর ও সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক এএম তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শাহনেওয়াজ আলী মির্জা প্রমুখ।




রাইজিংবিডি/চট্টগ্রাম/১৩ আগস্ট ২০১৭/রেজাউল/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়