ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা : চিকিৎসকসহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

শাহরিয়ার সিফাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
গণধর্ষণ ও হত্যা মামলা : চিকিৎসকসহ ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী রুপা খাতুনকে গণধর্ষণ ও হত্যার মামলায় ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সাইদুর রহমানসহ চারজন সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার ওই চিকিৎসক ছাড়াও দুজন সুরতহাল রিপোর্ট ও একজন জব্দ তালিকার পুলিশ সাক্ষীসহ আরও তিনজন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এ নিয়ে মামলার বাদিসহ ১৯ জনের সাক্ষী ও জেরা সমাপ্ত হলো। আগামীকাল বুধবার মামলার আসামিদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি লিপিবদ্ধকারী চার ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্যের জন্য আদালত দিন ধার্য করেছে।

টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক এবং অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আবুল মনসুর মিয়া আজ দুপুর ১২টায় এই চাঞ্চল্যকর মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন।

প্রথমে নিহত রুপার ময়নাতদন্তকারী ডাক্তার সাইদুর রহমান আদালতের কাঠগড়ায় সাক্ষ্য প্রদান করেন। তিনি তার সাক্ষীতে রুপার মৃত্যুর কারণ হিসেবে মাথায় আঘাতজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। মৃত্যুর আগে রুপাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ঘণ্টাব্যাপী তাকে জেরা করেন। পরে জব্দ তালিকার সুরতহাল রিপোর্টের সাক্ষী কিশোর, মান্নান ও একজন জব্দ তালিকার সাক্ষী মো. আব্দুল হান্নান সাক্ষ্য প্রদান করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা সাক্ষীদের জেরা করেন। দুপুর ২টায় আদালতের কার্যক্রম মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

 



উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে রুপা খাতুনকে চলন্ত বাসে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে। পরে তাকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ ওই রাতেই তার লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্ত শেষে পর দিন বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।

এ ঘটনায় অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

রুপার ভাই ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় এসে লাশের ছবি দেখে রুপাকে শনাক্ত করেন। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), সুপারভাইজার সফর আলী (৫৫) এবং সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে তারা রুপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৯ আগস্ট বাসের তিন সহকারী শামীম, আকরাম, জাহাঙ্গীর এবং ৩০ আগস্ট চালক হাবিবুর এবং সুপারভাইজার সফর আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা সবাই এখন টাঙ্গাইল কারাগারে আছে।

৩১ আগস্ট রুপার লাশ উত্তোলন করে তার ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে নিয়ে দাফন করা হয়।



রাইজিংবিডি/টাঙ্গাইল/১৬ জানুয়ারি ২০১৮/শাহরিয়ার সিফাত/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়