ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাজিতপুর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রপতি

রুমন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১২, ৯ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাজিতপুর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীতে রাষ্ট্রপতি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সোমবার বিকেলে বাজিতপুর কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, তোমাদের হাতেই দেশের ভবিষ্যৎ। তোমাদেরকে জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হয়ে বিশ্বমানের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।

তিনি বলেন, দুর্নীতি সমাজের অভিশাপ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নসহ সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে দুর্নীতি দূর করতে হবে। পুরাতন ধ্যান ধারণাকে বাদ দিয়ে নতুন ও সময়োপযোগী ধ্যান ধারণায় নিজেকে সমৃদ্ধ করতে হবে। সমাজের ওপিনিয়ন বিল্ডার হিসেবেও কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতা অপরিহার্য। সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শের পার্থক্য থাকবে এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য।



রাষ্ট্রপতি বলেন, যতদিন বেঁচে থাকব আপনাদের পাশে থাকব। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে যাব। আমার চাওয়ার আর কিছু নেই। দেশের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছি। আমি এখন আর রাজনীতি করি না, আমার রাজনীতি করা যাবে না। আপনাদের সঙ্গে মিলে মিশে বাকি জীবন পার করতে চাই। সুখি সমৃদ্ধশালী বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ দেখে যেতে চাই।

সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কলেজের পরিচালনা কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের এমপি রেজওয়ান আহাম্মেদ তৌফিক, বাজিতপুর-নিকলী আসনের এমপি মো. আফজাল হোসেন, কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা। পরে কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে লিখা গান পরিবেশন করা হয়।

এর আগে দুপুর ১টায় রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার বাজিতপুর হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। পরে উপজেলা ডাক বাংলোয় রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।

এরপর দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে বাজিতপুরে স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযোদ্ধা চত্বর ও চারটি সেতুর উদ্বোধন করেন তিনি।

সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় রাষ্ট্রপতি কিশোরগঞ্জ সদরের উদ্দেশে যাত্রা করেন। সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পর কিশোরগঞ্জ শহরের নিজ বাসভবনে রাত্রিযাপন করবেন তিনি।



রাইজিংবিডি/কিশোরগঞ্জ/৯ অক্টোবর ২০১৭/রুমন চক্রবর্তী/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়