ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

২৯১ বস্তা পচা চাল নিয়ে বিপাকে উপজেলা খাদ্য বিভাগ

সৌরভ পাটোয়ারী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৮, ২৩ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
২৯১ বস্তা পচা চাল নিয়ে বিপাকে উপজেলা খাদ্য বিভাগ

ফাইল ফটো

ফেনী সংবাদদাতা : ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় ২৯১ বস্তা পচা চাল নিয়ে বিপাকে পড়েছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ।

মামলার জটিলতা কেটে যাওয়ার পর প্রায় এক বছর অতিবাহিত হলেও চালগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করা যায়নি। ফলে এগুলো পচে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। বস্তার ভেতর বসতি গড়েছে পোকা-মাকড়।

উপজেলা খাদ্য গুদাম অফিস সূত্র জানায়, ২০১২ সালের ১২ অক্টোবর ছাগলনাইয়া পৌর এলাকার মীর্জারবাজার থেকে ২৯১ বস্তা সরকারি চাল আটক করে পুলিশ। ওই দিন একটি ট্রাক থেকে সরকারি খাদ্য বিভাগের সিলযুক্ত বস্তাগুলো খালাসের সময় ছাগলনাইয়া থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মো. সোলায়মান চালের বস্তাগুলো আটক করেন এবং একই দিন তিনি বাদী হয়ে ট্রাক চালক মো. মোজাফফর হোসেন, সহকারী জাকির হোসেন ও ইয়াসিন মোল্লাকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ওই সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, একটি চক্র সরকারি বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ করা চাল কালোবাজারে বিক্রি করছিল।

উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সিরাজুল আলম জানান, দীর্ঘদিন মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় চালগুলো নষ্ট হয়ে যায়।

তিনি জানান, গুদাম ঘরের মেঝে স্যাঁতসেঁতে হয়ে যাওয়ায় চালগুলো যথাযথ নিয়মে সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। ওষুধ দিয়েও পোকা-মাকড় রোধ করা যাচ্ছে না।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশ পেয়ে টেন্ডারের মাধ্যমে পচা চাল বিক্রির জন্য উপজেলা প্রশাসন পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে। উপজেলা প্রকৌশলীকে প্রধান করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সদস্য করে ওই কমিটি গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ওই কমিটির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত চালের মূল্য নির্ধারণের চিঠি পায়নি গুদাম কর্তৃপক্ষ। ফলে চালগুলো বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। এখন ব্যাপকভাবে পোকার আক্রমণের ফলে আরো বেশি বিপাকে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।

উপজেলা প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমান জানান, পচা চাল নেওয়ার জন্য  ক্রেতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই এগুলো বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।

উপজেলা খাদ্য গুদাম অফিস সূত্র জানায়, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস থেকে গত বছরের ১ নভেম্বর পচা চালের নমুনা পরীক্ষার জন্য খাদ্য অধিদপ্তরের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। একই বছরের ২৪ নভেম্বর পরীক্ষাগার কর্তৃপক্ষ প্রেরিত চিঠিত বলা হয়- এসব চাল মানুষ ও পশু খাদ্যের উপযোগী নয়। তবে মাছের খাদ্য হিসেবে এগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে।



রাইজিংবিডি/ফেনী/২৩ নভেম্বর ২০১৭/সৌরভ পাটোয়ারী/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়