ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ১৭ জন হাসপাতালে

তানভীর হাসান তানু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০৪, ১৫ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ১৭ জন হাসপাতালে

ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা : চলমান শৈত্যপ্রবাহের সময় খরকুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে গিয়ে পৃথক ঘটনায় পুড়ে ১৭ জন ঝলসে গেছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ হাত, কেউ পা, কেউবা আবার শরীরের অন্যান্য অংশ আগুনে পোড়া অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। এদের মধ্যে রয়েছেন বৃদ্ধ, শিশু ও দিনমজুর।

ঠাকুরগাঁওয়ে চলমান শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৩ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। আর হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতাও বেশি। এই শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।

নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা অর্ধাহারে-অনাহারে দিনাতিপাত করছে। সেই সঙ্গে ঠান্ডার প্রকোপে বৃদ্ধ-শিশুরাও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শিশুরা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে।

শীতের তীব্রতা থেকে রক্ষার উদ্দেশ্যে আগুন পোহাতে গিয়ে গত কয়েক দিনে প্রায় ১৭ জন পুড়ে ঝলসে গেছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছিটচিলারং গ্রামের শরিফা খাতুন (৮০), বগুড়া পাড়ার হাবিবা (২০ মাস), গোয়ালপাড়া মহল্লার আব্দুল মান্নান (৫০), মহেষপুর গ্রামের ইজার উদ্দিন (৬৫), কিসমত কেশুরবাড়ী গ্রামের আখি (২১), বিশ্বাসপুর গ্রামের আরজিনা (৪), শহরের আশ্রমপাড়া মহল্লার মফিজুল (৪৮), বালিয়াডাঙ্গীর জবা (৫), পাশ্ববর্তী পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার আমিনা (২০), দেবীপুর উপজেলার আজিজুল হক (৬৫), দেবীগঞ্জ উপজেলার শালডাঙ্গার আরজিনা (২৮), ঠাকরগাঁও সদর উপজেলার বিহারীপাড়ার শরিফা (৯ মাস), দৌলতপুরের বানু বেগম (৩৮), বালিয়াডাঙ্গীর ভানোর গ্রামের নয়ন (২৮) ও পার্শ্ববর্তী দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ মাহানপুরের দেবী (৪) বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পুড়ে যাওয়া রোগীর জন্য আলাদা কোনো বার্ন ইউনিট না থাকায় প্রয়োজন মতো চিকিৎসা না পেয়ে এদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে রেফার্ড নিয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চলে গেছেন।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) সুব্রত কুমার জানান, ঠান্ডাজনিত কারণে গত কয়েকদিন শিশুদের সর্দি-কাশি, জ্বর, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা, অ্যাকোনিউমোনিয়া, ফ্যারেনজাইটিস, অ্যালার্জি ইত্যাদি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তবে সঙ্গে রয়েছে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে আগুন পোহাতে গিয়ে পুড়ে যাওয়া রোগীরাও। কয়েক দিনে কমপক্ষে ২০ জন আগুনে পুড়ে যাওয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন।

ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল জানান, শীত নিবারণে আগুন পোহানোর ব্যাপারে জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারফত চেয়ারম্যানদের সতর্কবাণী প্রদান করা হবে।



রাইজিংবিডি/ঠাকুরগাঁও/১৫ জানুয়ারি ২০১৮/তানভীর হাসান তানু/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়